আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ১৬ মার্চ, ২০১৬

শান্তিরক্ষক যখন শান্তিভক্ষক

লিখেছেন শহীদুজ্জামান সরকার

আরবী 'ইসলাম' শব্দের আক্ষরিক অর্থ 'আত্মসমর্পণ'(বাংলা একাডেমীর ব্যবহারিক বাংলা অভিধান, ৮ম পুনর্মুদ্রণ: জানুয়ারি ২০০৭), যদিও বাঙালি মুসলমানরা জানে, ইসলাম মানে শান্তি। কোনো মৌ-লোভীকে আপনি এই ভুলটা ধরিয়ে দিন, আসল প্রশ্নটা এড়িয়ে গিয়ে তিনি তখন বলবেন, আসলে ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম। যাই হোক, কিছু হাদিস এবং কোরানের আয়াত বিশ্লেষণ করলে তো বোঝা যাবে, আসলে ইসলাম কতটা শান্তির ধর্ম।
হে নবী! মুমিনদেরকে শত্রু দমনের উদ্দেশ্যে সশস্ত্র অভিযানে উৎসাহিত করুন। তোমাদের মধ্যে যারা দৃঢ়-চিত্ত ও ধৈর্যশীল হবে, তারা বিশজন হলে দুশমনদের দু’শজনকে পরাজিত করবে এবং একশজন হলে এক হাজার কাফেরকে পরাভূত করবে। কারণ তারা অজ্ঞান।
সূরা আত তাওবা-য় একটি যুদ্ধের দাওয়াত। এ সূরা পড়লে মনে হয় যেন একটি রণভেরী। এতে যুদ্ধের নিয়ম-কানুনও রয়েছে। লক্ষ্য করুন, আল্লাহ কীভাবে চুক্তিভঙ্গকারী মুশরিকদের প্রতি লা’নত বর্ষণ করেছেন:
তাদের বিরুদ্ধে লড়ে যাও। আল্লাহ তোমাদের হাতেই তাদের শাস্তি দেবেন এবং তাদেরকে লাঞ্চিত ও অপামানিত করবেন। তাদের মোকাবেলায় তোমাদের সাহায্য দান করবেন এবং মুমিনদের বুক ঠান্ডা করবেন। (সূরা আত তাওবা)
এবার আহলে কিতাব ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের সম্পর্কে আল্লাহ কী বলেছেন, তা লক্ষ্য করুন:
আহলে কিতাবদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী নয় এবং আল্লাহ ও তার রাসূল যেসব বস্তুতে হারাম ঘোষণা করেছেন, সেগুলোকে হারাম মনে করে না আর মেনে নেয় না দীনে হককে, তোমরা সেসব কিতাবধারীদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত থাক, যতক্ষণ না তারা অধীনতা ও বশ্যতা স্বীকার করে নিজেদের হাতে জিজিয়া দানে স্বীকৃত হবে। (সূরা আত তাওবা)
বের হয়ে যাও (জিহাদের উদ্দেশ্যে) অস্ত্র-শস্ত্র হালকা হোক বা ভারী হোক এবং আল্লাহর পথে তোমাদের জান-মাল লাগিয়ে দিয়ে জিহাদ কর। (সূরা আত তাওবা)
ইসলামের মুল কিতাব কুরানে এই ধরনের আয়াতগুলো কতটা শান্তির, যেখানে বিধর্মীদের জন্য যুদ্ধ ঘোষণার কথা বলা হয়েছে? যুদ্ধ কি কখনো শান্তি হতে পারে? অনেকে বলে, ইসলামের নামে যুদ্ধ, মারামারি, হানাহানি মানা যায় না। আপনারা কি ওপরের আয়াতগুলোকে অস্বীকার করবেন?

সারা দেশে চলছে ইউনিয়ন কাউন্সিল নির্বাচন। এই নির্বাচনী প্রচারণা করতে গিয়ে যা দেখছি, তাতে মনে হচ্ছে, ধর্ম ছাড়া নির্বাচন অসম্ভব। প্রত্যেক প্রার্থীকেই ধর্মের দোহাই দিতে দেখছি দারুণভাবে। ইসলামে যদিও নারী নেতৃত্ব হারাম, তারপর অনেক মৌ-লোভীকে দেখছি নারী প্রার্থীর হয়ে প্রচারণা করতে।

এটা যে একটা স্বার্থ, তা বুঝতে খুব বেশি জ্ঞানী হবার দরকার নেই। তবে এলাকার অনেক মানুষ এক মৌ-লোভীর উপর বেজায় বিরক্ত হয়ে গেছে। সে বলছে, নারীদের ভোট দেয়া হারাম এবং বিধর্মী কাউকে ভোট দেয়াও হারাম। মৌ-লোভী যে ভুল কথা বলছে, তা কিন্তু নয়। সে ইসলামের আসল কথাটাই বলেছে। তবে মডারেট মুসলমানগুলো তার এই সব আচরণ মেনে নিতে পারছে না। কারণ এদের ইসলাম সম্পর্কে প্রকৃত জ্ঞান নেই। তবে এটা ভেবে একটু ভালো লাগছে যে, মানুষ আস্তে আস্তে মরুভুমির এই বর্বর ধর্মটাকে ভুলে যাচ্ছে।

এতক্ষণ ইসলাম নিয়েই শুধু কথা বললাম। অন্য ধর্মের লোকগুলো হয়তো ভাবছে, তাদের ধর্মগুলো খুব ভাল, শান্তির। তারা ভাবুক, আর আমরা বিনোদিত হই।

ধর্ম যদি শান্তিরক্ষকই হবে, তবে ধর্ম নিয়ে এত যুদ্ধ, অশান্তি, হানাহানি ও মারামারি কেন?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন