আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

মক্কা - কোরান-বর্ণিত নিরাপদ নগরী

কোরানে মক্কা নগরীকে নিরাপদ বলা হয়েছে বারবার, এমনকি আল্যা একবার শপথও নিয়েছে নিরাপদ মক্কা নগরীর নামে:
১. তারা কি দেখে না যে, আমি (মক্কা নগরীকে) একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল করেছি। অথচ এর চতুপার্শ্বে যারা আছে, তাদের উপর আক্রমণ করা হয়। (সুরা ২৯: ৬৭)
২. যে ব্যক্তি সেখানে (মক্কার হারাম) প্রবেশ করেছে, সে নিরাপত্তা লাভ করেছে। (সুরা ৩: ৯৭)
৩. শপথ এই নিরাপদ (মক্কা) নগরীর। (সুরা ৯৫:১-৩)
৪. আর স্মরণ করো তখনকার কথা যখন আমি এই গৃহকে (কাবা) লোকদের জন্য কেন্দ্র ও নিরাপত্তাস্থল গণ্য করেছিলাম। (সুরা ২:১২৫)
অথচ এ বছরে আল্যার নিরাপত্তা-চাদরে ঢাকা এই নগরীতে অবস্থিত আল্যার ঘর ক্কাবাতেই ক্রেন ভেঙে পড়ে মারা গেছে ১১১ জন, মিনায় শয়তানকে পাথর মারতে গিয়ে পদদলিত হয়ে মারা গেছে আরও ৭১৭ (মতান্তরে ২০০০) জন। এর আগে গত ৪০ বছরে নিরাপদ এই নগরীতে হজ্বের সময় ঘটা দুর্ঘটনাগুলোর একটি তালিকা দেখে আল্যার বাকসর্বস্বতা ও মিথ্যাচার তথা কোরানের ভুয়াত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হোন:
বিভিন্ন সময়ে একের পর এক হজ ট্র্যাজেডির জন্ম দিয়েছে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, সড়ক দুর্ঘটনা, বোমা বিস্ফোরণ, শিয়া-সুন্নি সংঘর্ষ, ভবন ধস, অগ্নিকাণ্ড এবং পদদলিত হওয়ার মতো মর্মান্তিক ঘটনা।
২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩ জন আফগানসহ ডজনখানেক হাজি মারা যাওয়ার ৪ বছর পর আবার সেই সেপ্টেম্বরেই পবিত্র হজের মাত্র কয়েকদিন আগে আরেক ট্র্যাজেডির জন্ম হলো। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ি শুক্রবারের ক্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৭ জনে।
২০০৬ সালে মক্কায় বহুতল আল-গাজা হোটেল ধসে ৭৬ জন নিহত হন এবং আহত হন আরও ৬৪ জন। একই বছর আল-জামারাতে শয়তানকে পাথর ছুঁড়ে মারতে গিয়ে পদদলিত হয়ে মারা যান আরও ৩৪৫ জন।
২০০৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারিতেও শয়তানকে পাথর ছুঁড়ে মারার সময় পদদলিত হয়ে মারা যান ২৪৪ জন হাজি। ২০০১ সালের ৫ মার্চ ৩৫ জন হাজি মারা যান ওই আল-জামারাতে একই ধরনের ঘটনায়। 
ওই একই জায়গায় ১৯৯৮ সালে পদদলিত হয়ে মারা যান ১৮০ জন হাজি।
১৯৯৭ সালের ১৫ এপ্রিল মিনায় তাবুতে আগুন লেগে পুড়ে মারা যান ৩৪০ জন। এ ঘটনায় আহত হন আরও প্রায় দেড় হাজার মানুষ। 
১৯৯৪ সালের ২৩ মে ২৭০ জন মারা যান আল-জামারাতে, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন ইন্দোনেশীয়।
এর আগে ১৯৯০ সালের ২ জুলাই মক্কায় মারা যান ১৪’শ ২৬ জন হাজি। তাদের বেশির ভাগই ছিলেন মালয়েশীয়, ইন্দোনেশীয় ও পাকিস্তানি। সুড়ঙ্গ পথে পদপিষ্ট হয়ে এই বিপুল মানুষের মৃত্যু হয়। হজ ট্র্যাজেডিগুলোর মধ্যে এটিই এযাবৎ কালের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানীর ঘটনা।
মুসলিমদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র স্থানে শুধু দুর্ঘটনাই নয় বোমা বিস্ফোরণ, সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষেও মারা গেছেন অনেক মুসল্লি।
১৯৮৯ সালের ৯ জুলাই মক্কায় দুইটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত হন এক হাজি এবং আহত হন আরও ১৬ জন।
১৯৮৭ সালের ৩১ জুলাই মক্কায় ৪০২ জন হাজি নিহত হন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন ইরানি হাজি। এ ঘটনায় আরও ৬৪৯ জন আহত হন। সৌদি নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে শিয়াদের সংঘর্ষে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
১৯৭৫ সালের ডিসেম্বরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে তাবুতে আগুন লেগে গেলে নিহত হন ২০০ হাজি।
অর্থাৎ ১৯৭৫ থেকে ২০১৫ মক্কায় ৪০ বছরে হজ্ব পালন করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় চার হাজারেরও বেশি মানুষ। এবং ঘটনাগুলো ঘটেছে কিন্তু সেই নগরীতে, যাকে আল্যাফাক বারবার বর্ণনা করেছে নিরাপদ হিসেবে! অতএব খিয়াল কৈরা!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন