লিখেছেন নাস্তিক দস্যু
বাংলাদেশও বাইরের দুনিয়া এবং সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল হওয়ার চেষ্টা করছে, যদিও এর ওপর ধর্মের প্রভাব বেড়ে যাচ্ছে। আগে দেশ ছিল ৮০ ভাগ মুসলমানের দেশ। তারপর হয়েছে ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশ। আর এখন ৯৮ ভাগ মুসলমানের দেশ! এক সময় দেশটা বৌদ্ধদের ছিল, যা দেশে প্রতিনিয়ত আবিষ্কৃত প্রত্নতত্ত্ব হতেই ধারণা করা যায়। এরপর হয়েছে হিন্দুদের। বর্তমানে ৯৮ ভাগ মুসলমানদের। ধর্মের প্রভাব কাউকে উন্নতি করতে না দিলেও বাংলাদেশ ইসলামকে পুজি করে উন্নতি... থুক্কু, দুর্নীতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
তো যা বলছিলাম। দেশের ছেলেমেয়েদের সৃজনশীলতা বিকাশের লক্ষ্যে সরকার শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন এনেছে। এখন পড়ালেখা-পরীক্ষা হয় সৃজনশীল পদ্ধতিতে; যেখানে একটি উদ্দীপক থাকে এবং প্রশ্নের ৪টি অংশ থাকে। প্রতিটি সৃজনশীল প্রশ্নের মান দশ। এখানে একটি সৃজনশীল প্রশ্ন দেয়া হল।
সৃজনশীল প্রশ্ন
বাংলাদেশ ৯৮ ভাগ মুসলমানের গর্বিত দেশ। এদেশের মানুষ আকাশ, সমুদ্র, পাহাড়-পর্বত দেখে মহান আল্লাহর কথা স্মরণ করে। তারা এখন চেষ্টা করছে এ দেশকে ১০০ ভাগ মুসলমানের দেশ বানাতে। তাই তারা এদেশ থেকে অন্য ধর্মের মানুষ যা-ও দুই শতাংশ আছে, তা পরিষ্কার করার চেষ্টা করছে।
আল্লাহর রহমত প্রাপ্ত ৩৬০ আওলিয়ার এই দেশে সময়ে সময়ে নাস্তিকদের উদয় হয়। তারা আকাশ, সমুদ্র, পাহাড়-পর্বত দেখে আল্লাহর কথা স্মরণ করে না। সবকিছুকে বিজ্ঞান দিয়ে বিচার করার চেষ্টা করে। তারা এদেশ থেকে ধর্মান্ধতা দূর করার চেষ্টা করে। তারা বলে, পরকাল ও ঈশ্বর বলে কিছু নেই। সবকিছু মানুষের সৃষ্টি। তারা সুন্দর পৃথিবী থেকে ধর্ম দূর করে সত্যের আলো জ্বালাতে চায়। কিন্তু তাদেরকে এক এক করে পবিত্র চাপাতি মোবারক দিয়ে কুপিয়ে মেরে ফেলা হয়।
ক) নাস্তিক কাকে বলে? ১
খ) নাস্তিক কোপানোর ফজিলত বর্ননা কর। ২
গ) নাস্তিক কোপানোর ইসলামসম্মত তরিকা ইসলামের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ) “নাস্তিকরা যতই সৎ হোক, যতই সত্য কথা বলুক, যতই নীতির কথা বলুক, তারা হুরদের কাছে ভিড়তেও পারবে না” - উক্তিটি যথার্থ হয়েছে কি? তোমার মতামতের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪
সঠিক উত্তরদাতার অ্যাকাউন্টে ৩ কেজি সওয়াব বিকাশ করা হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন