আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৪

ঈমানদীপ্ত কাহিনী ৪ (মুচকি হাসি)

লিখেছেন জল্লাদ মিয়া

তখনও পেপসোডেন্ট এবং ক্লোজ আপ আবিষ্কৃত হয় নাই। মানুষজন দাঁত ব্রাশ করিতে জানিত না। ফলে আরবের লোকেরাও দন্ত মোবারক কেমনে মাজে, তা জানিত না। আরবের লোকেরা দুম্বার গোস্ত, আরবী (মদ্য বিশেষ) খাইয়্যা দাঁত মাজা দূরে থাক, কুলিও করত না। অবশ্য নামাজ আবিষ্কৃত হইলে অজু করার নিমিত্তে দৈনিক পাঁচবার করিয়া কুলি করিতে হইত। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ আজকের কাহিনী তাহারও আগের।

ইছলাম প্রচারের জইন্য মুহাম্মদ (খাঃ পুঃ)-এর বিভিন্ন জায়গায় এবং বিভিন্ন বাড়িতে যাইতে হইত। তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়া ইছলামের দাওয়াত প্রচার করিতেন। মানুষের কাছে ইছলাম তখনও একখানা নয়া ধর্ম। তাহারা এতদিন লাত, উজ্জা, মানাতের পূজা করিয়া আসিতেছিলেন। ইছলামের আজগুবি সব কথা এবং ইসলামে আসিলে যে সকল পুরস্কারের কথা আমজনতাকে মুহাম্মদ শুনাইতেন, তাহা শুনিয়া আমজনতা অট্ট হাসিতে ঢলিয়া পড়িত। অনেকদিন দাঁত না মাজার ফলে মানুষের হাসির শব্দের সাথে সাথে তীব্র পচা দূর্গন্ধও বাহির হইয়্যা আসিত, যাহা মুহাম্মদকে খুবই বিব্রতকর অবস্থায় ফেলিয়া দিত। মুহাম্মদ না পারিতেন তাহাদের গালি দিতে, না পারিতেন তাহাদের হাসি বন্ধ করিয়া রাখিতে। কারণ পাগল-ছাগলের কথা শুনিয়া আমরাও খুব হাসাহাসি করি।

আপদটি ছোট্ট মনে হইলেও গুরুতর। এতে পিছলাম প্রচারে ব্যাঘাত ঘটে। মুহাম্মদ ভাবিতে লাগিলেন...

অবশেষে বুদ্ধি পাইলেন! তিনি লোকজনের হাসি বন্ধ করিতে না পারিলেও হাসির সাথে আসা গন্ধ আটকানোর একটা ব্যবস্থা করিতে একখানা হাদীছ রচনা করেন। হাদিছটি নিম্নরূপ:

হাসি তিন প্রকার:
১. মুচকি হাসি।
২. দাঁত দেখিয়ে হাসি।
৩. অট্ট হাসি।

১ নাম্বার হাসিতে সোয়াব আছে। কারণ এটিতে গন্ধ বের হবার কোনো আশংকাই নাই।

২ নাম্বার হাসিটাতে দাঁত দেখা যাবে কিন্তু শব্দ হবে না। আমরা যেভাবে কাউকে দাঁত পরিষ্কার আছে কি না দেখাই, এ হাসি অনেকটা সেরকম। এ হাসিতে দুর্গন্ধ বের হওয়ার আশংকা কম। তাই এতে গুনাহ নাই।

কিন্তু শালা হারামী ৩ নাম্বার হাসিটা মুহাম্মদ (খাঃ পুঃ)-কে যত কষ্ট দিয়াছিল। এই জন্য ওইটা হারাম!

আমি অবশ্য প্রতিদিন ক্লোজ আপ দিয়া দন্ত মোবারক ব্রাশ করি। তাই আমার মুচকি হাসা ওয়াজিব নয়!

আপনি কীরাম করি হাসেন?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন