আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০১৬

নবী সমীপে খোলা চিঠি - ২

লিখেছেন পুতুল হক

মাননীয় নবী,

শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন। আজকে আপনার সাথে কোনো কুতর্ক করার ইচ্ছে আমার নেই। একান্ত ভগ্ন মনে মনের কিছু কথা আপনার সাথে শেয়ার করছি। আমি জানি, যে-কথাগুলো আমি আপনার সাথে শেয়ার করবো, তা আপনাকে আনন্দে পুলকিত করবে। আমি এবং আমার মত আরো অসংখ্য মানুষ, যারা স্বপ্নতাড়িত হয়ে একটি ধর্মহীন আনন্দময় সমাজের জন্য সংগ্রাম করে যাই, আপনি হয়তো ভাবতে বসবেন যে, আমাদের পরাজয় নিশ্চিত। জয়-পরাজয়ের কথাতে পরে আসছি। আগে আমি কিছু কথা আপনার সাথে শেয়ার করি।

নবী ভাই (প্রায়ই আপনার সাথে আমার বাতচিত হয়, তাই ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করলে আলাপ করতে সুবিধা হয়), আপনি কি আমাকে পরিষ্কার করে বলতে পারবেন, ‘ইসলাম’ আসলে কী? জন্মের পর থেকে শুনে আসছি, ইসলাম একটি ধর্মের নাম, যা থেকে কেবল শান্তি আর শান্তি নির্গত হয়। এর প্রতিটি নিয়মকানুন থেকে শুধু শান্তি বুদবুদ আকারে ফেটে বের হয়। যেমন, মেয়েরা সারা শরীর কালো বোরকায় ঢেকে রাখবে, তাতে শান্তি। মাথার চুল দেখতে দেবে না, তাতে শান্তি। জায়গায়-অজায়গায় মসজিদ বানাবে, তাতে শান্তি। মসজিদ থেকে মাইকিং করবে 'হিন্দুর ঘরবাড়ি পোড়াও', তাতে শান্তি। বিধর্মীকে ঘৃণা কর, তাতে শান্তি। নাস্তিকের কল্লা কাটো, তাতে শান্তি। মতের মিল না হলে মুসলমানেরও কল্লা কাটো, তাতে শান্তি। মেয়েদের ধরে ধরে বাজারে বিক্রি কর, তাতে শান্তি। স্কুলে বোমা মেরে শত শত শিশুর লাশ ফেলো, তাতে শান্তি। আরো এতো অসংখ্য পদ্ধতিতে এহেন ইসলামী শান্তির জন্ম হয় যে, বলে শেষ করা যাবে না।

তাহলে, নবী ভাই, ইসলাম অনুসরণ করলে আমাদের শান্তির অভাব হবে না, তাই তো? এখন আমাদের অনেক মসজিদ, মসজিদে অনেক মাইক, অনেক বোরকা-হিজাব-জোব্বা-টুপি। আমরাও এখন নাস্তিকদের কল্লা ফেলি, হিন্দুর মেয়েকে পিতার সামনে ধর্ষণ করি। দেশকে ১০০% মুসলমানের দেশে পরিণত করতে আমরা অনেকটাই সফলকাম। আমাদের ঘরে, বাইরে, পথে, ঘাটে, টেলিভিশনে, রেডিওতে, সিনেমায়, কবিতায়, আলোচনায়, সম্ভাবনায় এখন কেবল ইসলাম আর ইসলাম। চারদিকে ইসলামের ছড়াছড়ি। স্বীকার করতে দ্বিধা নেই, চারিদিকে ‘ইসলামী শান্তির’ ছড়াছড়ি। যত ইসলাম, তত শান্তি। সত্য বটে!

আপনি আপনার উম্মতদের শিখিয়েছেন আপনার কথায় বিশ্বাস রাখতে। আমরা বিশ্বাস করলাম, আমরা শান্তিতে আছি। নবী, আপনি কি শান্তিতে ছিলেন, যখন বেঁচে ছিলেন? যখন আপনি মারা গেলেন, আপনার দাফন হয়নি দুই দিনেও, তখন কি আপনি শান্তিতে ছিলেন? আপনার প্রিয় সখা আলী, প্রিয় কন্যা ফাতিমা, প্রিয় নাতি হাসান-হুসেন কি শান্তিতে ছিলেন? কোথায় কীভাবে হারিয়ে গেলেন প্রিয় বিবি আয়েশা? আপনার মত একজন পুত্রকে জন্ম দিয়ে পিতামাতার মনে কতটুকু গর্ব আর শান্তি অনুভূত হতে পারে, জিজ্ঞেস করেছেন কখনো নিজেকে?

নবী আপনি ইসলামের নামে শান্তির কোনো তরিকা বাতলে যাননি। আমরা সেটা বুঝতে পেরেছি। শত শত মসজিদ আপনার ভণ্ডামির মুখোশকে আড়াল রাখতে পারছে না। লক্ষ কোটি মাইক আপনার হিংসার ধ্বনিকে ঢেকে রাখতে পারছে না। আপনি নিজেই আপনার কাপড় খুলে ফেলেছেন সেই আমলেই। আমরা শুধু বলছি, আপনি ন্যাংটা, তবে ন্যাংটা কিন্তু আপনি নিজেই হয়েছেন। আমাদের বিজিত হবার আসলে কোনো সুযোগ নেই। তাই আমরা জয়ের জন্য মরিয়া নই। আমরা শুধু সত্যের বর্ণনাকারী। একখানা পোশাক জোগাড় করতে পারলে আপাতত আপনার ইজ্জত বাঁচে, হয়তো তাই আপনি জয়ের জন্য হিংস্র।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন