আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০১৬

এসো, কোরান তিলাওয়াত করি - ০৭

লিখেছেন ফাতেমা দেবী (সাঃ)

১৭.
বললাম, হে আদম, তুমি ও হাওয়া জান্নাতে বাস করো এবং যা ইচ্ছা খাও, যেখানে ইচ্ছা যাও; কিন্তু এই গাছের কাছে যেওনা। অন্যথায় উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শয়তান তাদেরকে সংকল্প থেকে বিচ্যুত করলো। ওরা গন্দম ফল ভক্ষণ করলো। উভয়কেই বের করে দিলাম জান্নাত থেকে। তাদের নির্দেশ দিলাম, তোমরা পরস্পর শত্রুরূপে নেমে পড়ো দুনিয়াতে। (২:৩৫-৩৬) সুরা বাকারা, আয়াত ৩৫-৩৬

- আল্লা তার তৈরি আদম ও হাওয়াকে জান্নাতের যেখানে খুশি যেতে বললেন, যা ইচ্ছা খেতে বললেন। কিন্তু গন্দম-গাছের কাছেও যেতে মানা করলেন। বললেন, ওদিকে গেলে ওরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আল্লার তৈরি আদম ও হাওয়ার ক্ষতির সমূহ সম্ভাবনা আছে, এমন জিনিস আল্লা তৈরি করেছিলেন কেন? তৈরি যদিও করেছিলেন, তা তাদের হাতের কাছেই রেখে দিয়েছিলেন কেন? বাচ্চাদের জন্য ক্ষতিকর এমন যে কোনো জিনিসের গায়ে লেখা থাকে, বাচ্চাদের নাগালের বাইরে রাখুন। বয়স্কদের দায়িত্ব বিপজ্জনক জিনিস বাচ্চাদের নাগালের বাইরে রাখা। তা না করলে বা করার পরেও যদি কোনো বাচ্চা তা দ্বারা ক্ষতির স্বীকার হয়, তার জন্য বাচ্চা দোষী নয়, দোষী প্রাপ্তবয়স্ক, যে বাচ্চাকে ঠিক মতো দেখাশোনা করেনি বা বিপজ্জনক জিনিসটি বাচ্চার নাগালের বাইরে রাখেনি।

- আল্লা কোরানে অনেকবার বলেছেন, তিনিই একমাত্র সর্বশক্তিমান। তার ইচ্ছা ছাড়া গাছের পাতা নড়ে না। তাহলে তারই তৈরি তুচ্ছ শয়তান কীভাবে আদম ও হাওয়াকে সংকল্প থেকে বিচ্যুত করতে পারলো? সর্বশক্তিমান আল্লার শক্তি কি তারই তৈরি শয়তানের চেয়ে অনেক কম?

মনে করুন, কেউ একজন একটা খাবার বানালো। তার বাচ্চাকে বললো, খাবারটা খেয়ো না। বাচ্চাটা তবুও খাবারটা একটু চেখে দেখলো। এজন্য কি সেই মানুষটি তার বাচ্চাকে চিরদিনের জন্য বাসা থেকে বের করে দেবে? এমন অসভ্য লোক কি পৃথিবীতে কেউ আছে? আদম-হাওয়া গন্দম খেয়েছিল বলেই কি তাদেরকে জান্নাত থেকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতে হবে? এবং শয়তান এবং আদমকে চিরশত্রু হিসেবে পৃথিবীতে মারামারি কাটাকাটিতে লিপ্ত থাকতে নির্দেশ দিতে হবে? পৃথিবীর নিষ্ঠুরতম মানুষটিও কি এমন জঘন্য কাজ করতে পারবে?

- আদম ও হাওয়াকে আল্লা বলেছিলেন, গন্দম ফল না খেতে, এমন কি ওই গাছের কাছেও না যেতে। অন্যথায় উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিন্তু আদম ও হাওয়া গন্দম খাওয়ার পরে তাদের কোনো প্রকার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হয়েছিল ব'লে কোরানে লেখা নেই। তার মানে, কোরানে লেখা আল্লার ভবিষ্যৎবাণী ডাহা ভুল প্রমাণিত হয়ে গেছে সেই আদিতেই। কিন্তু তবুও কেন শুধু তুচ্ছ গন্দম খাওয়ার জন্য আল্লা আদম-হাওয়াকে জান্নাত থেকে বহিষ্কার করে দিলেন? কেমন হাস্যকর না! এটা তো অপরাধের পর্যায়েই পড়ে না? ক্ষমতা থাকলেই কি তার ফানি স্বৈর-ব্যবহার করতে হবে?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন