আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শনিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৬

আস্তিকীয় মূত্রধারা ও নাস্তিকেরা

দেশে নাস্তিকের সংখ্যা অতি নগণ্য। এক শতাংশও হয়তো নয়। এই খুদে সংখ্যক নাস্তিকের দিকে ইঙ্গিত করে ব্যঙ্গাত্মক সুরে আস্তিকেরা প্রায়ই বলে থাকে: "আমরা সবাই মিলে মুতে দিলে নাস্তিকেরা ভেসে যাবে।" কথা সইত্য, ভাইজান। নাস্তিক-সংখ্যা আসলে ধর্তব্যের মধ্যেই পড়ে না। বাস্তবতাও বলে, ধর্মবিশ্বাসীদের অতিকায় সংখ্যার বিপরীতে তা এতোটাই তুচ্ছ, গুরুত্বহীন, ক্ষমতাহীন, ঐক্যহীন, অসংগঠিত ও প্রভাবরহিত যে, তাদের আমলে না নেয়াটাই হতো আপনাদের জন্য সবচেয়ে স্বাভাবিক। আর নাস্তিক দূরীকরণে আস্তিকীয় মূত্রব্যয় তো পুরোদস্তুর বিলাসিতা বলে গণ্য হতে পারতো।  


কিন্তু বাস্তবে কী দেখছি আমরা। অঙ্গুলিমেয় এই গুটিকয় নাস্তিকই বিপুল ও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠদের কাছে বিরামহীন শিরঃপীড়ার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নাস্তিক উৎখাতের উচ্চকণ্ঠ দাবি নিরন্তর ধ্বনিত হচ্ছে সমাজের সর্বস্তর থেকে, এমনকি আদালত ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও।

এর পেছনে কারণ আসলে শুধুই একটি: নাস্তিকের সংখ্যাকে ভয় পাবার কোনও কারণ বিশ্বাসীদের নেই, তারা ভয় পায় নাস্তিকদের প্রচারিত প্রবল পীড়াদায়ক অস্বস্তিকর সত্যগুলোকে, যেসব কিনা কোরান-হাদিস ও অন্যান্য ছহীহ ইছলামী তথ্যসূত্র-দলিল মন্থন করেই আহরিত। ফলে অস্বীকার করারও উপায় নেই বলে বিড়ম্বনাকর এই সত্যগুলোর প্রকাশ ও প্রচার প্রতিরোধে তারা মরিয়া।

তারা জানে, চকচকে চাপাতির চকিত কোপে নাস্তিকহত্যা সম্ভব হলেও সত্যকে মূত্রধারায় নিমজ্জিত করা যায় না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন