আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৪

কুরানে বিগ্যান (পর্ব-৫৬): ওহুদ যুদ্ধ - ৩: ইহুদিদের ভূমিকা কী ছিল? ত্রাস, হত্যা ও হামলার আদেশ – উনত্রিশ

লিখেছেন গোলাপ

পর্ব ১ > পর্ব ২ > পর্ব ৩ > পর্ব ৪ > পর্ব ৫ > পর্ব ৬ > পর্ব ৭ > পর্ব ৮ > পর্ব ৯ > পর্ব ১০ > পর্ব ১১ > পর্ব ১২ > পর্ব ১৩ > পর্ব ১৪ > পর্ব ১৫ > পর্ব ১৬ > পর্ব ১৭ > পর্ব ১৮ > পর্ব ১৯ > পর্ব ২০ > পর্ব ২১ > পর্ব ২২ > পর্ব ২৩ > পর্ব ২৪ > পর্ব ২৫ > পর্ব ২৬ > পর্ব ২৭ > পর্ব ২৮ > পর্ব ২৯ > পর্ব ৩০ > পর্ব ৩১ > পর্ব ৩২ > পর্ব ৩৩ > পর্ব ৩৪ > পর্ব ৩৫ > পর্ব ৩৬ > পর্ব ৩৭ > পর্ব ৩৮ > পর্ব ৩৯পর্ব ৪০ > পর্ব ৪১ > পর্ব ৪২ > পর্ব ৪৩ > পর্ব ৪৪ > পর্ব ৪৫ > পর্ব ৪৬ > পর্ব ৪৭ > পর্ব ৪৮ > পর্ব ৪৯ > পর্ব ৫০ > পর্ব ৫১ > পর্ব ৫২ > পর্ব ৫৩ > পর্ব ৫৪ > পর্ব ৫৫

ওহুদ যুদ্ধ যাত্রার প্রাক্কালে কী কারণে প্রায় ৩০০ জন (এক-তৃতীয়াংশ) মুহাম্মদ অনুসারী মাঝপথ থেকেই মদিনায় প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এবং কী অপরাধে পথিমধ্যেই সা'দ বিন যায়েদ নামক এক মুহাম্মদ অনুসারী মিরবাহ বিন কেইজি নামক এক অন্ধকে খুন করেছিলেন, তার আলোচনা আগের পর্বে করা হয়েছে।

সেই হতভাগ্য অন্ধ ব্যক্তিটির অপরাধ ছিল এই যে, তিনি তাঁরই মালিকানাধীন বাগানের মধ্য দিয়ে মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের যাত্রায় বাধা দানের চেষ্টা করেছিলেন, তাদের উদ্দেশে এক মুষ্টি ধূলা নিক্ষেপ করেছিলেন এবং আরেক মুষ্টি ধূলা হাতে নিয়ে তা মুহাম্মদের মুখের ওপর নিক্ষেপের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছিলেন। 

আমরা আরও জেনেছি যে, সেই অপরাধের শাস্তি স্বরূপ যখন মুহাম্মদ অনুসারীরা সেই অন্ধ ব্যক্তিকে খুন করার জন্য দ্রুতগতিতে ছুটে আসে, তখন স্বঘোষিত আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তাদের উদ্দেশে ঘোষণা দিয়েছিলেন,

"তাকে খুন করো না, কারণ এই অন্ধ মানুষটির অন্তর ও দৃষ্টি দুইই অন্ধ।"

কিন্তু তাঁর এই ঘোষণার আগেই সা'দ বিন যায়েদ সেই অন্ধ ব্যক্তিটির মস্তক বিভক্ত করে দেয়। অর্থাৎ মুহাম্মদের ঘোষণাটি ছিল অন্ধ ব্যক্তিটির মস্তক চূর্ণ হওয়ার পরে! 

স্বঘোষিত আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও তাঁর বাণী ও শিক্ষার সমালোচনাকারী প্রতিটি ব্যক্তিই যে ‘অন্ধ অন্তর ও অনুরূপ বিভিন্ন বিশেষণের অধিকারী’, তা মুহাম্মদ তাঁর স্বরচিত ব্যক্তিমানস জবানীগ্রন্থ কুরানের পাতায় পাতায় বর্ণনা করেছেন (পর্ব ২৬-২৭); আর এই সমালোচনাকারীদের তাঁর অনুসারীরা কীরূপ দ্রুততার সাথে হত্যা/শায়েস্তা করার চেষ্টা করতেন, তা মুহাম্মদ ইবনে ইশাকের এই বর্ণনায় অত্যন্ত স্পষ্ট!

আজকের পৃথিবীর ইসলাম অনুসারীরা ও সেই শিক্ষার ধারাবাহিকতা অত্যন্ত অনুগতভাবে পালন করে চলেছেন! মুসলিম শাসিত ও মুসলিম সংখ্যাগুরু দেশে তা পালিত হয় অত্যন্ত দ্রুতগতিতে! আর মুসলিম অ-শাসিত ও মুসলিম সংখ্যালঘু দেশে তা পালিত হয় “যেখানেই সুযোগ মেলে সেখানেই”! মুহাম্মদের মৃত্যুর ১৪০০ বছর পরেও মুহাম্মদের সমালোচনাকারী কোনো ব্যক্তিই মুহাম্মদ অনুসারীদের হাতে নিরাপদ নয়!

ইন্টারনেট প্রযুক্তির আবিষ্কার না হলেমুহাম্মদ ও তাঁরই অনুসারী আদি মুসলিম ঐতিহাসিকদের রচিত ইতিহাসের (কুরান, সিরাত ও হাদিস) আলোকে মুহাম্মদের বাণী/শিক্ষা ও কর্মকাণ্ডের খোলামেলা আলোচনা কখনোই সম্ভব ছিল না! এই অসামান্য আবিষ্কারের ফলে মৃত্যু-ঝুঁকির সম্ভাবনা নিয়েও বহু লেখক ও গবেষক তাঁদের গবেষণালব্ধ বিষয়গুলো প্রকাশ করতে আগ্রহী হয়েছেন। তা না হলে সাধারণ সরলপ্রাণ মুসলমানেরা কখনোই মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের প্রকৃত ইতিহাস জানার সুযোগ পেতেন না।

আদি ও বিশিষ্ট মুসলিম ঐতিহাসিকদের বর্ণনা মতে - মুহাম্মদ তাঁর ১০ বছরের (৬২২-৬৩২ সাল) মদিনা জীবনে যে ৬০-১০০ টি যুদ্ধ ও সংঘর্ষে জড়িত ছিলেন, তার মধ্যে যে মাত্র দু'টি সংঘর্ষে কুরাইশরা আক্রমণাত্মক (Offensive) ভূমিকায় ছিলেন, তার প্রথমটি হলো এই ওহুদ যুদ্ধ। কিন্তু ইতিমধ্যেই আমরা জেনেছি যে, এই ওহুদ যুদ্ধের মূল কারণ ও প্রেক্ষাপট হলো বদর যুদ্ধ (পর্ব ৫৪), যা সংঘটিত হয় ১৫ মার্চ ৬২৪ সাল; আর ওহুদ যুদ্ধটি সংঘটিত হয় তার এক বছর পর ৬২৫ সালের ২৩শে মার্চ তারিখে।

ইতিমধ্যেই আমরা জেনেছি, বদর যুদ্ধের পর থেকে ওহুদ যুদ্ধ পর্যন্ত গত একটি বছরে মুহাম্মদের নির্দেশে তাঁর অনুসারীরা অমানুষিক নৃশংসতায় একের পর এক খুন করেছেন ১২০ বছর বয়সী ইহুদি কবি আবু-আফাককে (পর্ব- ৪৬), কোলের সন্তানকে স্তন্যপান অবস্থায় পাঁচ সন্তানের জননী ইহুদি কবি আসমা-বিনতে মারওয়ানকে (পর্ব- ৪৭), প্রতারণার আশ্রয়ে ইহুদি কবি কাব বিন আল-আশরাফ ও আবু রাফি-কে (পর্ব- ৪৮ ও ৫০) এবং ইবনে সুনেইনা নামের এক একান্ত নিরীহ ইহুদি ব্যবসায়ীকে (পর্ব- ৪৯)!

আমরা আরও জেনেছি, শক্তিমত্তায় মত্ত মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীরা অমানুষিক নৃশংসতায় বনি কেইনুকা নামক এক ইহুদি গোত্রের সমস্ত মানুষকে প্রায় এক বস্ত্রে তাঁদের শত শত বছরের পৈত্রিক ভিটে থেকে উচ্ছেদ করে তাঁদের সমস্ত সম্পত্তি লুট করেছেন(পর্ব-৫১)!

মদিনার ইহুদি গোত্রের ওপর গত একটি বছর মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের একের পর এক এহেন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মদিনার ইহুদিদের মানসিক অবস্থা কেমন হতে পারে,তা যে কোন বিবেকসম্পন্ন মানুষ অতি সহজেই উপলব্ধি করতে পারেন।   

প্রশ্ন হলো, এমত পরিস্থিতিতে ওহুদ যুদ্ধে ইহুদিদের ভূমিকা কী ছিল?

মুহাম্মদ ইবনে ইশাকের (৭০৪-৭৬৮ সাল) বর্ণনা:

'জিয়াদ বিন আবদুল্লাহ আল-বাক্কাই নয় এমন একজন হইতে < মুহাম্মদ ইবনে ইশাক হইতে < আল-জুহরী হইতে বর্ণিত হয়েছে: [1]

সেই দিন আনসাররা বলে, "হে আল্লাহর নবী, আমাদের কি এটি উচিত নয় যে, আমরা আমাদের মিত্র ইহুদিদের কাছে সাহায্য শুধাই?"

জবাবে তিনি বলেন, "তাদের প্রয়োজন আমাদের নেই!" [2] -----

'ওহুদ যুদ্ধে যারা নিহত হয়েছিলেন, তাদের একজন হলেন ইহুদি মুখায়েরিক, যিনি ছিলেন বানু থালাবা বিন আল-ফিতিউন গোত্রের লোক।

ঐ দিন তিনি ইহুদিদের উদ্দেশে বলেন:
"তোমরা জান যে, তোমাদের কর্তব্য হলো মুহাম্মদকে সাহায্য করা।"

যখন তারা জবাবে বলে যে, সেটি 'সাবাথ দিন', তিনি বলেন, "তোমরা কোনো সাবাথের অধিকার পাবে না" এবং তাঁর তরবারি ও সাজসজ্জা নিয়ে ঘোষনা দেন যে, যদি তিনি নিহত হন তবে তাঁর সম্পত্তির মালিক হবেন মুহাম্মদ, যা তিনি যেমন খুশী তেমন ভাবে ব্যয় করতে পারবেন।

তারপর তিনি আল্লাহর নবীর সাথে যোগদান করেন এবং নিহত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি তাঁর সাথে যুদ্ধ করেন। আমি শুনেছি যে, আল্লাহর নবী বলেন, "মুখায়েরিক হলো ইহুদিদের মধ্যে উত্তম।" [3] [4] [5]

[ইসলামী ইতিহাসের ঊষালগ্ন থেকে আজ অবধি প্রায় প্রতিটি ইসলাম বিশ্বাসী প্রকৃত ইতিহাস জেনে বা না জেনে ইতিহাসের এ সকল অমানবিক অধ্যায়গুলো যাবতীয় চতুরতার মাধ্যমে বৈধতা দিয়ে এসেছেন। বিষয়গুলো অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিধায় বাংলা অনুবাদের সাথে মূল ইংরেজি অনুবাদের অংশটিও সংযুক্ত করছি। - অনুবাদ, টাইটেল ও [**] যোগ - লেখক।

The narrative of Muhammad Ibne Ishaq (704-768 AD):

‘Someone, not Ziyad, (Ziyad b. 'Abdullah al-Bakka'i.) from Muhammad b. Ishaq from al-Zuhri, said that on that day the Ansar said, [1]

“O apostle, should we not ask help from our allies, the Jews?'”

He said, 'We have no need of them.'  ----[2]

“Among those killed at Uhud was (T. the Jew) Mukhayriq who was one of the B.Tha'laba b. al-Fityun.

On that day he addressed the Jews saying:

‘You know that it is your duty to help Muhammad’, and when they replied that it was the Sabbath day, he said,  'You will have no Sabbath,' and taking his sword and accoutrements, he said that if he was slain his property was to go to Muhammad,who could deal with it as he liked. Then he joined the apostle and fought with him until he was killed. I have heared that he apostle said, 'Mukhayriq is the best of the Jews." [3][4] [5]

>>> মুহাম্মদ ইবনে ইশাকের এই বর্ণনায় আমরা জানতে পারছি যে, যখন কিছু মুহাম্মদ অনুসারী মুহাম্মদকে জিজ্ঞেস করেন, তাদের কি উচিত নয় যে, তারা তাদের মিত্র ইহুদিদের কাছে সাহায্য চাইবে, তখন জবাবে মুহাম্মদ বলেন যে, ইহুদীদের কাছ থেকে কোনো সাহায্যের প্রয়োজন তাঁর নেই! 

অর্থাৎ ওহুদ যুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য মদিনায় ইহুদিদের কাছে মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীরা কোনোরূপ আবেদনই করেননি!

তা সত্ত্বেও মুখায়েরিক নামের এক ইহুদি ওহুদ যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ও নিহত হয়েছিলেন।

আমরা আরও জানতে পারছি যে, মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীরা তাঁদেরকে কোনোরূপ আবেদন না করা সত্ত্বেও ও মুসলমানদের সাহায্যের প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও যখন মুখায়েরিক নামের এই ইহুদি অন্যান্য ইহুদিদের যুদ্ধযাত্রার আহ্বান জানান, তাঁরা যুদ্ধে অংশ নিতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করেননি। তাঁরা জবাবে বলেন যে, সেটি তাঁদের পবিত্র 'সাবাথ দিন' (A day of religious observance and abstinence from work, kept by Jews from Friday evening to Saturday evening)[6]

আমরা ইতিপূর্বেই জেনেছি যে, শুক্রবার দিন জুমার নামাজের পর মুহাম্মদ তাঁর অনুসারীদের সাথে আলোচনায় বসেছিলেন ও ওহুদ প্রান্তে (মদিনায় নয়) যে দিনটিতে যুদ্ধ সংঘটিত হয়, সেই দিনটি ছিল শনিবার। অর্থাৎ ইহুদিরা কোন মিথ্যা অজুহাতের আশ্রয় নেননি।

মুহাম্মদ ইবনে ইশাক ও আল-তাবারীর বর্ণনায় যে-বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো, কুরাইশরা ওহুদ প্রান্তে জড়ো হয়েছেন বদর যুদ্ধে তাঁদের প্রিয়জনদের হত্যা, বন্দী, অপমান ও লাঞ্ছনার প্রতিশোধ নিতে!

কিন্তু,

“তাঁরা মদিনা আক্রমণ করেননি! মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীরা আক্রান্তও হননি!

এমত অবস্থায়, আক্রান্ত হওয়ার আগেই আগ বাড়িয়ে মদিনা ছেড়ে ওহুদ প্রান্তে গিয়ে কুরাইশদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে জীবন বিসর্জন দেয়ার কোনো অর্থ মুহাম্মদের বহু অনুসারীরাও খুঁজে পাননি!

এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তাঁর একান্ত অনুসারীরাও ছিলেন দ্বিধাবিভক্ত। মুহাম্মদের বহু অনুসারী মদিনা পরিত্যাগ করে আগ বাড়িয়ে ওহুদ প্রান্তে গিয়ে কুরাইশদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হতে এতই অনিচ্ছুক ছিলেন যে, তাঁর এক-তৃতীয়াংশ অনুসারী মাঝপথ থেকে আবার মদিনায় প্রত্যাবর্তন করেছিলেন (পর্ব-৫৫)।

যেখানে মুহাম্মদের নিজ অনুসারীরাই আগ বাড়িয়ে কুরাইশদের সাথে যুদ্ধে অনিচ্ছুক, সেখানে গত একটি বছর মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের একের পর এক নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার বলি (Victim) মদিনার ইহুদি গোত্রের লোকেরা তাঁদের পবিত্র 'সাবাথ দিনে' মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের কাছ থকে কোনোরূপ সাহায্যের আহ্বান ছাড়াই আগ বাড়িয়ে দলে দলে ওহুদ যুদ্ধে শরীক হবেন, এমন প্রত্যাশা অবাস্তব। 

মদিনায় অবস্থানকারী ইহুদি গোত্রের বিভিন্ন ব্যক্তি ও গোত্রের উপর মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের অনৈতিক আগ্রাসী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বৈধতা দিতে ইসলামী বিশ্বাসী পণ্ডিত ও অ-পণ্ডিতরা মুহাম্মদ ইবনে ইশাক (৭০৪-৭৬৮ সাল) রচিত যে "মদিনা সনদ" নামক এক চুক্তি ভঙ্গের অবতারণা করেন, সেই “তথাকথিত মদিনা সনদ চুক্তির" বিস্তারিত আলোচনা পর্ব ৫৩-তে করা হয়েছে। দাবী করা হয়, এই তথাকথিত শান্তি চুক্তিটির এক বিশেষ শর্ত ছিল এই যে,

"ইহুদিরা মুহাম্মদের বিরুদ্ধে কাউকে সাহায্য করবে না এবং যদি কোনো শত্রু তাঁকে মদিনায় আক্রমণ করে তবে তারা তাঁর সাহায্যে এগিয়ে আসবে।" [7] 

মদিনা এবং মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীরা আক্রান্ত না হওয়া সত্বেও আগ বাড়িয়ে ওহুদ প্রান্তে গিয়ে কুরাইশদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হতে মুহাম্মদের বহু অনুসারীদের মতই মদিনার ইহুদিরাও ছিলেন অনিচ্ছুক। এটি কোনো চুক্তিভঙ্গের উদাহরণ নয়!

(চলবে)

তথ্যসূত্র ও পাদটীকা:

[1] জিয়াদ বিন আবদুল্লাহ আল-বাক্কাই ছিলেন মুহাম্মদ ইবনে ইশাকের ছাত্র।
বিস্তারিত পর্ব-৪৪।

[2] “সিরাত রসুল আল্লাহ”- লেখক: ইবনে ইশাক (৭০৪-৭৬৮ খৃষ্টাব্দ), সম্পাদনা: ইবনে হিশাম (মৃত্যু ৮৩৩ খৃষ্টাব্দ), ইংরেজি অনুবাদ:  A. GUILLAUME, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, করাচী, ১৯৫৫, ISBN 0-19-636033-1, পৃষ্ঠা ৩৭২

[3] “তারিক আল রসুল ওয়াল মুলুক”- লেখক:  আল-তাবারী (৮৩৮-৯২৩ খৃষ্টাব্দ), ভলুউম ৭,ইংরেজী অনুবাদ: W. Montogomery Watt and M.V. McDonald, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৮৭ – পৃষ্ঠা (Leiden) ১৪২৪ 

[4] ‘বানু থালাব ছিল মদিনার এক গুরুত্বপূর্ণ ইহুদি গোত্র, কিন্তু তারা ছিল সম্ভবত: আরব অধিবাসী যারা ইহুদি ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন; কারণ ঘাসান (Ghassan) গোত্রের সাথেও তারা যুক্ত ছিল’।

[5] Ibid ইবনে ইশাক, পৃষ্ঠা -৩৮৪

[6] 'সাবাথ’

[7] Ibid আল-তাবারী, পৃষ্ঠা (Leiden) ১৩৬০

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন