আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ২৬ মার্চ, ২০১৫

'কম' মুসলিম, 'বেশি' মুসলিম

লিখেছেন পুতুল হক

পাকিস্তানীরা বাঙালিদের "কম" মুসলমান বলে ঘৃণা করতো। বাঙালি আজও পাকিস্তানীদের "বেশি" মুসলমান বলে ভালোবাসে। 'পাকিস্তানীরা কত্তো সুন্দর! কী সুন্দর গমের মত গায়ের রঙ তাঁদের। আহারে..., কতো উঁচা-লম্বা পাকিস্তানী শের! আর মেয়েগুলাতো জান্নাতি হুর। উর্দুতে কথা শুনলে কলিজা জুড়িয়ে যায়।' পাকিস্তানীদের সম্পর্কে এই হলো বাঙালির সাধারণ মন্তব্য! 

এই প্রশংসায় ঢাকা পড়ে যায় ৭১ এর গণহত্যার কথা, লক্ষ লক্ষ নারীর ধর্ষিত হবার কথা, সব কিছু হারিয়ে শরণার্থী হবার কথা। আমরা ভুলে গেছি কতোটা ত্যাগ স্বীকার করেছিল আমাদের পূর্বপুরুষ আমাদেরই জন্য। একটি আধুনিক, ধর্মীয় গোড়ামিমুক্ত, মানবতাবাদী রাষ্ট্র উপহার দেবার জন্য। তাঁদের ত্যাগের প্রতিদান আমরা দিচ্ছি 'পাইক্যা, আমাকে বিয়ে করো' প্ল্যাকার্ড দেখিয়ে! 

৪৪ বছরেও ওরা আমাদের কাছে ক্ষমা পর্যন্ত চায়নি ৭১-এর পৈশাচিকতার জন্য। আমাদের হাতের প্ল্যাকার্ডে কি লেখা থাকা উচিত ছিল না 'ক্ষমা চাও'? পাকিস্তানের ৭১ পরবর্তী প্রজন্মের সাথেও বা কীভাবে আমাদের সুসম্পর্ক থাকে? ওদের সরকার কি ওদের সামনে প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরেছে কখনো? আমাদের বাংলাদেশেই যখন বারবার ইতিহাসের প্লাস্টিক সার্জারি করা হয়, পাক হানাদার বাহিনীর বদলে শুধু হানাদার বাহিনী লেখা হয় তখন ওদের সরকারের কি ঠ্যাকা? ওদের ধর্মান্ধ, মৌলবাদী প্রজন্মের কাছ থেকে বাংলাদেশের প্রতি সম্মান, সহানুভূতি আশা করাটাও বোকামি। 

যাদের ঘৃণা করার কথা, তাদের আমরা বুকে জড়িয়ে ধরি আমাদেরই বাবা-ভাইয়ের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে। 

ওদের মেয়েদের রূপে আমরা মুগ্ধ হই আমাদের ধর্ষিত বোনের কান্নাকে ভুলে। 

ওদের খেলোয়াড়দের সমর্থন জানাই আমাদের মানচিত্রকে অপমান করে। 

অনেক বছর আগে ভারতের জনপ্রিয় টিভি তারকা তাঁর একটি অনুষ্ঠানে কৌতুক করে বলেছিলেন যে, বাংলাদেশও বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলে! শুধুমাত্র এই একটি উক্তির কারণে তাঁর আর কোনো অনুষ্ঠান আর কখনো দেখিনি। আমার খুব কষ্ট হয়েছিলো, কারণ আমার দেশের খেলোয়াড়দের অপমান করা মানে আমাকে অপমান করা। আঘাতটা সরাসরি আমার বুকে এসে বিঁধেছিল। এটা আমার দেশপ্রেমের প্রমান নয়, আমার শুদ্ধ আবেগ। 

একটি উক্তির কারণে শেখর সুমনকে যদি আমি আস্তাকুঁড়ে ফেলতে পারি, তাহলে পাকিস্তানীদের আমি কোথায় ফেলবো? কোথায় ফেলা উচিত? সৌদি আরবে যখন বাংলাদেশী শ্রমিকদের ওপর অকথ্য অত্যাচার করা হয়, সেই অত্যাচার আমার ওপর অত্যাচার। 

কে হিন্দু, কে মুসলমান, কে খ্রিষ্টান, আমার তা দেখার বিষয় নয়। আমাকে যে অপমান করে, কষ্ট দেয় সে-ই আমার শত্রু। ঘৃণা করি তাকে আমি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন