আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সমাচার

লিখেছেন জুলিয়াস সিজার

সপ্তাহখানেক আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, "সংখ্যালঘুরা মন ছোট করবেন না। এই দেশটা আপনাদেরও।"

প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দিয়ে তার দায়িত্ব শেষ (!) করেছেন অসাম্প্রদায়িকতার বুলি দিয়ে। ক্ষমতাসীন আওয়ামি লীগের মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফও হুংকার দিয়েছেন, "সংখ্যালঘু নির্যাতনকারীদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না।"

গত এক মাসের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কিছু খবর দিই:
- চট্টগ্রামের রামুতে প্রিয়া বড়ুয়া নামের এক মেয়ে অপহৃত। ৯ দিনেও উদ্ধার হয় নি মেয়েটি।
- চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে রাত্রী দাস অপহৃত।
- হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে সংখ্যালঘু পরিবারের এক শিশু ধর্ষিত। যুবলীগ নেতা শাসিয়ে গেছে পরিবারকে যেন মামলা করা না হয়।
- সিলেটে ৫০ বছরের সংখ্যালঘু বৃদ্ধাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাতভর ধর্ষণ আওয়ামীলীগ নেতার ছেলের।
এটা মাত্র গত এক মাসের তথ্য, যা পত্রিকায় এসেছে। এমন কত খবর যে মিডিয়ায় আসেনি আর আমরা জানি না, তার কোনো ইয়ত্তা নেই।

অনেক সুশীল ভদ্রলোক বলতে পারেন, দেশে সব ধর্মের মেয়েরাই ধর্ষিত হচ্ছে, নির্যাতিত হচ্ছে। হ্যাঁ, অস্বীকার করার উপায় নেই। পুরোটাই সত্য। কিন্তু তাহলে ২০০১-২০০৬ সালে বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীদের হাতে একের পর সংখ্যালঘু মেয়ে ধর্ষণের পোস্টারিং করে আওয়ামি লীগ ভোট দাবি করে কেন? নিজেদের সেক্যুলার দাবি করে কেন? বহির্বিশ্বের কাছে নিজেদের একমাত্র অসাম্প্রদায়িক দলের তকমাটা লাগিয়ে রাখবে কেন? জনসভায় দাঁড়িয়ে বড় বড় কথা বলতে ন্যূনতম লজ্জাবোধও কি কাজ করে না?

আরও আছে অসাম্প্রদায়িকতার ফিরিস্তি: 
- চাঁদা না পাওয়ায় নাটোরের হিন্দু বাড়িতে অগ্নিসংযোগ।
- বগুড়ায় চাঁদা না পেয়ে মন্দিরে আগুন। যুবলীগ ক্যাডার গ্রেপ্তার।
- চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় আওয়ামিলীগ নেতার সংখ্যালঘুর ভূমি দখল।
এগুলো শুধুমাত্র গত এক মাসের খবর। এসব লিখে কখনোই শেষ করা সম্ভব নয়। সব সংখ্যালঘু নির্যাতনের পেছনেই জড়িত আওয়ামি লীগ।

গত ৭ বছরে এই তথাকথিত সেক্যুলার আওয়ামি লীগের শাসনামলেই অসংখ্য জায়গায় ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। কোনো ঘটনার জন্য একজন মানুষেরও শাস্তি দেওয়া হয়েছে কি? ২০০১-২০০৬ সালে বিএনপি জামাত জোট সরকারের আমলে সংখ্যালঘু নির্যাতনের যে জুজু দেখানো হয়, সেসবের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি?

উত্তর নিজেরাই ভেবে দেখবেন।

হ্যাঁ, আগে অধিকাংশ সাম্প্রদায়িক নির্যাতনের ঘটনা বিএনপি-জামাতের লোকেরা করত। আর গত ৭ বছরে যত নির্যাতন হয়েছে, সব করেছে আওয়ামি লীগ। দেশে তো এখন আওয়ামি লীগ ছাড়া আর কোনো দলই নেই। কিন্তু তাই বলে কি সাম্প্রদায়িক নির্যাতন থেমে থাকবে? বিএনপি-জামাতের দোষ দিয়ে দিয়ে আর কতদিন?

পৃথিবীতে আর এমন কয়টা দেশ আপনি পাবেন, যেই দেশ ৩০% সংখ্যালঘু তাড়াতে তাড়াতে কমিয়ে ৮%-এ নামিয়ে আনতে পেরে?

এবার অন্তত অসাম্প্রদায়িক দলের তকমাটি ঝেড়ে ফেলুন, প্লিজ। সেক্যুলারিজমের মুখোশটা খুলুন। জনসভায় মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে আওয়ামি লীগের নেতাদের মুখে অসাম্প্রদায়িকতার বক্তব্য আর জামাতের নেতাদের সাম্প্রদায়িক উস্কানি - দুটোই সমান বিরক্তিকর।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন