আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ১৯ মে, ২০১৫

দাঁড়িয়ে প্রস্রাব কি হারাম?

লিখেছেন নাস্তিক দস্যু

এক মুমিন ভাইলোক কর্তৃক হুজুরের কাছে জানতে চাওয়া হল, “হুজুর, দাঁড়িয়ে পেশাব করা প্রসঙ্গে ইসলাম কী বলে?” 

হুজুর: “দাঁড়িয়ে মুতা হারাম।” 

ব্যক্তি: “অতি উপায়হীন অবস্থায়?” 

হুজুর: “যেমন?” 

ব্যক্তি: “আমি জিন্সের প্যান্ট পরিধান করি। বসে বসে পেশাব করতে গেলে প্যান্টে মুতের ছিটা লাগে। প্যান্ট নাপাক হয়ে যায়। নামাজ পড়া তখন হারাম হয়ে যায়। এমতাবস্থায় দাঁড়িয়ে পেশাব করা যাবে?” 

হুজুর: “প্যান্ট একটি ইহুদি-নাসারার পোষাক। এটি পরা হারাম। আপনি একটা ঢিলেঢালা পায়জামা সেলাই করবেন। তারপর আর বসে মূত্র ত্যাগ করতে সমস্যা হবে না।” 

ব্যাক্তি: “কিন্তু হুজুর পায়জামার উপর শার্ট পরলে দেখতে খুব খারাপ লাগবে।” 

হুজুর: “শার্টও একটা বিধর্মী পোষাক। তাই এটিও ত্যাগ করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই দাঁড়িয়ে পেশাব করা যাবে না।” 

হুজুরের জবাব পেলেন তো? এখন আমরা দুটো হাদিস দেখব। 
হযরত হুযায়ফা (রা) হতে বর্ণিত:
তিনি বলেছেন, একদা রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্থানের নিকট দিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করেন।
বুখারিতে আরও একটি হাসিদ আছে একই বিষয়ে। এ ছাড়া মুসলিম, তিরমিযী, ইবনে মাজা, নাসাঈ, আবু দাউদ শরীফ, কিতাবুত তাহারাত-এ অনুরূপ ঘটনার উল্লেখ আছে। 

এখানে দেখা যাচ্ছে যে, খোদ নবীজিই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে রহমতের কাজটি সেরেছে! অথচ ধর্মব্যবসায়ী হুজুরেরা বলেছে, কোনো অবস্থাতেই দাঁড়িয়ে মুত্র ত্যাগ করা যাবে না! মুহাম্মদের দাঁড়িয়ে মুতার ব্যাখ্যায় এবার হুগুররা নিশ্চয়ই বলবে যে, অতি প্রয়োজনের সময় তা জায়েজ।

নষ্টদের প্রয়োজনে সব জায়েজ, আর অন্যদের প্রয়োজনে সব হারাম। আরে হারামীরা, কোরান-হাদিস তোদের মত ব্যাখ্যা করতে পারিস, আর নাস্তিকেরা যৌক্তিকভাবে কিছু বললেই কল্লা কাটার ফতোয়া?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন