আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৬

মুসলমান - ইসলাম = মানুষ

লিখেছেন পুতুল হক

মুসলমানের মধ্য থেকে ইসলামটুকু নিয়ে নিন, সে তখন আর দশটা সাধারণ মানুষের মত মানুষ। জিহাদের নামে সে নিজেকে বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেবে না। বাবার বিরুদ্ধে ছেলে দাঁড়াবে না, ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভাই দাঁড়াবে না। শুধুমাত্র অ-ইসলামী হবার কারণে কারো মাথা কেটে নিতে তখন তাদের ঠিক হাত কাঁপবে। 

একজন হিন্দু বা ইহুদি বা খ্রিষ্টানের সাথে মুসলমানের কোনো পার্থক্য নেই। তারা একইভাবে হাসে, কাঁদে, সুখ পায়, দুঃখ পায়, ক্ষোভে ফেটে পড়ে। পার্থক্য শুধুমাত্র তাদের বিশ্বাসে। যখনই সে মুসলমান, তখনই সে বাকিদের জন্য হুমকি। তখন সে সমগ্র পৃথিবী ইসলামের ছায়াতলে আনার স্বপ্ন দেখে। পৃথিবীর সকল নারীকে কালো বোরখায় ঢেকে দেয়ার স্বপ্ন দেখে। 

মোহাম্মদের বাহিনীর কথা ভাবুন একবার। এরা কিন্তু একই আরবে বসবাসকারী যারা ইহুদি, খ্রিষ্টান আর পৌত্তলিক হয়ে পাশাপাশি বসবাস করেছে ইসলামের আগ পর্যন্ত। তাদের মধ্যে ঝগড়া-ফ্যাসাদ ছিল, কিন্তু ধর্মের নামে একে অপরকে কখনো নির্মূল করেনি। এরাই যখন মুসলমান হলো, তখন বানু নাদীর, বানু কাউনুকা, বানু কোরাইজা ধ্বংস করে দিলো। 

কা’বা ঘর, যাকে মুসলমান এখন বলে আল্লার ঘর, সেখানে কি ইসলামের পূর্বে যে কোনো ধর্মের মানুষ প্রার্থনা করতে যায়নি? ৩৬০ টি মূর্তিকে যারা ভাঙে, এক সময় তারাই এদের পুজা করেছে। পূর্বপুরুষ যাদের শ্রদ্ধা করেছে, ভালবেসেছে তাদের কী অবলীলায় ধ্বংস করে দিলো! আরবের লোক বেদুঈন ছিল, যাযাবর ছিল, পৃথিবীর অন্য অংশের তুলনায় হয়তো পিছিয়ে পড়ে ছিল, কিন্তু ইসলামের জন্মের আগে তারা গণহত্যা করেছে বলে শুনেছেন? অথচ পরবর্তীতে এরাই ধ্বংসে মেতে উঠলো। 

একটা ভয়ংকর মানসিক রোগের নাম ইসলাম। এই রোগে মানুষ তার প্রকৃত পরিচয় ভুলে যায়, তার বিবেক পচে যায়, বিচার-বিবেচনার স্বাভাবিক ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। স্কুল থেকে দু'শ কিশোরী ধরে নিয়ে যায় মুসলমান, প্রকাশ্যে ক্রীতদাসী বিক্রি করে মুসলমান, সাংবাদিকের মাথা কেটে ফেলার দৃশ্য সগর্বে প্রচার করে মুসলমান। ইসলামে মানবতা, গণতন্ত্র, নারী স্বাধীনতা বলে কিছু নেই। তাই মুসলমানরা এসবের বিরোধী। ইসলামে দুনিয়ার জীবন গুরুত্বহীন, তাই উন্নতি-প্রগতির বালাই নেই। মুসলমান ফিরে যেতে চায় ১৪০০ বছর আগের যুগে, যখন সমতল পৃথিবীর ওপর সাত আসমান ছিল আর খুঁটি দিয়ে পৃথিবী গেড়ে দেয়া হয়েছিল। 

একটা ভদ্র শিক্ষিত ছেলেও একসাথে চার স্ত্রীর কথা ভাবে, যদি সে হয় মুসলমান। চিন্তা করা যায়, একজন স্বামী তার স্ত্রীকে ফেলে রোজ রাতে দাসী ভোগ করবে, কিন্তু স্ত্রী তাকে কিছুই বলতে পারবে না! আপনি যতই পাপ করুন, যতই অন্যায় করুন, আল্লার সাথে কাউকে অংশীদার না করলে আপনার সব পাপ থেকে আপনি মুক্তি পাবেন। 

তবে মুসলমানের মধ্য থেকে ইসলামটুকু বের করে দিলে সে আর পৃথিবীর জন্য, মানবতার জন্য হুমকি হবে না। সে তখন সাধারণ মানুষ, যার মনে নিজের জন্য, পরিবারের জন্য, মানুষের জন্য অফুরন্ত ভালোবাসা থাকে, যে অন্যের মত প্রকাশকে নিশ্চিত করে, প্রিয়তমার হাত ধরে হাঁটার সময় তার খোলা চুলের সুবাস নেয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন