আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৬

যৌনকেশ, অবাধ রমণীসঙ্গম ও নাস্তিককুল

(ইছলাম যৌনদাসীকে ধর্ষণের অধিকার দিয়েছে (কোরানের প্রাসঙ্গিক আয়াত ও হাদিসের বিশাল তালিকা) - এই কথাটা অনেকেরই জানা নেই বলে মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জেনানা-ইছলামবাজের বলা কথাগুলোয় ("অ-মুছলিম মেয়েদের ধর্ষণ করা যায়েজ") বিস্ময় প্রকাশ করেছে তারা। অথচ এ কাজটি শুধু যায়েজই নয়, সুন্নতও। নবীজি তার জীবনে বহুবার আল্যা-অনুমোদিত এই কর্মের চর্চা করেছে। তাহলে চোখ কপালে তুলছে কেন সবাই? 

আরও একটি লক্ষণীয় বিষয়: যথেচ্ছ যৌনাচারের প্রভূত সুযোগ রয়েছে মুছলিম পুরুষদের। অথচ তারাই কিনা নাস্তিকদের উদ্দেশে বলে: নাস্তিক হবার প্রধান লক্ষ্য নাকি 'ফ্রি সেক্স' (মমিনদের প্রিয় শব্দবন্ধ)।

তো এ বিষয়ে ১.৯.১০ সালে প্রকাশিত একটি লেখা আবার প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো।)

#

গতকাল "মুসলিম" নিকধারী একজন খিস্তিখেউড়খচিত যে-মন্তব্যটি ধর্মকারীতে পাঠালেন, তা ভদ্র ভাষায় অনুবাদ করলে অনেকটা এরকম দাঁড়ায়:
এটা যৌনকেশ পরিত্যাগ করার সাইট। এখানে সবাই এসে যৌনকেশমুণ্ডন করে যায়। শ্যালক, অবাধ রমণীসঙ্গমের লক্ষ্যে নাস্তিক সেজেছো! 
মুসলিম সাহেব, যৌনকেশমুণ্ডনের বিধান কিন্তু নাস্তিকদের নেই, আছে মোমিন মুছলমানদের। দেখুন, সহি বুখারিতে (খণ্ড ৭, বই ৭২, হাদিস ৭৭৭) আবু হুরাইরা বর্ণনা দিচ্ছে: "আল্লাহর রাসুল বলেছেন - ফিতরার পাঁচটি নিদর্শন: খতনা করা, যৌনকেশমুণ্ডণ করা, নখ কাটা, এবং গোঁফ ছোট করে ছেঁটে রাখা।"

অতএব মোমিন মুছলমানের করিতব্য কর্মকে নাস্তিকদের ওপরে চাপানো কি ঠিক হলো? 

আর মোমিন মুছলিম ও বাকিদের মধ্যে পার্থক্যটা কী, জানেন তো? গড়পড়তা মোমিন মুসলিম নিচে নিয়মিত শেইভ করে, তবে ওপরে করে না। আর গড়পড়তাভাবে বাকিরা করে এর ঠিক উল্টোটা।

এখন আসা যাক অবাধ রমণীসঙ্গম প্রসঙ্গে। প্রথমে একটু হেসে নিই প্রাণ খুলে। কারণ নাস্তিক হবার এমন অপ্রতিরোধ্যরকমের আকর্ষণীয় কারণটির কথা জীবনে প্রথম শুনলাম 

মুসলিম ভাই, ইছলামেই তো ইহ- ও পরকালে অবাধ রমণীসঙ্গমের সমূহ সুযোগ আছে! নাস্তিকদের দোষারোপ করেন কেন? আপনাদের নবীই তো অবাধ রমণীসঙ্গমের অনুসরণীয় তথা সুন্নতি উদাহরণ স্থাপন করে গেছে।

বৈচিত্র্যপিয়াসী নবী গণ্ডায়-গণ্ডায় বিয়ে করেছে, স্ত্রীরা নানান বয়সী (নাতনির বয়সী থেকে শুরু করে মা'র বয়সী), নানান গোত্রের ও ধর্মের। এছাড়া দাসী ও উপঢৌকন হিসেবে প্রাপ্ত এবং যুদ্ধবন্দী মেয়েদের সাথেও তার ছিলো বিবাহবহির্ভূত যৌনসম্পর্ক।

তবে এ-কথা স্বীকার করতেই হয়, নিজে ঈর্ষণীয় ইন্দ্রিয়পরায়ণ জীবনযাপন করলেও অনুসারীদের কথা সে ভোলেনি। তাদের দিয়েছে চারটি বিয়ের অনুমতি। বোনাস হিসেবে আছে দাসী ও যুদ্ধবন্দিনীদের (গনিমতের মাল) অবাধ ভোগের অধিকার। 

এ তো কেবল ইহকালে। আর পরকালে নিশ্চয়ই আপনাদের প্রত্যেকের জন্য রহিয়াছে বাহাত্তরটি করিয়া কুমারী ও অগণ্য গেলমান।

এবার আমাদের, নাস্তিকদের, অবস্থা দেখুন। পরকালে রোস্ট হওয়াই আমাদের নিশ্চিত নিয়তি। ইন্দ্রিয়সুখলাভের কোনও সম্ভাবনা সেখানে আমাদের একদমই নেই। একমাত্র সুযোগ ইহকালে। আর তাই সেই চেষ্টা যদি আমরা করিও, তাতে এতো হিংসা করলে চলে, ভাই, যখন আপনাদের সুযোগ আছে গাছেরটা খাবার এবং তলারটাও কুড়োবার?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন