আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৪

ঈমানদীপ্ত কাহিনীঁ - ৫ (সুন্নতের পাগড়ি)

লিখেছেন জল্লাদ মিয়া

আমরা যখন মসজিদে যাই, তখন দেখিতে পাই হুজুরেরা মাথায় পাগড়ি দিয়া আছেন। সচেতন মুসলমান মাত্রই  পিয়ারে নবীর প্রত্যেক সুন্নত মুহাব্বতের সহিত পালন করেন। আমরা পাগড়ি মাথায় দেওয়ার ফজিলত সম্পর্কে জানি, কিন্তু নামাজের সময়কার পাগড়ির ইতিবৃত্ত সম্পর্কে অবগত নই। আজ আমরা নামাজের পাগড়ির ইতিহাস সম্পর্কে জানিব।

আপনারা হয়তো জানিয়া থাকিতে পারেন যে, তত্‍কালীন আরবেরা খুব বেয়াদপ বেতমিজ আছিল (যার প্রভাব এখনও পুরোপুরি যায় নাই!); তাহাদের ওভার-রসিকও বলা যায়। একটু বেশি পরিমাণে রসিকতা করিত আরকি!

তো একদা মুহাম্মদের মাথায় একটা ফোঁড়া উঠিল। আহা! কী ব্যাথা! তিনি মাথায় ফোঁড়া নিয়াই মসজিদে ইমামতি করিতে গেলেন। সেখানে কয়েকজন সাহাবী মুহাম্মদের ফোঁড়া দেখিয়া ফেলিল। তাহারা মুহাম্মদের মস্তক লইয়া রসিকতা করিতে চাহিল। কিন্তু মুহাম্মদের শরীরে ৩০ হর্স পাওয়ার আছিল বলে সাহাবিরা সুবিধা করিতে পারিতেছিল না। তাহারা ভাবিলো, আগে মুহাম্মদ নামাজে দাঁড়াক। তারপর দেখা যাবে!

মুহাম্মদ যথাসময়ে ইমামতি শুরু করিলেন। পেছনে অন্যরা ইমাম সাহেবকে ইক্তেদা করিয়া আল্লাফাকের রাহে নামাজ আরম্ভ করিল। কিন্তু কয়েকজন ওভার-রসিক নামাজের নিয়ত করিল না, এমনি দাঁড়াইল। মুহাম্মদ কেরাত পড়িলেন, রুকু করিলেন, তাছবিহ পড়িলেন এবং সিজদায় পড়িলেন। ওভার-রসিকদের রসিকতার সুযোগ মিলিল। তাহাদের একজন মুহাম্মদের মাথায় একখান চাট্টি বসাইল। সেটা মুহাম্মদ অনেক কষ্ট করিয়া হজম করিলেন। এরপর আরেকজন সাহাবী মুহাম্মদের মাথায় খড়ম বসাইল। এটা গিয়া লাগিল সরাসরি মুহাম্মদের মাথার ফোঁড়ায়!

মুহাম্মদ এইবার আর সহ্য করিতে পারিলেন না। তিনি নামাজ ভাঙ্গিয়া বেতমিজগুলারে দৌড়াইয়া লইয়্যা গেলেন। সে যাত্রায় বেয়াদপ সাহাবিরা অতি কষ্টে রক্ষা পাইল, কিন্তু মুহাম্মদের মাথার দুশ্চিন্তা দূরীভূত হইলো না। তিনি ভাবিতে লাগিলেন, কী করা যায়? সাহাবিদের রসিকতা বন্ধ করা যাইবে না। বরং এমন ব্যবস্থা করিতে হইবে, যেন তিনি হারামজাদাগুলার রসিতায় আপাতত ব্যাথা না পান। ভাবিতে লাগিলেন, ভাবিতে লাগিলেন...

এমন সময় তাহার মাথায় একখান দারুণ বুদ্ধি আসিল। মাথায় একটা ত্যানা মুড়িয়ে নিলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়! তিনি তাহলে চপ্পলের আঘাতে আর ব্যাথা পাবেন না।

পরের দিন তিনি মাথাটাকে ত্যানায় মুড়িয়ে মসজিদে গেলেন। সাহাবীরা জিজ্ঞেস করিলো, মুহাম্মদ, ইহা তুমি কী করিয়াছ? 

মুহাম্মদ অকপটে উত্তর দিলেন, ইহার নাম পাগড়ি! নামাজকালে পাগড়ি বাঁধা সুন্নত!

সেই থেকে মুসলমানের মাথায় ফোঁড়া না উঠিলেও মাথায় একখানা কাপ্পড় প্যাঁচাইয়্যা মসজিদে যায়!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন