আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০১৫

ইছলামের স্বভাবসুলভ ইতরামি: কার্টুনের বদলে লাশ


থাবা বাবা নিহত হবারও আগে, ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, ধর্মকারীতে এই কার্টুন প্রকাশিত হয়েছিল। লক্ষণীয়, কার্টুনে একটি পত্রিকার নাম - Charlie Hebdo, যে পত্রিকার সম্পাদক ও কার্টুনিস্টসহ ১২ জনকে গতকাল হত্যা করেছে ইছলামী জঙ্গিরা।

এর আগেও একবার ২০১১ সালে ইছলামীরা এই পত্রিকা অফিসে বোমাহামলা ও অগ্নিসংযোগ করেছিল। সেই ঘটনা বিষয়ে ধর্মকারীতে প্রকাশিত হয়েছিল এই লেখা:

আঁকলে নবীর খোমা > খাইতে হবে বোমা
কোরবানির রক্তাক্ত দৃশ্য তাদের চোখে মধুর, বর্বর শরিয়া আইন তাদের কাছে মানবিক, ইসলামী যাবতীয় অপকর্মে তাদের প্রত্যক্ষ বা প্রচ্ছন্ন সমর্থন অথবা প্রশ্রয়সূচক নীরবতা। তবে তারা উচ্চকণ্ঠ, প্র্রতিবাদী ও জঙ্গি হয়ে ওঠে কোরান ও নবী সংক্রান্ত তাদের হাস্যকর ধর্মানুনুভূতি উত্থিত হয়ে উঠলে। 
এই যেমন নবীর ছবি আঁকা নিয়ে ইছলামী হাউকাউ। তার খোমা অঙ্কন যদি নিষিদ্ধ হয়েই থাকে, সেই আইন মুসলমানদের জন্য প্রযোজ্য হতে পারে। সেটা তারা মেনে চলুকগে। অন্যেরা তার ছবি আঁকতেই পারে। মদ, শুয়োরের মাংস ইসলামে নিষিদ্ধ বলে অন্যেরা খেতে পারবে না? এটাকেই বলে ইপিছলামী যুক্তি। 
সাম্প্রতিকতম একটি ইছলামী ইতরামি সম্পর্কে লিখে পাঠিয়েছেন Suirauqa.
"চার্লি এবদো" (Charlie Hebdo) ফ্রান্স-এর ব্যঙ্গাত্মক পত্রিকা। প্রায়শই কটুভাবে শ্লেষাত্মক এবং তথাকথিত সভ্যতার সীমাবিগর্হিত এই পত্রিকার বিশেষত্বই হল সকলের প্রতি সমানভাবে বিদ্রূপবর্ষণ। অনেকদিন ধরেই তাদের বিরুদ্ধে মৌলবাদী মুসলমানদের বিক্ষোভ, বিশেষত ২০০৬ সালে তারা ডেনমার্কের সংবাদপত্র ঈলান্ডস্‌- পস্টেন-এ প্রকাশিত নবী মোহম্মদের কার্টুন পুনঃপ্রকাশ করার পরে তো আর কথাই নেই। গত কয়েকদিন আগে তারা ঘোষণা করে যে আজ, বুধবার, তারা একটা বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করবে "শারিয়া এবদো" (Charia Hebdo) নামে, যা কিনা ফরাসী ভাষায় শরিয়া আইনের নাম থেকে নেওয়া। তিউনিসিয়ার নির্বাচনে এক ইসলামী দলের জিত উপলক্ষে প্রকাশিতব্য ব্যঙ্গমূলক এই সংখ্যাটির "অতিথি সম্পাদক" হবেন নবী মোহম্মদ, এবং তাতে একটি নবীর কার্টুন থাকবে, তাতে লেখা থাকবে "১০০ কশাঘাত, যদি হাসতে হাসতেই মরে না যাও!"
আজ ভোর পাঁচটা নাগাদ কোনো এক বা একাধিক অজানা দুষ্কৃতি পত্রিকার অফিসে একটি আগুনবোমা, যার পোষাকি নাম "মলোটভ কক্‌টেইল", ছুঁড়ে অগ্নিসংযোগ করে প্রভূত ক্ষতিসাধন করে। জানালা দিয়ে সেটি ভিতরে ছুঁড়ে দেওয়া হয়, এবং আগুনের ফলে কাগজপত্র, কম্পিউটার, বিদ্যুতবাহী তারসমূহ ইত্যাদি নষ্ট হয়ে যায় - যদিও বিশেষ সংখ্যাটি ততক্ষণে দোকান এবং গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেছে, এবং সঠিক সময়ে প্রকাশিত হবে। 
ফরাসী অথরিটিরা এই ঘটনাকে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ বলে চিহ্নিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া ফিওঁ একটি বিবৃতিতে বলেছেন, "বাকস্বাধীনতা আমাদের গণতন্ত্রে একটি অচ্ছেদ্য অঙ্গ, এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর সমস্ত আক্রমণের তীব্র ভাষায় নিন্দা করা প্রয়োজন। কোনো ঘটনা এরকম একটি হিংসামূলক কাজের অজুহাত হতে পারে না।"
ফরাসী ইসলাম ধর্মীয় কাউন্সিল-এর প্রধান মোহম্মদ মুসাউই অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস-কে জানিয়েছেন তার সংগঠন এই সংবাদপত্রের ইসলাম এবং নবীর প্রতি ব্যঙ্গবিদ্রূপ ঘোরতরভাবে অপছন্দ করে, কিন্তু তারা কোন হিংসামূলক কাজের ঘোর বিরোধী। 
Yeah. Right.
এই হামলার পরে পত্রিকার যে-সংখ্যাটি প্রকাশিত হয়েছিল, সেটার প্রচ্ছদে পত্রিকার কার্টুনিস্টের সঙ্গে এক মোল্লার ফরাসী চুম্বন-এর দৃশ্যে ক্যাপশন ছিলো: ঘৃণার চেয়ে ভালোবাসা বেশি শক্তিশালী।


কিন্তু ইছলাম চরিত্রগতভাবেই বর্বর, অমানবিক। তাই চুমার চেয়ে বোমা সে বেশি ভালোবাসে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন