আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৫

ইছলামের আহাম্মক আল্লাহ

লিখেছেন শ্রোডিঞ্জারের বিড়াল

মুসলিমরা কখনোই একটা খুব সহজ জিনিষ খেয়াল করে দেখে না। তাদের চোখের সামনে থাকলেও তারা টের পায় না যে, ইসলাম জিনিসটা আসলে সর্বজনীন নয়। এটা মানবজাতির জন্য সর্বকালের জন্য উপযুক্ত নয়, সকল স্থানের জন্যও নয়।

ধর্মটা মরুর যে এক রুক্ষ প্রান্তে তৈরি হয়েছিলো, বড্ড সেই প্রান্তঘেষা। 

কোরান নামের বইটার "পূর্ণ" অর্থ পুরাতন ডায়ালেক্টের আরবি জানা ছাড়া বোঝা সম্ভব না (মুসলিমদেরই মতে), অর্থাৎ যে-ধর্মটা পৃথিবীর সব মানুষের জন্য এসেছে, সেই ধর্মের মূল সূত্রটা একটা নির্দিষ্ট ভাষার পুরাতন ডায়ালেক্টে আটকে গেল, অন্য ভাষার লোকদের আরবিভাষীদের মুখের কথা মেনে নিয়ে এই ধর্ম বুঝতে হবে। তার নিজের অন্তস্থ করে বোঝার কোনো উপায় নেই।

সালাহ বা নামাজকে বলা হয় স্রষ্টার সাথে অর্থাৎ আল্লাহর সাথে "সাক্ষাৎ" করার মত। এই কাজটা আপনি বাঙালি বলুন আর ফ্রেঞ্চ বলুন, আপনাকে আপনার স্রষ্টার প্রার্থনা করতে হবে আরবিতে। 

আদিম মানবের মন্ত্র-তন্ত্র পড়াকে আমরা হাস্যকর ভাবে দেখি। কিন্তু ভিন্ন ভাষায় লিখা কিছু কবিতা মন্ত্র-তন্ত্রের মতই চ্যান্ট করে ওঠা-বসার রিচ্যুয়াল করে যেতে একটুও খটকা লাগে না। কোরানেই আছে যে, "বোঝার সুবিধার জন্য" কোরান এসেছে আরবীতে। এই লাইনেই কি পরিষ্কার হয়ে যায় না যে, কোরান কোনো গ্লোবাল বা ইউনিভার্সাল কিছু নয়? আরব ব্যতীত বাকিদের, বাংলা, ইংরেজি, জার্মান, ফ্রেঞ্চ ইত্যাদি ভাষীদের কি "সহজ করে বোঝা"র অধিকার নেই? তাদের দোষটা কোথায়? কেন তাদেরকে অনুবাদকের মুখের কথা মেনে নিতে হবে?

একটু ভিন্ন দিকে যাই। International Space Station তথা ISS এর কথা মোটামুটি সবাই জানে। সেই ১৯৯৮ থেকে আজ ১৭ বছর ধরে পৃথিবীর কক্ষপথে কোনো না কোনো মানব সন্তান বাস করছে। গত কয়েকদিন আগে কানাডিয়ান এক কোম্পানি স্পেস এলিভেটরের প্যাটেন্ট করলো। স্পেস স্টেশনে সবজি উৎপাদন করে সেই সবজি মহাকাশচারীরা খাচ্ছেনও।

বড় বড় স্পেস স্টেশন বানিয়ে পর্যটন হোটেল বা ওরকম কিছু বানিয়ে মানুষ থাকা শুরু করাও খুব দূরের বা অসম্ভব কিছু নয়। এই মূহর্তেও স্পেস স্টেশানে ছয়জন মানুষ বাস করছেন। ভবিষ্যতে চাঁদ, মঙ্গল পাড়ি দেয়াও খুব বেশি দূরের ভবিষ্যৎ নয়।

মুসলিমরা কি কখনো ভাবে না, নামাজ-রোজা সহ সবকিছুর সময় চাঁদকেন্দ্রিক কেন? কেন এই সময়গুলো পৃথিবীর কিছু প্রান্তের জন্য "উপযুক্ত" আর সুইডেনের মানুষের রোজা পড়ে যায় ১৮ ঘন্টা লম্বা? নর্থ পোল, সাউথ পোলে গেলে কেন "বিদাহ" করে নতুন নিয়ম বানিয়ে নামাজ রোজা করতে হয়? ইসলাম তো নিজেই দাবি করে, সে পরিপূর্ণ সর্বকালের জন্য স্বয়ংসম্পূর্ন জীবনবিধান। সামান্য বিমান আবিষ্কার সেই পরিপূর্ণতায় খোঁচা মারে কেন? যে-ইসলামে নতুন কিছু বানানো নিষিদ্ধ, বিদাহ, সেই ইসলামেই আধুনিকতার সাথে কিছুদিন পরপরই নতুন নিয়ম "বানিয়ে" নিতে হচ্ছে কেন?

স্পেস স্টেশনে ২৪ ঘন্টায় ১৫ বারের বেশি দিন রাত হয়। তবে কি তারা প্রতি দেড় ঘন্টায় পাঁচ ওয়াক্ত করে নামাজ পড়বে? মানে দশ পনের মিনিট পর পর এক ওয়াক্ত? নামাজের নিয়মকানুনের স্পষ্ট উল্লেখ কোরানে নেই। আর হাদিসে যা দেওয়া আছে, তা যদি "সর্বকালের জন্য স্বয়ংসম্পূর্ণ" হয়ে থাকে, তবে স্পেস স্টেশনের ভবিষ্যৎ মুসলিম নভোচারীদের কপালে বড় দুর্দশা অপেক্ষা করছে।

এই প্রশ্ন কি কখনো মুমিনের মাথায় জাগে না যে, নামাজ তথা সালাহর মত সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিষের নিয়মকানুনগুলোর উল্লেখই কোরানে নেই? নামাজের নিয়মগুলো সে পাচ্ছে নবীর মৃত্যুর ২০০-৩০০ বছর বা তারও পড়ে লেখা "অমুকের কাছে শুনেছি এমন এমন হবে" ধরনের লেজিটেমেসি যুক্ত হাদিস নামক জিনিসটা থেকে। এবং কেন স্রষ্টা তার সর্বশেষ স্বয়ংসম্পূর্ণ কিতাবে তার প্রতি প্রার্থনা করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, নামাজ আদায়ের পূর্ণ নিয়মকানুন উল্লেখ করতেই ভুলে গিয়েছেন?

পৃথিবী নামক হিলিওসেন্ট্রিক কমলালেবুটাতে সূর্য-চাঁদের অবস্থাননির্ভর নিয়মকানুন প্রবর্তন করার অদূরদর্শিতা কি সেই স্রষ্টার পক্ষে আদৌ বোঝা সম্ভব ছিল?

স্রষ্টার এহেন সব অদূরদর্শিতা ও অজ্ঞতার সহজ ব্যাখ্যা কি এই না যে, এই ধর্মটা প্রকৃতপক্ষে কোনো মহাবৈশ্বিক স্রষ্টার কাছ থেকে আসেনি, এসেছে দেড় হাজার বছর পূর্বে মরুর এক প্রান্তে থাকা কোনো চতুর মানুষের মস্তিষ্ক থেকে?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন