আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

মুমিন মুসলমানদের জন্য যুক্তি-তর্কে জিতিবার সহি সহজ মাসায়েল

লিখেছেন শ্রোডিঞ্জারের বিড়াল


যথাসম্ভব দুর্বোধ্যভাবে উত্তর প্রদান করিবে। 

"takla basay lekla laka podte kobe kasto hay, tay kao ottor deta padbe na."

বাংলা লিখলে আরবী, বাংলা এবং অদ্ভুত সব মিশ্র জগাখিচুড়ি বাক্য ব্যবহার করে, কঠিন কঠিন শব্দ ব্যবহার করে ভাবগাম্ভীর্যমূলক মনে হয় এমনভাবে উপলব্ধির অযোগ্য সব বাক্য রচনা করিবে। এতে যেসকল মুমিন মুসলমান সাপোর্ট দিতে পড়িতে আসিবে, তাহারা তোমার জবাব পড়িয়া বাহ বাহ সুবহানাল্লাহ বলিবে, কিন্তু বিপক্ষ আগামাথা বুঝিতে পারিবে না।

বিপক্ষ যদি কোরানের এমন আয়াত লইয়া আসে, যেটা তুমি ডিফেন্ড করিতে অক্ষম, তবে বড় করিয়া "ইহা প্রসঙ্গ বুঝিয়া পড়িতে হইবে, কনটেক্সট এর বাইরে এই আয়াত বুঝা যাইবে না" বলিয়া চিৎকার করিবে এবং মনমতো কনটেক্সট হাজির করিবে।

কেউ যদি এমন হাদিস নিয়ে আসে, যার জবাবে কিছু বলা যায় না, তবে ঊক্ত হাদিসকে ওই স্থানেই জাল ঘোষণা করিবে, এবং 'বুখারীও একজন মানুষ ছিলেন তারও ভুল হয়' জাতীয় কথা বলিয়া ত্যাঁনা প্যাঁচাইবে।

যদি কেউ কোরানের আয়াত এবং সেই আয়াতেরই ব্যাখ্যা বা কনটেক্সট-এর হাদিস হাজির করে, যেটির জবাব দিতে তুমি অক্ষম, তবে "কেবলমাত্র আরবিতেই এটা বুঝা সম্ভব, অনুবাদ দিয়া যাচাই করিয়া বোঝা সম্ভব না; আগে আরবী শিখিয়া আসো" বলিয়া বিপক্ষকে আরবি-অজ্ঞতার লজ্জায় ধুলিস্যাৎ করিবে।

কেউ যদি আরবিতেও পারদর্শিতা দেখায়, তবে 'অমুক আয়াত ও হাদিস শুধু নির্দিষ্ট সময়েই প্রযোজ্য ছিল, আজকের দিনের সাথে মিলাইলে হবে না, তৎকালীন পরিস্থিতি বুঝিতে হইবে' জাতীয় কথা বলিয়া বিজয়ের নিশান উড়াইবে।

যখন কোনোরূপ জবাবই দিতে পারিবে না বা কোনোভাবেই পারিয়া ঊঠিতেছ না, তখন Islam is the fastest growing religion and soon it will be proven to the whole world জাতীয় কথা বলিয়া রেডি থাকা ইসলামিক সাইট হইতে গরু রচনা কপি-পেস্ট করিবে।

যখন কেউ প্রমাণ নিয়া আসিবে যে, ইসলাম সর্বাধিক দ্রুত প্রসারণশীল ধর্ম নযহে, তখন ওইসব তথ্যকে ভুয়া, পক্ষপাতিত্বপূর্ণ, এবং খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের মিথ্যাচার বলে অভিহিত করিবে।

কোরানের এদিক-সেদিক হইতে ইচ্ছামতো আয়াত কপি-পেস্ট করিবে, যার সহিত বিতর্কের কোনো সম্পর্ক আছে না নাই, সেটা মূখ্য নহে, শুধু সকলে বিভ্রান্ত হইলেই চলিবে। বিভ্রান্ত হওয়া মাত্র বিতর্কের টপিক অন্যদিকে ঘুরাইয়া দিবে।

যদি কখনো একেবারেই কোণঠাসা হইয়া পড়ো, তবে ব্যক্তিগত আক্রমণ, হুমকি, 'খুন কইরা ফালামু, জবাই কইরা দিমু' কিংবা 'তুই জাহান্নামে পুড়বি, জাহান্নামে অমুকভাবে টর্চার হবি' - এইসব বলিয়া 'তোরা ইসলামের যোগ্য না, আল্লাহ তোদের অন্তরে তালা মেরে দিয়েছেন' জাতীয় কথা বলিয়া বিজয় সুনিশ্চিত করিবে।


সর্বদিক হইতে হারিয়া গেলেও 
- নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করিয়া মুসলিম ভাইদের লাইক বন্যায় গোছল করা,
- বোরকা-বিরোধীদের মা বোনদের বেশ্যা, পতিতা, আশ্বিন মাসের কুত্তী - এইসব বলিয়া নারীদের হিজাবের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা, 
- খ্রিষ্টান ধর্মের ভুল বাইর করিয়া 'উহারা ভুল, তাই আমরা সঠিক' জাতীয় দাবী করা,
- টপিক হইতে টপিকে বোরাকের মত লম্ফঝম্ফ করা,
- স্কেপটিকের ভান ধরিয়া উত্তরের দিকে নজর না দিয়া একের পর এক প্রশ্নবানে বিদ্ধ করিয়া ছিন্ন ভিন্ন ব্রাশ ফায়ার করিয়া বিপক্ষকে ক্লান্ত বিরক্ত করার মাধ্যমে ঈমানদন্ডের উচ্চতা প্রতিষ্ঠা করা,
- জাকির নায়েক, মরিচ বুখাইলি জাতীয় লোকদের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী ও বৈজ্ঞানিক ভেলিডিটির ভিত্তি হিসেবে ধরিয়া তাহারা যা-ই বলেন তা-ই প্রমাণিত বিজ্ঞান হিসেবে ব্যক্ত করা, এবং
- সকল কিছুতেই ইহুদিদের দোষ খুঁজিয়া বাহির করিবার চর্চায় দক্ষতা অর্জন করিতে পারিলেই একজন মুসলিম সকল প্রকার বিতর্কে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সুনিশ্চিতভাবে বিজয়লাভ করিয়া ইসলামের ঝাণ্ডা উন্নীত করিতে পারিবে।

সেই ঝাণ্ডা এতই উঁচু হইবে যে, যুক্তি বা বিজ্ঞানের রকেট উত্তোলন করিয়া বিরোধী দল চাঁদ মঙ্গল বা শনিতে হয়তো বা যাইতে পারিবে, কিন্তু ইসলামের ঝাণ্ডার উচ্চতায় বুরাক ব্যতিত কিছুই, এমনকি তাদের ওইসব রকেটও পৌঁছাইতে পারিবে না।

সবাই বলেন, আমিন...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন