আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

জাহান্নামে আল্লাহর পা

লিখেছেন অর্ণব খান

সহিহ বুখারীর সূত্রমতে - আল্লাহ নিজেই জাহান্নামী।

শুধুমাত্র তাকে অবিশ্বাস করার জন্য একজন সৎ মানুষকেও অনন্ত কাল জাহান্নামে পোড়াতে চায় যে-আল্লাহ, সেই আল্লাহকে সাইকো বা স্যাডিস্টিক বললেও কম বলা হয়। এই সাইকো আল্লাহর উপযুক্ত শাস্তি হত, যদি সে নিজেই জাহান্নামের আগুনের জ্বালা টের পেত। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ইসলামি সূত্রানুযায়ী - আসলেই আল্লাহ জাহান্নামের স্বাদ গ্রহণ করবেন। কীভাবে?

জাহান্নাম পূর্ণ করা হচ্ছে আল্লাহর ওয়াদা। কিন্তু যেহেতু মানুষ আর জ্বীন দিয়ে জাহান্নাম পূর্ণ হবে না, তাই আল্লাহ নিজেই তার পা জাহান্নামে ঢুকিয়ে দিয়ে জাহান্নাম পূর্ণ করবেন। দেখুন বুখারীর হাদিস:
আবু হুরাইরা (রা) হতে বর্ণিত যে, নবী (স) বলেছেন, জান্নাত ও জাহান্নাম পরস্পর বিতর্কে লিপ্ত হয়। জাহান্নাম বলে দাম্ভিক ও পরাক্রমশালীদের দ্বারা আমাকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। জান্নাত বলে, আমার কি হলো? আমাতে কেবল মাত্র দুর্বল এবং নিরীহ লোকেরাই প্রবেশ করেছে। তখন আল্লাহ্‌ তাবারাকা ওয়া তা'আলা জান্নাতকে বলবেন, তুমি আমার রহমত। তোমার দ্বারা আমার বান্দাদের যাকে ইচ্ছা আমি অনুগ্রহ করব। আর তিনি জাহান্নামকে বলবেন, তুমি হলে আমার আযাব। তোমার দ্বারা আমার বান্দাদের যাকে ইচ্ছা শাস্তি দেব। জান্নাত ও জাহান্নাম প্রত্যেকের জন্যই রয়েছে পরিপূর্ণতা। তবে জাহান্নাম পূর্ণ হবেনা যতক্ষণ না তিনি তার কদম মুবারক তাতে রাখবেন। তখন সে বলবে বস বস বস। তখন জাহান্নাম ভরে যাবে এবং এর এক অংশ অপর অংশের সাথে মুড়িয়ে দেয়া হবে। আল্লাহ্‌ তাঁর সৃষ্টির কারো প্রতি জুলুম করবেননা। অবশ্য আল্লাহ্‌ তা'আলা জান্নাতের জন্য অন্য মাখলূক পয়দা করবেন।
(বুখারী শরীফ, বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন, অষ্টম খন্ড, হাদীস নং ৪৪৮৬)

দেখলাম যে, বুখারীর হাদিস অনুযায়ী আল্লাহ জাহান্নামী। এখন কোরান ঘেঁটে দেখি - আল্লাহর নবী ঈসাও জাহান্নামী। দেখুন আল্লাহর আয়াত:
তোমরা এবং আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যাদের পুজা কর, সেগুলো দোযখের ইন্ধন। তোমরাই তাতে প্রবেশ করবে।
(সূরা আম্বিয়া ১১২:৯৮)
খ্রীষ্টানরা যেহেতু ঈসা নবীকে গড বলে পুজা করে, তাই ঈসা নবীর আর কোনো উপায় রইল না জাহান্নামে যাওয়া ছাড়া।

সম্পূরক প্রশ্ন: পৌত্তলিকরা যেসব মূর্তি পুজা করে, সেগুলোর কোনো প্রাণ/ক্ষমতা নেই বলেই ইসলামের প্রচারণা শুরু হয়েছিল। সে মূর্তিগুলোকে জাহান্নামে পাঠালে কার কী আসবে যাবে? আল্লাহ এত নির্বোধ কেন? সামান্য মূর্তির প্রতি তার এত আক্রোশ কেন?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন