রাশিয়ার মতো দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা, বোধহয়, চলে না। তবে একটি ব্যাপারে মিল কিন্তু প্রবল। নিচের খবরগুলো পড়লে তুলনাটা মাথায় আসে অবধারিতভাবে। লিংকগুলো পাঠিয়েছেন মোকাম্মেল।
১. পুতিন ও রুশ অর্থোডক্স চার্চের সম্মিলনে রাশিয়ার নাস্তিকরা ঝুঁকির মুখে। বাংলাদেশে সরকার ও হেফাজতের আঁতাতের কাহিনী মনে পড়ে যায়।
২. ধর্মদুর্গত রাশিয়ায় অর্থোডক্স চার্চ একটি নির্মাণ কোম্পানির কাছে তাদের ঋণের অর্ধাংশ পরিশোধ করেছে টাকায়, বাকিটা শোধ হবে প্রার্থনার মাধ্যমে। অর্থাৎ চার্চ ওই কোম্পানির জন্য প্রার্থনা করবে। অতএব প্রার্থনার মূল্য আছে - প্রমাণিত।
৩. নিরীশ্বর জগৎ সমকামিতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে বলে আইসিস-এর উত্থান ঘটেছে - এই বাণী দিয়েছে রুশ অর্থোডক্স চার্চের প্রধান। ঠিক যেন বাংলাদেশের ওয়াজবাজ মোল্লাদের লেভেল।
৪. ধর্মকবলিত রাশিয়ায় বেসরকারী সংস্থাগুলোর জন্য নির্ধারিত সরকারী অনুদানের সিংহভাগ পেয়েছে রুশ অর্থোডক্স চার্চ। বাংলাদেশে হেফাজত যেমন পেয়েছে ৩২ কোটি টাকা মূল্যের জমি। ওদিকে রুশ সরকারী সাইটের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে রাশিয়ায় দরিদ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ২০ ভাগ। এখন প্রতি সাতজন রুশ নাগরিকের বাস দারিদ্র্যসীমার নিচে।
৫. "ভালোবাসা আবিষ্কার করেছে পশ্চিমারা", ভ্যালেন্টাইন দিবসে রুশ অর্থোডক্স চার্চ-অনুসারীদের দাবি। ঠিক যেন রুশ ফতোয়া।
৬. ধর্মানুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে রুশ সোশ্যাল নেটওয়ার্কের একটি পেইজ ব্লক করে দিয়েছে ধর্মঅন্তপ্রাণ রাশিয়া। বাংলাদেশের হাইকোর্ট তো ২০১২ ও ২০১৫ সালে 'ধর্মকারী' ব্লক করার রায় দিয়ে এমন উদাহরণ স্থাপন করেছিল।
৭. প্রবল ধর্মপ্রাণ পুতিন বলেছেন, "আমেরিকা ঈশ্বরহীন" - যদিও আমেরিকা প্রবলভাবে ধর্মাক্রান্ত দেশ হিসেবেই পরিচিত।
৮. রুশ অর্থোডক্স চার্চের কর্মীর ভাষ্যমতে, পুতিনের ঈশ্বর হবার সুযোগ আছে।
৯. বাংলাদেশে আছে ৫৭ ধারা, আর রাশিয়ায় আছে ব্ল্যাসফেমি আইন। এক ওয়েবসাইটের মন্তব্য-প্রতিমন্তব্যে "ঈশ্বর নেই" বলার অপরাধে রুশ ব্ল্যাসফেমি আইনে এক বছরের জেলের হুমকিতে পড়েছেন এক রুশ নাস্তিক।
১০. রাশিয়ায় বরফ গলা পানিতে গোসল করার ধর্মীয় ঐতিহ্যকে অনলাইনে সমালোচনা করার অপরাধে একজনের এক বছরের জেল হয়েছে। বাংলাদেশ-রাশিয়া ভাই ভাই...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন