আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৫

বাঙালি মুছলিম মানস

লিখেছেন জুলিয়াস সিজার

এবার বাংলাদেশের মুসলমানদের কোমল ধর্মানুভূতিতে আঘাত দিলেন অভিনেত্রী ও মডেল মিথিলা। না ভাই, মিথিলা কোনো নাস্তিকতা প্রচার করেননি। শুধু নিজের ফেইসবুক পেইজ থেকে লিখেছেন: "ধর্ম যার যার উৎসব সবার। সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা।"

আর তাতেই সহজ, সরল, শান্তিপ্রিয় মুসলমানদের ধর্মানুভূতি ভেঙে খানখান হয়ে গেছে। মন্তব্যে মিথিলার চোদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার শুরু করে দিয়েছে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা। ধর্মীয় গোঁড়ামিপূর্ণ মন্তব্য তো আছেই, আছে অশ্লীল ইঙ্গিত করা মন্তব্যও।

একটি ধর্মের অনুসারীরা এত এত এত ধর্মান্ধ কীভাবে হয়?
- হ্যাপি নিউ ইয়ার বললেও ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে।
- মেরি ক্রিসমাস বললেও ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে।
- পূজার কিংবা প্রবারণা পূর্ণিমার শুভেচ্ছা দিলেও ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে।

সমস্যা কী এদের? ঠিক কী কারণে এরা পৃথিবীতে জন্মেছে? বাংলাদেশে হিন্দু আছে, বৌদ্ধ আছে, খ্রিষ্টান আছে। অন্য কোনো ধর্মের মানুষেদের শুভেচ্ছা জানালে তাদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে না। সব ধর্মানুভূতি শুধু মুসলমানদের জন্য কেন? অনুভূতি সব শুধু মুসলমানদের জন্য?

একটা মানুষ পূজার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, তাতেই এমন অবস্থা? অথচ মন্তব্য করেছে যারা, তাদের প্রোফাইলে গিয়ে দেখা যায়, সবাই উচ্চশিক্ষিত মানুষের পেটে জন্ম নেওয়া বলদ গরু। মডারেট মুসলমানেরা দাবি করে, অশিক্ষিত মুসলমানেরা না বুঝে ধর্মান্ধ হয়। তাহলে ফেইসবুক ব্যবহার করা এই শিক্ষিত মানুষগুলোর মানসিকতা কেন এমন? একটা ছবির নিচে মন্তব্য করা এক হাজার মুসলমানের মধ্যে এক মুসলমান কীভাবে ধর্মান্ধ হয়? যে অসাম্প্রদায়িক মডারেট খচ্চরের বাচ্চাগুলো আমরা কিছু লিখলেই আমাদেরকে ইসলাম বোঝাতে আসে, তারা সেখানে গিয়ে মন্তব্য করে নিজেদের ধর্মের এই বলদগুলোকে ইসলাম বোঝায় না কেন?

যে দেশে স্রেফ একজন মুসলমান পূজার শুভেচ্ছা জানালেও কোটি কোটি মুসলমানের অনুভূতিতে আঘাত লাগে, সেই দেশে আইএস আর তালেবনের কী প্রয়োজন? মুসলিম হয়ে পূজার শুভেচ্ছা জানালেই যে ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগছে, এটাও কি আমেরিকা আর ইসরায়েলের ষড়যন্ত্র? কোন পুঁজিবাদ আর সাম্রাজ্যবাদ দিয়ে এটাকে ব্যাখ্যা করবে গোলাম আজমের নাতী ঝান্ডু বামেরা?

এর আগে কলকাতার অভিনেত্রী নুসরাত জাহান মহালয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে গালি শুনেছেন। অন্য দেশের এই অভিনেত্রীর পেইজে গিয়ে গালাগালি করা গরুর বাছুরগুলো সব বাংলাদেশী।

হিন্দু হয়েও ক্রিকেটার লিটন দাশ নিজের পেইজ থেকে শুভেচ্ছা জানিয়ে গালি শুনেছেন। বাধ্য হয়ে তাঁকে বলতে হয়েছে, এই দেশে ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে আসলে মানুষ আছে ১৭ হাজার।

বাঙালি হিন্দুদের শারদীয় শুভেচ্ছা, বাঙালি বৌদ্ধদের শারদীয় শুভেচ্ছা, বাঙালি খ্রিষ্টানদের শুভেচ্ছা। সকল মানুষকেই শারদীয় শুভেচ্ছা। শুধু মুসলমানদের শারদীয় শুভেচ্ছা দিয়ে তাদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত দিলাম না। ৫% অসাম্প্রদায়িক মুসলমানকে হিসেবে রেখে ৯৫% ছাগল মুসলমানকে শুভেচ্ছা জানানোর কোনো ইচ্ছে আমার নেই।

আর অভিনেত্রী মিথিলাকে ধন্যবাদ এত গালাগালির পরেও নিজের অবস্থানে অনড় থাকার জন্য। ছবিটি তিনি সরাননি। শ্রদ্ধা এই মানসিকতার জন্য।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন