আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৪

মিসরের ৮৬৬ জন নাস্তিক ও আস্তিকীয় মূত্রসমুদ্র

ধর্ম মানেই ব্যবসা, ধর্ম মানেই নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতা। ফলে যতো সুশীলতার ভানই তারা করুক না কেন, এক ধর্ম সব সময়ই অন্য ধর্মের প্রবল শত্রু। ইতিহাসে সংঘটিত অগণ্য ধর্মযুদ্ধই এর প্রমাণ। অবশ্য শুধু ধর্মে-ধর্মে নয়, একই ধর্মের দু'টি ভিন্ন গোত্রের মধ্যেও যুদ্ধ ও সহিংসতার নিদর্শন আছে বর্তমান সময়েও।

সমস্ত ধর্মের ঐক্য - এটা সম্পূর্ণভাবেই অলীক একটি ধারণা। তত্ত্বগতভাবে সম্ভবপর হলেও বাস্তবায়ন একেবারেই অবাস্তব। 

না, ভুল হলো। একটি বিষয়ে ধর্মগুলোর ঐক্য কিন্তু রীতিমতো সম্ভব। সেটা হচ্ছে: 'নাস্তিক ঠেকাও/হটাও/খেদাও' উদ্যোগ। এ ব্যাপারে ধর্মগুলোর গলাগলির উদাহরণ বিরল নয়। 

এই যেমন, মিসরে মুছলিম ও খ্রিষ্টান ধর্মগুরুরা নাস্তিকদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হবার ঘোষণা দিয়েছে। সে দেশে তরুণ-যুবকদের মধ্যে নাস্তিক্যবাদের ক্রমবর্ধমান প্রবণতায় তারা এতোটাই আতঙ্কিত যে, ধর্মীয় ভেদাভেদ পাশে ঠেলে কমন শত্রু নাস্তিকদের উত্থান রোধ করতে তারা একাট্টা হয়েছে।

এদিকে আরেকটি সংবাদে দেখা যাচ্ছে, মিসরে নাস্তিকদের সংখ্যা সাকুল্যে ৮৬৬ জন! সমগ্র আরব জাহানের দেশগুলোর মধ্যে মিসরেই সবচেয়ে বেশি নাস্তিক। ৩২৫ জন নাস্তিক নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মরক্কো। ইয়েমেনে নাস্তিক আছে ৩২ জন! 

এগুলো মনগড়া কোনও সংখ্যা নয়, বরং সরকারী উদ্যোগে নাস্তিকশুমারীর ফল বলে দাবি করা হয়েছে। এবং হাস্যকর এই ফলটিই খাওয়ানো হচ্ছে সরকারীভাবে।

হিসেব কষলে দেখা যায়, মিসরে পুরো জনসংখ্যার শতকরা ০.০০১ জন নাস্তিক। আরও বোধগম্যভাবে বললে - প্রতি এক লাখে একজন নাস্তিক। কী বিপুল সংখ্যা! ধর্মবাজদের ভীত হয়ে ওঠারই কথা! মিসরে প্রবল পরাক্রমশালী ইছলাম (শতকরা ৯০ জন) এককভাবে নাস্তিক্যবাদ রোধ করতে পারবে, সে বিষয়ে নিশ্চিত নয় বলেই আলিঙ্গনে জড়িয়েছে খ্রিষ্টধর্মকে (শতকরা ৯ জন)।

বাংলাদেশের প্রসঙ্গে আসা যাক। 

এখানে নাস্তিকদের সংখ্যা বিষয়ে আস্তিকদের প্রায়ই বলতে শোনা যায়: "আমরা সবাই মিলে মুতে দিলে নাস্তিকেরা ভেসে যাবে।" মেনে নিলাম। তাদের দাবি অনুযায়ী, নাস্তিকদের সংখ্যা ধর্তব্যের মধ্যেই পড়ে না। কথা সত্য। বাস্তবতাও সেটাই বলে। 

কিন্তু আস্তিকীয় মূত্রধারায় না ডুবিয়ে এই অঙ্গুলিমেয়, গৌণ, ক্ষমতাহীন নাস্তিকদের পুঁচকে ও ঐক্যবদ্ধতাহীন অসংগঠিত দল বিষয়ে আস্তিকদের বিরামহীন শিরঃপীড়া, হাম্বা-ম্যা-ম্যা হম্বিতম্বি ও উৎখাতের উচ্চকণ্ঠ দাবি থেকে প্রমাণিত হয়: বিশ্বাসীরা ভয় পায় নাস্তিকদের সংখ্যাকে নয়, তাদের প্রচারিত সত্যকে। 

কারণ সত্যকে মূত্রসমুদ্রে নিমজ্জিত করা যায় না। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন