নাস্তিক বাংলাদেশ নামের ফেইসবুক পেইজের সৌজন্যে
# নাস্তিকরা কথায় কথায় কুরান-হাদিস থেকে রেফারেন্স দেয়। আপনি প্রথমেই দেখে নিন, উক্ত রেফারেন্সটি কুরান না হাদিসের। কুরানের হলে বলে দিন, “যখন কুরআনের আয়াত পড়বেন, তখন রেফারেন্স দেয়া আয়াত-এর আগের লাইন ও পরের লাইন বুঝে পড়বেন। সম্পূর্ণ সুরা পড়বেন। না বুঝে চিল্লাচিল্লি করবেন না।” আর যদি রেফারেন্সটি হাদিস-এর হয়, তাইলে বলুন, "এটা সহীহ হাদিস না।" তারপরও যদি চিল্লায়, বলুন, "উক্ত আয়াত/হাদিস এর অর্থ পশ্চিমারা বিকৃত করছে। প্রকৃত অর্থ অন্য রকম হবে।"
# নাস্তিকরা বলে, ইসলাম নাকি সন্ত্রাসের ধর্ম, মুসলিমরা সন্ত্রাসী। কী বিপদ! টেনশন নিয়েন না। উত্তর আছে। বলে দিন, “সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম নেই।”
# কুলাঙ্গারগুলা নারীর অধিকার নিয়া বেশি রকমের ফালাফালি করে। একটা ধর্ষণ হইলে একদম কইলজা ফাটাইয়া আন্দোলন করে। ওরা বোঝে না, বোরখা না পরলে ধর্ষণ হওয়াই স্বাভাবিক। ইসলাম নারীদের সবচেয়ে বেশি সম্মান দিছে।
# নাস্তিকরা এমন একটা ভাব লয় যে, তারা অনেক জ্ঞানী। ভাব চুদানোর টাইম নাই। একটা ডায়লগ দিয়ে দিবেন সময় মত, “অল্প বিদ্যায় নাস্তিক, অধিক বিদ্যায় আস্তিক।” এক্ষেত্রে কোনো চিন্তাবিদের রেফারেন্স দিতে পারলে ভাল। নো টেনশন, অনেক চিন্তাবিদই এই টাইপের বাণী দিয়েছেন।
# বিজ্ঞানের বিভিন্ন আবিষ্কার নিয়ে নাস্তিকরা বাহাদুরি করে। বাহাদুরির কিছু নাই, আপনেরা এইটা আবিষ্কার করলেন সেইদিন, আর এটা কুরানে বলা হইছে ১৪০০ বছর আগে। কেমনে সম্ভব হইল? এখনো সময় আছে, কুফরি ছাইড়া লাইনে আসেন।
# আল্লাহ আছে, এইটার প্রমাণ চায় নাস্তিকরা। কী করি, কন তো? আরে বলদরা, তোদের তো চোখ নাই, থাকলেও অন্ধ। আল্লাহ যে আছে, তার প্রমাণ তো তুই নিজে। তোর চারপাশের গাছপালা, মাটি, বাতাস, সূর্য, সাগর মহাসাগর... এইগুলা কি এমনে এমনে সৃষ্টি হইছে রে, বলদ? মনে কর, একটা বিল্ডিং, তার নিশ্চয়ই একজন বিল্ডার থাকবেন। এমনে এমনে তো ইট বালু সিমেন্ট মিল্লা বিল্ডিং হইয়া যায় নাই (এক্ষেত্রে হাতঘড়ির উদাহরণটাও অনেক জনপ্রিয়। চাইলে দিতে পারেন)! ওরা যদি পাল্টা প্রশ্ন করে যে, আল্লাহ কি তাইলে এমনি এমনি আইছে? আল্লাহরে কে বালাইলো? মুমিন ভাইয়েরা, ঘাইমা যাইয়েন না। উত্তর আছে। বলবেন যে, আল্লাহর ক্ষেত্রে এই প্রশ্ন প্রযোজ্য নয়। আল্লাহকে নিয়া চিন্তা করার মত জ্ঞান আল্লাহ আমাদের দেন নাই। এই বিষয়ে চিন্তা করলে মাথা পাগলও হয়ে যেতে পারে। তাই আল্লাহকে নিয়ে চিন্তা না করে তাঁর সৃষ্টিকে নিয়ে চিন্তা করেন। ওদেরকে পাল্টা প্রশ্নও ছুঁড়ে দিতে পারেন যে, “আল্লাহ যে নাই, এইটা তুমি প্রমাণ করো।” ইনশাল্লাহ বেশ কাজে দিবে।
# আল্লাহ যে আছে, তাঁর সবচেয়ে বড় প্রমাণ হলো কুরান কারীম। ও আচ্ছা, আপনেরা তো কুরান ও বিশ্বাস করেন না। কুরান যে আল্লাহর বাণী, তাঁর প্রমাণ মুহাম্মদ (সাঃ) নিজে। তিনি বলছেন যে কুরান আল্লাহর বাণী, আর নবীজি ছিলেন আল আমিন বা বিশ্বাসী। তিনি মিথ্যা বলতে পারেন না।
# অনেকেই নবিজীর বিয়ে নিয়ে কটুক্তি করেন। তিনি ১৩ টা বিয়ে করছেন। তো কী হইছে? বিয়ে ছাড়া তো কিছু করেন নাই। যা করছেন নিজের বউ-এর সাথেই করছেন। আর আল্লাহপাক তাকে যত খুশি বিয়ের অনুমতি দিছেন। তাই বলে কিন্তু আপনে আমি এমনটা পারবো না; উম্মতদের জন্য ৪ টার বেশি যায়েজ নাই। আর অনেক বদমাইশ আমাদের মা আয়েশার ব্যাপারটা তুলে আমাদের নাজেহাল করতে চায়। ৬ বছরের মাইয়ার সাথে তো আকাম করে নাই। বিয়ে করছে। সমস্যাটা কী? আর ৬ বছর হইলে কি হইবো, মা আয়েশার তখন যৈবন শুরু হয়ে গেছিল। আরবে অনেক তারাতারি যৈবন আসে কিনা...
# নাস্তিকরা খালি যুক্তি যুক্তি করে। যুক্তি বেশি বুইঝা ফালাইছে। আপনে যতই কন, ওদের ধর্মানুভুতিতে আঘাত দেয়া সব যুক্তির সাথে পেরে উঠবেন না। চিন্তা নাই, আমাদের শেষ ভরসা জাকির ভাই। বলবেন, “যা, পারলে জাকির নায়কের সাথে বিতর্ক কর। দেখি কত হেডাম!”
# কিছু নাস্তিক একটু নেতা টাইপের হয়। আন্দোলন ফান্দোলন নিয়ে ফালাফালি করে। ব্লগার হত্যার বিচার বিচার করে। ওদের শায়েস্তা করতে একটা ডায়লগই যথেষ্ট: “হারামির বাচ্চা, বেশি লাফাইস না, তাইলে তোর অবস্থাও অভিজিৎ-এর মত হবে।” – হাহাহা... দেখবেন একদম চুপ মাইরা যাইব বেশির ভাগ।
# ওরা কথায় কথায় বিজ্ঞান বুঝাইতে চায়। আপনি যদি সাইন্স-এর ছাত্র না হন, হলেও যদি সাইন্স কম বুঝেন, তাইলে আর কী করা, বলেন যে, আমি বিজ্ঞান বুঝতে চাই না। আল্লাহকে চিনতে হলে বিজ্ঞানের আরো অনেকদুর যেতে হবে। আমি মুমিন, বিশ্বাসী। বিজ্ঞান আমার দরকার নাই, চোখ বন্ধ করে আমি আল্লাহ আর রাসুলকে বিশ্বাস করে যেতে চাই। এরপর ওই নাস্তিক হালার আর কী করার থাকে, কন তো!
# এইরুপ অন্ধ বিশ্বাসের কথা শুইনা অনেক নাস্তিকের বাচ্চা আপনাকে নিয়ে হাসি-তামাশা করতে পারে। তখন কমেন্টে আপনার কিছু জাঁদরেল শিবির টাইপের ফেইসবুক ফ্রেন্ডকে মেনশন কইরা তর্কে ইনভাইট করবেন। ওরা আইসা কিছু খাস বাংলায় অশ্লীল গালাগাল দিলেই সব ঠাণ্ডা, একদম পানির মত!
# কিছু নাস্তিক আছে কুত্তার লেজ, গালাগাল খাইয়াও থামবে না। তখন আর কী করা! আল্লাহ আর রাসুলের সম্মান বাঁচাতে সোজা চলে যাবেন চাপাতি ধার দিতে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন