বয়স হল চার-পঞ্চাশ, চিমসে গায়ে ঠুন্কো হাড়,
দুলছে বুড়ো সামনে পিছে - ভাঙলো বুঝি খাটটি তার
হেঁইয়ো ব'লে হাত পা ছেড়ে পড়ছে তেড়ে চিৎপটাং,
উঠছে আবার 'আল্লা' বলে এক্কেবারে পিঠ সটান্।
বুঝিয়ে বলি, "বৃদ্ধ, তুমি এই বয়েসে কর্ছ কী?
কালি জিরা খাও ও উটের মুতটাও খুব বরকতী
ঠাণ্ডা হবে দেহের আগুন, শান্ত হবে ছটফ্টি-"
বৃদ্ধ বলে, "খামস কাফির, সব তাতে তোর পট্পটি!
ঢের খেয়েছি মূত্র-জিরা, ঢের মেখেছি চর্বি তেল,
তুই ভেবেছিস আমায় এখন চাল্ মেরে তুই করবি ফেল?"
এই না ব'লে আয়েশা পানে লম্ফ দিয়ে হুশ ক'রে
হঠাৎ খেয়ে উল্টোবাজি ফেললো তাকে 'পুশ' করে।
"দুলছো অমন উল্টো রকম," আবার বলি বুঝিয়ে তায়,
"উটমূত্র হুড়হুড়িয়ে মগজ পানে উজিয়ে যায়।"
বললে বুড়ো, "কিন্তু বাবা, আসল কথা সহজ এই-
ঢের দেখেছি বদল করে করে কোথাও আমার ভুলটি নেই।"
"বউটি তোমার বাচ্চা মেয়ে - আজকে মতন ক্ষান্ত থাক
থামাও তোমার উল্টো নাচন, থামাও তোমার চর্কিপাক" -
যেই বলেছি এই কথাটা, অমনি হঠাৎ ঠ্যাং নেড়ে
আবার বুড়ো হুড়মুড়িয়ে ফেললো তাকে ল্যাং মেরে।
ভাবছে মেয়ে, “মারবো লাথি এবার বুড়োর ‘বল’ ঘেঁষে”,
বলল বুড়ো "করব কী, বল্? করায় এ সব অভ্যেসে।"
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন