আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শনিবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১৫

ধর্মত্যাগেই শান্তি

লিখেছেন পুতুল হক

আমি পুতুল হক, সজ্ঞানে, সুস্থমস্তিস্কে, কারো প্ররোচনা ব্যতিরেকে, কারো দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে বেশ কয়েক বছর আগে ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের তালিকা থেকে আমার নাম প্রত্যাহার করি। ইসলামকে ত্যাগ করার পেছনে কারো ক্ষতি করা আমার উদ্দেশ্য নয়, বরং কেউ যাতে করে আমার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেটাই মূল কারণ। 

ইসলামকে ত্যাগ করার সাথে সাথে আমি আমার বাকস্বাধীনতা হারাই, অনেক প্রিয় মানুষের সঙ্গ হারাই। 

মুসলিম পরিবারে জন্মাবার পেছনে আমার কোনো হাত ছিল না। এতগুলো বছর যে আমি মুসলমান ছিলাম, সেটাও আমার ইচ্ছাকৃত নয়। আমি যখন কথা শিখতে আরম্ভ করি, তখন থেকেই আমার মুখে আল্লাহ্‌র নাম, কলেমা তুলে দেয়া হয়। বয়স সাত পেরোবার আগেই আমি নামাজ পড়তে শিখি, কোরআন পড়তে শিখি, আল্লাহকে ভয় পেতে শিখি। আমার পরিবার থেকে আমি জানতে পারি - একমাত্র মুসলমান ছাড়া আর কেউ বেহেস্তে যেতে পারবে না। 

পাশের বাড়ির সুভাশিস কাকা, যিনি আমাদের পরিবারের সব বিপদে-আপদে বুক পেতে দিয়েছেন, আমার মায়ের জন্য মধ্যরাতেও ছুটোছুটি করে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতেন, আমার ভাইয়ের মাথা ফেটে গেলে কোলে করে ছুটতে ছুটতে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন, আমার টাইফয়েড হলে ধৈর্য ধরে একটু-একটু করে আমাকে ফলের রস খাইয়েছেন, তিনি নাকি জাহান্নামের আগুনে জ্বলবেন অনন্তকাল ধরে! 

সুভাশিস কাকার মত মানুষ যখন শুধুমাত্র "লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ" কথাটি উচ্চারণ না করার কারণে বেহেস্তে যেতে পারেন না, তখন সেই বেহেস্তে কারা থাকবে জানার ইচ্ছে জাগে। 

যে-সৃষ্টিকর্তা মানুষের মহত্বকে বিচার না করে তাঁর প্রতি আনুগত্য প্রকাশকে বিচার করেন, আমি সেই সৃষ্টিকর্তার ওপর থেকে আস্থা হারাই। এতো বিশাল বিশ্বব্রহ্মাণ্ড যিনি সৃষ্টি করতে পারেন, তিনি কখনো নীচ আর সংকীর্ণমনা হতে পারেন না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন