আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০১৬

লিটন ভাইয়ের স্ত্রী

লিখেছেন জর্জ মিয়া

গতকাল লিটন ভাই (ফ্ল্যাটের মালিক ভাইবেন না কেউ আবার) সন্ধ্যায় চায়ের দোকানে বইসা আড্ডায় আমারে কইতেছে, "বুচ্ছেন, ওস্তাদ, এইবার আর লাগামু না। সামনে ঈদের মার্কেট, এখন একটু ব্যবসায় মন দিতে হবে। তাছাড়া ৪১ দিন না লাগাইলে আসলে মজাও লাগে না।"

দোকানের সবাই তার দিকে চোখ বড় করে তাকিয়ে আছে। কয় কী এই দাড়িওয়ালায়! কী সব অশ্লীল লাগালাগির কথাবার্তা! যাই হোক, ব্যাপারটা ক্লিয়ার করে দিলাম কথার মাধ্যমেই। তাদের উদ্দেশেই বললাম, "৪১ দিন কিংবা ৩ দিনের লাগানো আসলে তাবলীগ-জামাতের কথা বলা হয়েছে। এই দিনগুলি মুমিন মুছুল্লিরা আল্যার ইবাদতে স্পেশালি খাটান, তাই একে লাগানো বলে, আরও ব্যাখ্যা করে বলতে গেলে - এটাকে আল্যার রাস্তায় লাগানো বলে।"

আমি উঠে চলে যাবো, এমন সময়ে বললাম তাকে, "লিটন ভাই, আপনাকে আর আপনার স্ত্রীকে দেখেছিলাম, মানে ভাবীকে দেখেছিলাম মটর সাইকেলে পেছনে বসিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রথমে দূরে থেকে দেখে ভেবেছিলাম মালের বস্তা নিয়ে যাচ্ছেন বুঝি দোকানে। কাছে আসার পরে দেখলাম, বোরখা পরিহিতা হাত-মোজা, পা-মোজাসহ এক হিজাবিনী আপনার পেছনে। যেহেতু আপনি দ্বীনদার লোক, সেহেতু অবশ্যই নিজের বিবিকে ছাড়া অন্য কোনো জেনানাকে আপনার বাইকে তুলবেন না, এটা তো মোটামুটি নিশ্চিত ছিলাম, তাই অনুমান করলাম, এটা আপনার স্ত্রীই হবেন।... দুঃখিত, ভাই, বস্তা ভাবার জন্য। কিছু মনে করবেন না।"

আমার কথা শুনে লিটন ভাই মনে বেশ কষ্টই পেয়েছেন, বোঝা গেল। তিনি বললেন, "মিয়া, তুমি আর আমার লগে কথা কইবা না! আমার বউরে তোমার মালের বস্তা মনে হইছে, সেইটা আবার আমার কাছেই কইতাছো।"

এবার আবার তারে কইলাম, "দেখেন, ভাই, দূর দিয়া দেখছিলাম তো! আর মানুষই তো ভুল করে, ভুল হয় না শয়তানের।" এর পরে ধর্মকারী থেকে ডাউনলোড করে রাখা একটা ছবি মোবাইল থেকে দেখালাম তাকে। দেখিয়ে বললাম, "লিটন ভাই, আপনে কি পারবেন আলাদা করতে, কোনটা বস্তা আর কোনটা হিজাবিনী-জেনানা? পারলেও কষ্ট হবে আপনার। আমিও ঠিক এমন ভুলটাই করেছিলাম।"


এবারে লিটন ভাই আর থাকতে না পেরে চায়ের বিল মিটিয়ে দিয়ে চলে গেলেন। কাউকে কিছু না বলেই। অন্য সময়ে সবাইকে পীড়াপীড়ি করেন নামাজে যাবার জন্যে, আজকে সেটাও করলেন না। পেছন থেকে ডাকলাম বেশ কয়েকবার। জবাবে তিনি বললেন, "দোকানে কাজ আছে, তোরা থাক, আমি পরে আসুমনে।"

লিটন ভাইয়ের সাথে আমার আজকে সকালে দেখা হয়েছে। আমাকে চায়ের দোকানে দেখা মাত্রই তিনি উঠে চলে গেলেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন