থাবা বাবা হত্যার বিচারের রায়টি ন্যায়সঙ্গত হয়েছে কি না বা রায়টা ঠিক কেমন হলে সঠিকতর হতো, সে বিতর্কে না গিয়ে একটি কথা অকপটে বলি বরং: কোনও ব্লগার হত্যার বিচার বাংলাদেশে কখনও সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হবে, সেই প্রতীতি ও প্রত্যাশাই ছিলো না আমার। আস্থা হারিয়ে ফেলেছিলাম। নিজের ধারণা ভুল প্রমাণিত হতে দেখে কিছুটা ভালো লাগছে বৈকি। বিচারের এই ধারাটা অব্যাহত থাকুক, মনে-প্রাণে চাইছি।
কিন্তু থাবা বাবাকে আর কখনও ফিরে পাওয়া যাবে না, সেই অপরিমেয় বেদনা বুকে জমে রইবে সারাটা জীবন।
আজকের এই দিনে ধর্মকারীতে প্রকাশিত থাবা বাবার লেখাগুলো পড়ে নেয়া যাক আবার।
-----------
(থাবা বাবার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রকাশিত)
সরল কিন্তু স্পষ্টবক্তা, সরস কিন্তু প্রয়োজনে শ্লেষাত্মক, বিচিত্র বিষয়ে ঈর্ষণীয় জ্ঞানের অধিকারী কিন্তু নিরহংকারী এই মানুষটিকে তাঁর পরিচিত গণ্ডির অনেকে খুব পছন্দ করতো, তবে বাকিদের চক্ষুশূল ছিলেন তিনি তাঁর অকপট স্পষ্টবাদিতার কারণে।
মনে পড়ে, থাবা বাবা একবার ধর্মকারীর জন্য একটি ইবুক বানিয়ে দিয়েছিলেন। হায়! আর এবার ইবুক বানাতে হচ্ছে তাঁর স্মরণে। ধর্মকারীতে প্রকাশিত তাঁর ছোট-বড়ো সমস্ত রচনা, তাঁর বানানো বা অনূদিত পোস্টার-কার্টুনগুলোকে সংকলিত করে রাখা হলো।
থাবা বাবাকে হত্যা করে ধর্মান্ধরা প্রকারান্তরে বেগবান করেছে যুক্তি-প্রমাণচর্চার আন্দোলন। থাবা বাবা নেই, তবে তাঁর লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকালই। নিশ্চিতভাবেই বলা চলে, বাংলা ভাষায় ধর্মপ্যাঁদানির ইতিহাসে থাবা বাবার অনেক রচনা ও বাণী মাস্টারপিস হিসেবে গণ্য হবে। যাঁরা পড়েননি, অবশ্যই পড়ে দেখুন। যাঁরা পড়েছেন, সংগ্রহে রাখুন।
সাইজ: ১.৫ মেগাবাইট
* ইবুকের জন্য সকল প্রশংসা এক ও অদ্বিতীয় কৌস্তুভ-এর। নিজের কাজকর্ম ফেলে ইবুক-নির্মাণপ্রকল্প বাস্তবায়নের পেছনে সময় ব্যয় করার জন্য তাঁর প্রতি অপার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
** পোস্টের শিরোনাম দিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন।
নিচে অনলাইনে পাঠযোগ্য ভার্শন:
নিচে অনলাইনে পাঠযোগ্য ভার্শন:
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন