আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৫

শান্তিবিধ্বংসী ইসলাম

লিখেছেন অপ্রিয় কথা

১. 
বর্তমান বিশ্বে ইসলাম মানেই ক্ষতিকর। ইসলাম মানেই মানবসভ্যতা ধ্বংসের প্রতীক। পৃথিবীর যে কোনো দেশে ১% ইসলামের অনুসারী থাকলেও সে দেশে শান্তি নেই। সেখানেও মুসলিমরা আল্লা ও ইসলামের নামে সহিংসতা করবেই। সেখানেও আল্লাহ-কোরানের নামে মানুষ হত্যা চলবেই। গত কয়েক মাসে ইসলামের অনুসারী মুসলিম সন্ত্রাসীদের সহিংসতা কম দেখিনি। যেখানেই গণহত্যার খবর শুনেছি, সেখানেই মুসলিম সন্ত্রাসীদের নাম এসেছে। তারা 'আল্লাহু আকবর' বলে বলে মানুষ হত্যা করেছে। কখনো পেছনে হাত বেঁধে গলায় ছুরি বসিয়ে জবাই করেছে, কখনো সারিবদ্ধভাবে শুইয়ে একসাথে গুলি করে হত্যা করছে। হত্যা করার সময় ঐ একই শব্দবন্ধ - "আল্লাহু আকবর! আল্লাহু আকবর!"

২. 
বিশ্বে এখন ইসলামিক সন্ত্রাসী থেকে কেউ রেহাই পাচ্ছে না। কয়েক মাস আগে সভ্যতার দেশ ফ্রান্সের মতো জায়গায় শার্লি হেব্দোর কার্টুন পত্রিকা অফিসের ১২ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে মুসলিম সন্ত্রাসীরা। এরপর পাকিস্তানে ১৩২ জন স্কুলশিশুকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসলামিক তালেবান জঙ্গিরা। ইরাক-সিরিয়ার ইসলামিক জঙ্গিগৌষ্ঠি আইএস তো প্রায় প্রতিদিনই গণহারে হত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। কিছুদিন আগে নাইজেরিয়ার ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারাম তো সর্বোচ্চ ২০০০ হাজার জন খ্রিষ্টানকে আল্লার নামে গণহত্যা করেছে। তাছাড়া স্কুল থেকে খ্রিষ্টানদের ছোট ছোট মেয়েগুলোকে অপহরণ নিয়ে যায় ধর্ষণ করার জন্য, নয়তো বা তাদের যৌনদাসী হিসেবে বাজারে বিক্রি করে দেয়। কোরান মেনেই এখনো তারা দাস প্রথা টিকিয়ে রেখেছে। ওখানে যারা গণহত্যার শিকার হয়েছে, তাদের অপরাধ একটাই: তারা খ্রিষ্টান, তারা বিধর্মী। আর বিধর্মীদের হত্যা ও ধর্ষণ করা ইসলামে জায়েজ। এছাড়া বাংলাদেশে মুসলিমদের ধর্মানুভূতিতে আঘাতের বরাত দিয়ে একের পর এক নাস্তিক-ব্লগারদের চাপাতি দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করছে ইসলামি জঙ্গিরা। আরও কিছুদিন আগে কেনিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫০ জন খ্রিষ্টান ছাত্রকে গুলি করে হত্যা করে আরেক ইসলামি জঙ্গি গৌষ্ঠি দল আল শাবাব। হত্যা করার সময় তারা ছাত্রদের নাম জিজ্ঞেস করে, মুসলিম নাকি জিজ্ঞেস করে। যারা নবী ও তার পিতামাতার নাম ও কিছু কোরানের আয়াত মুখস্থ বলতে পারেনি, তাঁদেরকে হত্যা করেছে মুসলিম সন্ত্রাসী গৌষ্ঠি আল শাবাব। বর্তমান বিশ্বের প্রায় সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মুসলিমরাই চালায়। আর ইসলাম তাদের মদদ দেয়।

৩.
ইসলামের অনুসারী মুসলমানদের এই গণহত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আজ নতুন নয়। এটা হাজার বছরের পুরোনো। এই বর্বরতা শুরু হয় আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে, মুহম্মদের হাত ধরে। তিনি তার সৃষ্ট ধর্ম ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে অগণিত ভিন্নধর্মী মানুষকে হত্যা করেছেন ও হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন। যারা ইসলাম ধর্মে ঈমান আনবে না, ইসলামে বিশ্বাস আনবে না, তাদেরকে হত্যা করা ইসলামে জায়েজ বলেছেন আল্লার প্রিয় নবী মুহম্মদ। মুসলমানদের ধর্মের প্রবর্তক হল মুহম্মদ। তারা মুহম্মদের মাধ্যমে আল্লার প্রাপ্ত বাণী কোরানকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থ হিসেবে জানে। আর মুহম্মদকে আল্লার প্রেরিত রাসুল হিসেবে অন্ধবিশ্বাস করে মুসলমানরা। তাদের ধর্মগ্রন্থ কোরানে অনেক আয়াত আছে, যেখানে বলা আছে - বিধর্মী কাফের মুরতাদদের হত্যা করলে সোয়াব হয়। বেহেশতে ৭২ হুরীর সাথে পাকাপাকি ভাবে থাকার ব্যবস্থা নিশ্চিত হয়। তাই ইসলামের অনুসারীরা ইসলাম ও আল্লার পথে জিহাদ করে। বেহেশতে যাওয়ার জন্য বিধর্মী মুরতাদ কাফেরদের হত্যা করে।

মন্তব্য:
আমি একজন মুক্তচিন্তক ও নাস্তিক মানুষ। প্রচলিত কোনো ধর্মের প্রতিই আমার আস্থা নেই। তবে আমি মনে করি, বর্তমান বিশ্বে অন্য যে কোনো ধর্মের তুলনায় ইসলাম সহস্র গুণ ভয়াবহ ও ধ্বংসাত্মক। তাই আমি ইসলামের পতন চাই। চাই, ইসলাম নিষিদ্ধ হোক। ইসলামের বিলুপ্তি চাই। সবশেষে ইসলামের ধ্বংস চাই! কারণ ইসলাম পৃথিবী ও মানবসভ্যতার জন্য ভয়ংকরতম হুমকি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন