আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৪

নবীর অবমাননা করেসেন স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামিন

লিখেছেন বাংলার উসমান মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ ইসলাম

আহারে আবু লাহাব!

আল্লাহপাক পবিত্র কুরানে আবু লাহাবকে “সূরা লাহাব”-এ কীই না মন্দ ভাষায় গালিগালাজ কারাসেন। অতসো, এই লাহাবই নিকি আনন্দে আত্মহারা হই আমাগের প্রাণের সেয়ে প্রিয় নবীজির জন্ম সংবাদ ফাওয়ার পর একজন কৃতদাসীকে মুক্তি দিয়ে দিয়েসিলো। ঐ কৃতদাসী ‘সুয়াইবা’ কী এমুন কাজ কারাসে যে, তাকে মুক্ত করি দিতে হল! সে ত শুদু ভাতিজা মোহাম্মদের জন্মের সংবাদ কাকা লাহাবের কাসে পৌঁছাইল।

কত বড় হৃদয়ের মানুষ আবু লাহাব যে, সাম্রাজ্য অধিফতির মতন সুখবর বহনকারী একজন সংবাদবাহিকাকে মুক্ত করি দেয়! আর আল্লাহ কি না নবীজির ভালোবাসার শ্রদ্ধার কাকা’কে পবিত্র কুরানে গালিগালাজ করে, অবমাননা করে!

আরে নবীজির কাকা’কে অবমাননা মানে ত নবীজিকে অবমাননা। নাকি? নবী অবমাননার শাস্তি কী রে লুকমাইন্যা (লোকমান হেকিম বাবুনগরী)? 

দাসী ‘সুয়াইবা’ কিন্তুক নবীজির সংবাদ বহন করি ক্ষান্ত হয় নাই। সুয়াইবা এক সপ্তাহ দুগ্ধ পান করিয়েসিলো শিশু মোহাম্মদ’কে!

আর আমরা জানি নবীজির দুগ্ধমাতা ‘হালিমা’। 

কেবল ‘সুয়াইবা’ এবং ‘হালিমা’ যে শিশু মোহাম্মদকে দুগ্ধ পান করিয়েসে, তা অ ত না।

যে অমুসলিমদের সাথে আল্লাহ বলেসেন বন্ধুত্ব না করতে, সে অমুসলিম খেশটান মেয়ে ‘আইমান’-ই ত সিলো নবীজির সর্ব প্রথম ‘দুধমা’; খেশটান তরুনী ‘আইমান’ নবীজিকে গর্ভে ধারণ করেন নাই ঠিক, কিন্তুক মাতৃস্নেহে দুগ্ধ ত পান করিয়েসেন। আর সব কিসুর নিয়ন্ত্রণকর্তা আল্লাহ্‌ নিকি এই ‘মা’কে বিবাহ দিয়েসেন নবীজির পূত্র যায়েদের সাথে।অর্থাৎ শিশু মোহাম্মদ যে মহিলার দুগ্ধ পান করেসে, সে মহিলাকে বিয়ে দেয়া হয় পরিণত নবী মোহাম্মদ এর পালক পূত্রের সাথে!

তাহলে, এটা কবে হইসিলো? নবীজি ‘যায়েদ’কে যখন দত্তক নিলেন, তখন ত নবীজির বয়স অনেক। আর ঐ বয়সে সে তরুণীটির বয়স কতোতে গিয়া পৌঁছাইল, যে তরুণীটি একদা শিশু নবীকে দুধ খাওয়েসিলো? 

খেশটান তরুনী ‘আইমান’-এর পর ‘থুয়াইবা’ শিশু মোহাম্মদ এর দুগ্ধমাতা হন এবং থুয়াইবার পর নবীজির দুগ্ধ মাতা দন ‘হালিমা’। 

এ কী অবিসার! আমরা দুগ্ধমাতা হিসাবে শুদু হালিমার নাম নিই, কিন্তুক পূর্বের দুজনের নামই লই না! আবার এক সপ্তাহ টেম্পরারিলি দুগ্ধ পান করানো দাসী ‘সুয়াইবা’র অবদানও আমরা ভুলি গেসি! হায় রে, আমরা এমনই গাফেল!

আল্লাহপাকের কান্ড দেখো তমরা। উনি কী কারাসেন! নবীজি যাকে ‘কাকা’ বলি ডাকতেন, সে কাক্কু আবু লাহাবকে নবীজির ‘বেয়াই’ বানিয়ে দিয়েসেন আল্লাহপাক! হাঁ, তো বলছি কী! কাকা আবু লাহাবের দুই পূত্র ‘উৎবা’ ও ‘উতাইবা’র সাথে নবীজির দ্বিতীয় ও তৃতীয় কন্যা রুকাইয়া ও কুলসুম এর বিয়ে হয়।আর কে না জানে, ফেয়সালা ত হয় আসমানে, জমিনে না।

সব কিসুর নিয়ন্ত্রণকর্তা আল্লাহ্‌ কেনো চাচা ভাতিজাকে ‘বেয়াই’ বানাবেন! কেনো দুগ্ধমা হিসাবে হালিমা ছাড়া বাকিরা স্বীকৃতি ফাবে না! কেন কেন কেন!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন