লিখেছেন রহমান পৃথু
চীনা মেয়েরা জামাকাপড়-চালচলনে ইউরোপ-আমেরিকার মেয়েদের মত খোলামেলা। স্তনের আভাস দেখা যায় - তবুও কোনো টিজ নেই। চুরি করে কোনো ছেলে বুক বা দেহ দেখছে - চোখে পড়েনি। মেয়েরা রাস্তাঘাট, যানবাহন বাস আন্ডারগ্রাউন্ডে চলাফেরা করছে - স্বাধীন।
জাকির নায়েক ও মুসলমানরা মিথ্যা বলে - ইউরোপ আমেরিকায় নারীরা বুরখা পরে না - তাই ওখানে বেশি যৌন-অত্যাচার ও ধর্ষণ চলে। এবং পক্ষান্তরে ইসলাম নারীকে দিয়েছে মহান মর্যাদা!
পরীক্ষা করুন: পাঁচজন যুবতী মেয়েকে রাত ১২ টার সময় মুসলিম দেশের কোনো শহরে বা বাংলাদেশের মসজিদের শহর ঢাকায় ছেড়ে দিন। যদি একজন মেয়েও সকালে অক্ষত ফিরতে পারে!
কিন্তু ইউরোপ-আমেরিকায় শহরের সরু রাস্তায় রাত বারটায় একা কোনো মেয়েকে নির্ভয়ে হেঁটে বা সাইকেলে যেতে দেখবেন। ওসব দেশের স্কুল-কলেজের মেয়েরা যে জামাকাপড় পরে, তার কিছুমাত্র বাংলাদেশে কোনো মেয়ে পরে রাস্তায় বের হলে কলেজে পৌঁছানোর আগেই সে মেয়ের ওপর একশটি ফৌজদারী অপরাধ সংগঠিত হবে।
মুসলমানদের ধারণা - পাশ্চাত্যের নারীরা বুরখা পরে না এবং স্বল্প বসনের নারীরা সব বেশ্যা। এরকম হাজারো মিথ্যা প্রচার ও অন্ধ বিশ্বাসের ওপর ইসলাম টিকে আছে। অথচ পাশ্চাত্যে - স্ত্রীর অমতে সেক্স করাও অপরাধ। ইসলামে নারী - সে ছয় বছরের শিশু হলেও - হালাল।
ইসলামে - কোনো নারী ধর্ষণের অভিযোগ করলে উল্টো ঐ নারীকে ধর্ষিত হওয়ার অপরাধে পাথর মেরে হত্যা করা হয়। আরবে বাপ-বেটার হাতে পরিবারের কোনো নারী ও শিশু রেহাই পায় না। বিশ্বাস না হয় - বাংলাদেশী নারী, যারা আরব দেশে ঘরের কাজ করেন, তাঁদের কাছে শুনে দেখেন, সেখানে নারীকে ইসলাম কত মর্যাদা দিয়েছে। এছাড়া ইসলামে পালিত কন্যাকেও বিয়ে করা যায়েজ।
সৌদি আরব, ইরান, আফগান বা পাকিস্তানের কোনো মেয়েকে চয়েস দিয়ে দেখুন - ইসলামের দেয়া মর্যাদায় ডুবে থাকতে চায় নাকি পাশ্চাত্যে পালিয়ে আসতে চায়।
তারপরও যে সব মেয়ে বুরখা পরে ইসলামের মর্যাদা লাভের আশা করে, তাদের জন্য করুণা হয়।
তারপরও যে সব মেয়ে বুরখা পরে ইসলামের মর্যাদা লাভের আশা করে, তাদের জন্য করুণা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন