আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ২৫ মে, ২০১৬

গুগল থাকতে ঈশ্বর কেন?

লিখেছেন কামিকাজি

পৃথিবীর একটি বড় প্রশ্ন হল: "ঈশ্বরের অস্তিত্ব আছে কি?" বেশিরভাগ মানুষ উত্তর দেবে, "হ্যাঁ, আছে।" যদি প্রশ্ন করা হয়, "আপনি কি তার অস্তিত্ব অনুভব করেন?" অনেকেই বলবে, "হ্যাঁ. করি।" কিন্তু ঈশ্বর যে আসলেই আছে. তার প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। অনেক মুমিনকেই পাল্টা প্রশ্ন করতে শুনেছি, "আপনি কি অক্সিজেন, হাইড্রোজেনের অস্তিত্ব টের পান? ঈশ্বর হল অদৃশ্য কিন্তু অনুভব করতে হয়।" কিন্তু মূল যে-ব্যাপারটা ধার্মিকরা এড়িয়ে যায়: অক্সিজেন-হাইড্রোজেনের অস্তিত্ব বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় প্রমাণ করা সম্ভব, কিন্তু ঈশ্বরের বেলায় সেই প্রশ্ন তোলাই বাহুল্য।

কিছু মানুষ ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন, কেউ কেউ ঈশ্বর বলতে কিছু আছে, তা বিশ্বাস করতে নারাজ। এটা সম্পূর্ণ তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। ঠিক যেমনটা কিছু বাচ্চা সুপারম্যান, স্পাইডারম্যান অথবা সান্টা ক্লজ আছে বলে বিশ্বাস করে, আবার কিছু স্মার্ট বাচ্চা মনে করে, এগুলো ছেলেভোলানো কল্পকাহিনী।

ধর্ম কেন এত বড় বিষয়, মাঝেমধ্যে ভাবতে অবাক লাগে। ধর্ম আমাদের মানবসমাজে এত বছরে কী উন্নয়ন সাধিত করেছে, তার তালিকা চাইলে কিছুই পাওয়া যাবে না। কিছু লোক কিছু ধর্মের অনুসারী মানুষের উদাহরণ দিয়ে থাকেন। যেমন, মুসলমানদের ক্ষেত্রে ইবনে সিনা, খ্রিষ্টানদের ক্ষেত্রে মাদার তেরেসা - যদিও এঁর কথিত মহৎ কর্ম প্রবলভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। কিন্তু তাদের ভাল কাজে ধর্মের ভুমিকা কোথায়?

একজন ভাল মনের ধার্মিক মানুষ ভাল কাজ করলে সেখানে ধর্মকে কৃতিত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু যখন একজন ধার্মিক খারাপ কাজ করে, ধর্মের নামে মানুষ হত্যা করে, তখন ধার্মিকরা চিৎকার করে ওঠে, "এখানে ধর্মের কোনো দোষ নেই, কেউ খারাপ কাজের জন্য ধর্মকে ব্যবহার করলে এখানে ধর্মের দোষ কোথায়?"

অনেকেই বলে. ''বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর।' এটা একদম ডাঁহা মিথ্যা কথা। বিশ্বাসে কিছুই মেলে না। আজ পর্যন্ত ভণ্ড পীর-ফকিরদের স্বপ্নে পাওয়া তাবিজ অথবা পানি-পড়া ছাড়া বিশ্বাসে কিছু মিলেছে কি না, আমার জানা নেই। অধ্যবসায়, পরিশ্রম, অজানাকে জানার আগ্রহ থেকেই মানুষ নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার করেছে। যদি ঈশ্বর বিশ্বাস করে কেউ খাদ্যের আশায় বসে থাকতো, তাহলে সবাইকে না খেয়েই মরতে হত।

ঈশ্বর যদি থেকেই থাকে, তাহলে এ কেমন ঈশ্বর, যেখানে বিধর্মীরা একের পর এক মানুষের জন্য উন্নয়ন করেই যাচ্ছে, আর ধার্মিকরা নামাজ পড়ার ভিন্নতার কারণে নিজেদের মধ্যে মারামারি করে শেষ হয়ে যাচ্ছে? যেখানে বিধর্মীরা নিজেদের দেশকে উন্নতির চরম শিখরে নিয়ে যাচ্ছে, গ্রহ থেকে গ্রহে অনুসন্ধান চালাচ্ছে, সেখানে ধার্মিকরা বেহেস্তে যাওয়ার জন্য দুনিয়াবী কাজকর্মে আগ্রহী নয়। দিনে পাঁচবার মাথা ঠুকে, আর জোব্বা-দাড়ি লাগিয়ে, বউ পিটিয়ে, নাস্তিকদের কুপিয়ে ৭২ হুর পাওয়ার নেশায় উদগ্রীব। বিধর্মী অঞ্চলের মানুষ সভ্যতার চরম উৎকর্ষে, আর আফ্রিকায় হাজার হাজার শিশু না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছে। এ কেমন বৈষম্য, এ কেমন ঈশ্বর, যে নিজের সন্তানদের কাউকে সুখে রাখে, কাউকে না খাইয়ে মারে?

খরা, দুর্যোগ, খাদ্যাভাব, প্রাকৃতিক দুর্যোগ নাকি ঈশ্বরের পরীক্ষা! এইসব পরীক্ষা নিয়ে নাকি তিনি ধার্মিকদের ঈমান পরীক্ষা করেন। তাহলে বিধর্মী দেশগুলোতে কেন দুর্যোগ হয়, তাদের কেন পরীক্ষা দিতে হয়, তার উত্তর আজও পেলাম না। আর এসব দুর্যোগ যদি প্রাকৃতিক কারণে হয়ে থাকে, তাহলে ঈশ্বরকে ভয় পাবার কারণ কী?

তাই ভাবি, ঈশ্বরের সাথে দেখা হলে বলতাম, ''তোমাকে আমার দরকার নেই, আমি আমার সব প্রশ্নের উত্তর গুগলেই পাই।''

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন