আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ, ২০১৬

পুতুলের হক কথা - ১২

লিখেছেন পুতুল হক

৪১.
কসাইয়ের দোকানের সামনে ক্যাডেট মাদ্রাসা। বোধহয়, প্র্যাকটিকাল ক্লাসের জন্য এমন লোকেশন বেছে নেয়া।

৪২.
আমরা সকলেই জানি, মোহাম্মদ পঁচিশ বছর বয়সে চল্লিশ বছরের বিবি খাদিজাকে বিয়ে করেন। মোহাম্মদ তাঁর ব্যবসা-বাণিজ্য দেখাশোনা করতেন। সততার কারণে বিবি খাদিজা তাঁর ওপর সন্তুষ্ট হয়ে বিয়ের প্রস্তাব পাঠালে মোহাম্মদ তাতে সম্মত হন এবং তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পনের বছর পর অর্থাৎ চল্লিশ বছর বয়সে মোহাম্মদ নবুয়তী প্রাপ্ত হন। তার মানে, মোহাম্মদ যখন খাদিজাকে বিয়ে করেন, তখন তিনি নবী বা পয়গম্বর ছিলেন না। তিনি ছিলেন মক্কার কোরাইশ বংশের সাধারণ এক দরিদ্র যুবক। সাধারণ এক দরিদ্র যুবক নিজের অবস্থান সম্পর্কে কতটা হতাশ হলে এমন এক বিয়ের প্রস্তাবে সম্মত হতে পারে? এমন তো নয় যে, মোহাম্মদ তখন আল্লার আদেশ পেয়েছিলেন, যেমনটি দেখা যায় আয়েশা বা যয়নবকে বিয়ের ক্ষেত্রে। মোহাম্মদ শুধু হতাশাগ্রস্ত ছিলেন না, তিনি ছিলেন প্রচণ্ড লোভী এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী। লোভ এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষার কারণে তিনি বিধর্মী খাদিজাকে বিয়ে করেন। এখন আমার-আপনার পরিচিত কেউ টাকার কারণে খ্রিষ্টান হয়ে আমেরিকা যায় আর এক খ্রিষ্টান মেয়ে বিয়ে করে বসে, বাবা-মাকে বলতে আরম্ভ করে - তোমরা সবাই খ্রিষ্টান হও, তাহলে আমরা তাঁকে কোন নজরে দেখবো? তার ওপর আরও যদি বলে যে, খ্রিষ্টান না হলে সবাইকে মেরে ফেলা হবে, তাহলে? সোজা কথা, মোহাম্মদ কোনো মহৎ মানুষ ছিলেন না। তাঁর অনুসারী হবার মাঝে গৌরবের কিছু নেই, বরং আছে লজ্জিত হবার মত অসংখ্য উদাহরণ।

৪৩.
ইসলাম একেশ্বরবাদী ধর্মের ধারাবাহিকতায় এসেছে, তাই সে কা'বার সব মূর্তি ভেঙে ফেলে।
ইসলাম পৌত্তলিক ধর্মের ধারাবাহিকতায় এসেছে, তাই সে কা'বাকে সাতবার প্রদক্ষিণ করে পাথরের পূজা করে।

৪৪.
স্বর্গ এমন একটি জায়গা, যেখানে মানুষ অলস, অকর্মণ্য হয়ে থাকতে চায়। সেখানে বই পড়া হবে না, আবিষ্কার হবে না। সারা দিন-রাত সুন্দরী অপ্সরাদের সাথে যৌনতা করে আর মদ খেয়ে পড়ে থাকার জগতের নাম স্বর্গ। মানুষের মনের যত কদর্যতা, বাজে ইচ্ছে আর বিকৃত মানসিকতা দিয়ে স্বর্গের ধারণা তৈরি করা হয়েছে। অথচ মানুষের কাছে স্বর্গ হওয়া উচিত ছিল, যেখানে চিন্তা, বুদ্ধি আর বিবেকের স্বাধীনতা থাকবে। যেখানে মানুষ মানুষকে ভালবাসবে, মনুষ্যত্বকে শ্রদ্ধা করবে, প্রতিনিয়ত সুন্দরের আবিষ্কার আর চর্চা হবে। এর থেকেই বোঝা যায়, মানুষের মনে খারাপের প্রতি যে-আসক্তি থাকে, সেই আসক্তিকে কাজে লাগিয়ে, প্রলোভন দেখিয়ে তাকে বিপথে চালিত করার জন্যই প্রচলিত সব স্বর্গবিশ্বাসের উৎপত্তি। আর এইসব স্বর্গবিশ্বাসের উৎপত্তি আর পুষ্টকরণের মূলে রয়েছে কিছু খারাপ মানুষের স্বার্থ। স্বর্গ-ধারণার উৎপত্তিকারকেরা যদি ভালো মানুষ হতেন, তাহলে স্বর্গের নোংরা বর্ণনা আমরা পেতাম না। স্বর্গের প্রতি বিশ্বাস রাখা মানে মানুষের রুচি, মনুষ্যত্ব, বিবেককে বলি দেয়া। বিকৃতি, লোভ আর অমানবিকতার কাছে আত্বসমর্পণ করলেই তথাকথিত স্বর্গীয় জীবনের সুখ পাওয়া যায়।

৪৫.
ওয়াজ শোনার পরে যদি মন্দিরের মূর্তি ভাঙা হয়, কয়েকটা হিন্দু বাড়ি জালিয়ে দেয়া হয়, কয়েকজন হিন্দু মেয়েকে তুলে আনা হয়, তবেই বুঝতে হবে - ওয়াজকারীর ওয়াজ করা সফল হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন