আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৫

পবিত্রতার ধারণা

লিখেছেন নাস্তিক দস্যু

ফোরকানিয়া মাদ্রাসায় পড়তে গিয়ে এক ছোট্ট ছেলে দেখতে পেল, ছেলেমেয়েরা পবিত্র কোরানে পা লাগলে আদবের সহিত সালাম করে। আবার রেহাল, জোযদান ইত্যাদির সাথে পা লাগলেও সালাম করে। সে শুনেছিল, কোরান পবিত্র জিনিস, তাই ওটাতে পা লাগলে সালাম করতে হয়। কিন্তু রেহাল-জোযদানে পা লাগলে সালাম করার দরকার কী? এই প্রশ্ন তার মনে ঘোরপাক খেতে লাগল।

একদিন সে তার হুজুরকে জিজ্ঞেস করল, “হুজুর, কোরানের সাথে পা লাগলে সালাম করতে হয়, এটা নাহয় বুঝতে পারলাম। কিন্তু রেহাল-জোযদানে পা লাগলে সালাম করতে হবে কেন?”

হুজুর উত্তরে বলল, “পবিত্র কোরান এমন একটি পবিত্র জিনিস, যার সংস্পর্শে যা কিছু আসে, সবই পবিত্র হয়ে যায়। কোরানের সাথে রেহাল, জোযদান স্পর্শ হওয়ার কারণে এসবও পবিত্র এবং দামী হয়ে গেছে। তাই এসবকেও সম্মান করতে হবে।”

কথাটি ছেলেটির মনে গেঁথে রইল যে, পবিত্র কোরানের স্পর্শে যা কিছু আসে, সবই পবিত্র হয়ে যায়।

একদিন ছেলেটি বড় হলো। সে ইসলামের খেদমতের উদ্দেশ্যে নিজেকে তাবলীগ জামাতের সাথে সংযুক্ত করল।

একদিন সে ইসলাম প্রচারে বের হল। একটা বাড়িতে গিয়ে দেখে বাড়ির কর্ত্রী মাশাল্লয়াহ! বাড়িতে কর্তা নাই। এই তো সুযোগ! সাথে সাথে ছেলেটি মুহাম্মদী আদর্শে বলীয়ান হয়ে উঠল। সে বিভিন্নভাবে ঐ রমণীকে ভুলিয়ে ভালিয়ে মেরাজের জন্য রাজি করাল। তারপর আল্লার নাম নিয়ে শুরু হল মেরাজকার্য। কাজ প্রায় শেষের দিকে। একটু পরেই হাউজে কাউছারের পানি বের হবে। হচ্ছে... হচ্ছে...

এমন চরম টাইমে ঘরের বাইরে কর্তা এসে তার বউকে ডাক দিল, “এই রাবেয়া! রাবেয়া! দরজা বন্ধ ক্যান?”

ইসলামের খেদমতে আসা ছেলেটা গেলো বিপদে পড়ে। এখন সে কী করবে? এইসব কোথায় মুছবে? এই ঘরের কোন জিনিস দিয়ে মোছা যাবে না। তাহলে কর্তার নজরে পড়ে যেতে পারে। ওইদিকে কর্তা চেঁচিয়ে চলেছে, “এই রাবেয়া!...”

ছেলেটা খুব দ্রুত ভাবতে লাগল। হঠাৎ তার মনে পড়ল, সে আসার সময় তালিম দেয়ার জন্য একটা কুরান সাথে এনেছিল। তাড়াতাড়ি তার থেকে একটা পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ঈমানদণ্ডখানা মুছতে লাগলো। এটা দেখে রমণী খুবই অবাক হল। কোরান দিয়ে মাল মুছা হচ্ছে! 

রমণী ছেলেটিকে জিজ্ঞেস করল, “এইটা তো কবিরা গুনাহ! এইরাম করলেন ক্যা?”

ছেলেটি তখন ঔ হুজুরের ফতোয়াই দিল, “পবিত্র কোরান এমন একটি পবিত্র জিনিস, যার সংস্পর্শে যা কিছু আসে, সবই পবিত্র হয়ে যায়। কোরানের সাথে ঈমানদনণ্ড স্পর্শ হওয়ার কারনে এটাও পবিত্র এবং দামী হয়ে গেছে। তাই এটাকেও সম্মান করতে হবে।”

আরও বলল, “আমার ইয়েটা কোরানের সাথে লাগার ফলে পবিত্র এবং সম্মানীত অই গেছে। এখন কোরান যেমন পবিত্র, আমার ঈমানদণ্ডও তেমনই পবিত্র!”

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন