আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শনিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৫

ইছলাম: ধর্মীয় রাজনীতি নাকি রাজনৈতিক ধর্ম? - ৫

লিখেছেন জর্জ মিয়া


সর্বপ্রথম খলিফা ওসমান কোরান সংকলনের কাজে হাত দেন। কিন্তু এর পরেও কথা থেকে যায়। যেমন দেখি, ওমরের নির্দেশে তৈরি সংকলিত কোরান, যা যায়েদের কাছে এবং পরবর্তীতে তার মেয়ে হাফসার কাছে যে-কোরানটা ছিল, সেটাকে কেন ধ্বংস করা হলো? সে খবর বা কারণ সারা জীবনই গুপ্ত রয়ে যাবে মানুষের জন্য। কেউই জানবে না। কী ছিলো সে কোরানে? কেনই বা পুড়িয়ে ধ্বংস করতে হলো সে কোরান? তা অজানাই রয়ে যাবে। তাছাড়া সুরা ফাতিহা থেকে শুরু করে অনেক আয়াত আছে, যেগুলো থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, কোরান শুধু তথাকথিত আল্লাহর বাণীই নয়। এখানে মোহাম্মদের কথাবার্তায় ভরপুর! একটা উদাহরণ দেয়া যাক।
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু। যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা' আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা। যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু। যিনি বিচার দিনের মালিক। আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। আমাদেরকে সরল পথ দেখাও, সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।
ওপরের সুরাটি কোরানের প্রথম ফাতিহা সুরা এবং নামাজের প্রত্যেকে রাকাতে এই সুরা পড়া বাধ্যতামূলক। পাঠক, এই সুরায় লক্ষ্য করুন, বলা হচ্ছে, “শুরু করছি আল্লাহর নামে” - এখানে আল্লাহ নিজেই কি নিজের নামে শুরু করছেন? আর একটা আয়াত দেখি:
পাঠ করুন আপনার পালনকর্তার নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন, সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে। পাঠ করুন, আপনার পালনকর্তা মহা দয়ালু।
এখানে দেখা যাচ্ছে, “পাঠ করুন আপনার পালনকর্তার নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন” - অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে, জিব্রাইল মোহাম্মদকে পাঠ করতে নির্দেশ দিচ্ছেন পক্ষান্তরে আল্লা পাঠ করতে বলছেন। এবার প্রশ্ন আসে কোরানে সুরা সবই কি তথাকথিত আল্লাহর বাণী? কোরানে আল্লার বাণী নয়, মোহাম্মদের বাণী তার নমুনা আরও কিছু দেখে নিতে পারেন এই আয়াতগুলো থেকে - ১৪:১, ১৬:১০২, ২০:৪, ২৬:১৯২-১৯৪, ২৭:৬, ৩২:২, ৪৫:২, ৭৬:২৩, ৯৭:১; শুধু তাই নয়, আয়েশা নিজেও বলেছেন, আল্লা নাকি সর্বদাই প্রস্তুত থাকে যুতসই আয়াত নাজিলের জন্য, যা মোহাম্মদের পক্ষে সুবিধে হয়। (বুখারী শরীফ, খণ্ড ৭, বই ৬২, হাদিস ৪৮)

ইছলাম ধর্মে বলা হয়, নবীদেরকে পাঠানো হয়েছিলো মানুষের চরিত্র পরিবর্তনের জন্য। শেষ নবী মোহাম্মদকে মানবজাতির মধ্যে শ্রেষ্ঠ মানব বলে দাবি করেন ইছলাম অনুসারীগণ। আদতে তিনি কোন দিক দিয়ে শ্রেষ্ঠ, সেটা প্রশ্নের দাবি রাখে। একটু অন্যভাবে শুরু করা যাক।

মোহাম্মদের দাদা আব্দুল মোত্তালিব এবং পিতা আব্দুল্লাহ বিয়ে করেন একই সময়ে যথাক্রমে অয়াহাব ইবন আবদ মানাফের ভাগ্নি হালা এবং কন্যা আমেনাকে। হালা ও মোত্তালিবের ঘরে জন্ম নেন মোহাম্মদের চাচা হামজা। এবং আমিনা ও আব্দুল্লাহর ঘরে জন্ম নেন মোহাম্মদ। প্রথম দিককার সময়ে কাবায় দখল নিতে গেলে মোহাম্মদ যখন আক্রমণের শিকার হন, তখন হামজা নিজে ইছলাম গ্রহণ করেছেন বলেন এবং সে সময়ে কোরাইশ নেতাদের বিরুদ্ধাচরণকারী মোহাম্মদ সে যাত্রায় তার কারণেই বেঁচে যান। ইছলামী ধর্মের অনেক যায়গায় এই হামজা ছিলেন 'রক্ষাকবচ' বিশেষ। উহুদ যুদ্ধে আবু সুফিয়ানের বোন হিন্দ-এর দাস কৃষ্ণাঙ্গ তীরন্দাজের তীরের আঘাতে মৃত্যুবরণ করেন এবং হিন্দ তার কলিজা ছিঁড়ে ফেলেছিলেন। 

আব্দুল্লাহর সাথে আমিনার সংসার খুব বেশি দিনের ছিলো না। এখানে লক্ষ্যণীয় যে, আব্দুল্লাহ-আমেনার বিয়ের ৬ মাসের মধ্যেই মোহাম্মদের পিতা (!) মারা যান। মোহাম্মদ জন্মের পর আব্দুল্লাহকে পাননি। এদিকে আবার হালার সন্তান হামজা মোহাম্মদের থেকে ৪ বছরের বড়। লক্ষ্য করা যায়, একই সময়ে দু'টি বিয়ে এবং একজন প্রাকৃতিক নিয়ম মেনেই হামজাকে জন্ম দিলেন। অন্য জনের বেলায়ও সেটাই হবার কথা ছিলো। হামজা মোহাম্মদের ৪ বছরের বড় আর আব্দুল্লাহ বিয়ের ৬ মাসের মধ্যেই মারা যান। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন করা যায়, তবে মোহাম্মদের পিতা কে? এই জন্ম প্রসঙ্গ ইছলামী তথ্যমতেই প্রশ্ন করা যায় - তিনি কি আব্দুল্লাহর পুত্র? এমন প্রশ্ন করেছেন অনেকেই। 

ধর্মীয় তথ্য-উপাত্ত দেখিয়েই এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, জানতে চেয়েছেন তিনি আসলেই আব্দুল্লাহর পুত্র কি না। যদি তিনি সত্যিই আব্দুল্লাহর পুত্র হন, তবে এসব প্রশ্নের দাবি করা অযৌক্তিক। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনো ধর্মীয় পণ্ডিত দেখাতে পারেননি কোনো শক্ত যুক্তি; আর সেটা সম্ভবও নয়। কেননা এটাই ইছলামী দলিল-প্রমাণ, যা নির্দেশ করে, মোহাম্মদের পিতা আব্দুল্লাহ নন। ইছলামী মতে, পিতৃপরিচয়হীন কেউ মসজিদের ইমামতিও করতে পারবে না বলে মত দেয়া আছে। এখন কথা হচ্ছে, এমন একজনকে নবী মানতে মুছলিমদের কেন বাধে না? 

(চলবে)

ধর্মপচারক-এর পক্ষ থেকে:

'নাস্তিকদের বাপের/জন্মের ঠিক নাই' - এমন কথা প্রায়ই লক্ষ্য করা যায় আস্তিকীয় খিস্তিখেউড়ে। এদের মতে, ধর্মসম্মত উপায়ে রেজিস্ট্রিকৃত বিবাহবন্ধনে দম্পতিদের জন্ম দেয়া সন্তানগুলো ছাড়া বাকি সমস্ত সন্তান জারজ।

নিজের জন্মের ওপরে কারুর হাত থাকে না। আর তাই ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে কোনও সন্তান অবৈধ তথা জারজ ঘোষিত হলেও তাকে ঘৃণা, অবজ্ঞা বা হেয় করার ভেতরে আছে ছোটোলোকি, অমানবিকতা ও বর্বরতা।

ইছলামী তথ্যসূত্রই প্রমাণ করে: ইছলামের নবীর জন্ম, ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে, নিশ্চিতভাবেই অবৈধ। কিন্তু আমরা, অন্তত এ বিষয় নিয়ে, ব্যঙ্গ বা বিদ্রূপ করবো না। তার কঠোর সমালোচনা করবো তার কর্মকাণ্ডের জন্য, কিন্তু গালিকামিল মমিনদের পথ ধরে আমরা অঙ্গুলি নির্দেশ করে বলবো না, "দ্যাখ, তোদের নবীর বাপের/জন্মের ঠিক নাই।"

ইছলামের নবীর জন্মরহস্য বিষয়ে একটি তথ্যবহুল ভিডিও দেখুন:

ভিডিও লিংক: http://youtu.be/eppDnzmPJfk

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন