লিখেছেন রহমান পৃথু
রোজা প্রমাণ করে, কুরান আল্লাহর বাণী নয়, মুহাম্মদের লেখা।
রোজা আরো প্রমাণ করে, মুহাম্মদ আল্লাহর নবী নয় - আল্লাহ নেই।
প্রমান দিচ্ছি:
কুরানে আছে: রোজা পালনে -
সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকতে হবে।
[সূরা বাকারা: ১৮৭ নাম্বার আয়াত]
এ আয়াত তাঁর লেখা, যাঁর মক্কার বাইরের এবং পৃথিবীর বক্রতা ও দিন-রাত সংঘটিত হওয়ার বৈজ্ঞানিক নিয়ম সম্বন্ধে কোনো ধারণা ছিল না। পৃথিবীর আকৃতি ও বসবাসকারী মানুষ সম্পর্কে তিনি অবগত ছিলেন না।
যিনি এ আয়াত নাজিল করেছেন, তিনি যদি আল্লাহ হতেন, জানতেন - পৃথিবীর সকল স্থানে একই সময় সূর্য ওঠে ও অস্ত যায় না। তিনি আরো জানতেন - আমাদের এখানে যেমন - সূর্য ওঠে রাত দেড়টায়, ডোবে রাত সাড়ে এগারোটায় - ২২ ঘন্টা দিন।
মুহাম্মদের এই অজ্ঞানতার আরো প্রমাণ - হাদিসে:
রাতের বেলা সূর্য স্রষ্টার আরশের নিচে বিশ্রাম নেয়।
[সহি বুখারি ৫৪৪:২১]
আরো প্রমাণ - কুরানের আয়াতে:
আমি আপনার প্রতি আরবী ভাষায় কোরআন নাযিল করেছি, যাতে আপনি মক্কা ও তার আশ-পাশের লোকদের সতর্ক করেন এবং সতর্ক করেন সমাবেশের দিন সম্পর্কে ....।
[সূরা আশ-শুরা ৪২:৭]
এ কোরান এমন গ্রন্থ, যা আমি অবতীর্ন করেছি; বরকতময়, পূর্ববর্তী গ্রন্থের সত্যতা প্রমাণকারী এবং যাতে আপনি মক্কাবাসী ও পাশ্ববর্তীদেরকে ভয় প্রদর্শন করেন।
[সূরা আন আম ৬:৯২]
আমি একে আরবী ভাষায় কোরআন রূপে অবতীর্ণ করেছি, যাতে তোমরা বুঝতে পার।
[সূরা ইউসূফ ১২:২]
আমার প্রশ্ন: কোরান মতে আমার ভাষা কি আরবি?
কুরানের ওপরোক্ত আয়াতসমূহ প্রমাণ করে - রোজা শুধু মক্কাবাসী তথা আরবীয়দের জন্য। সার্বজনীন বিশ্বের সকল মানুষের জন্য নয়।
কুরান সার্বজনীন বা সব মানুষের জন্য প্রযোজ্য বা অনুসরণীয় গ্রন্থ নয়।
কুরান যদি সৃষ্টিকর্তার রচিত হত, তাহলে রোজা পালনে "সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের" বিধান থাকত না।
রোজায় মানুষকে অযৌক্তিক অন্ধ বিশ্বাসের কাছে আত্মসমর্পন করতে দেখে কষ্ট পাই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন