আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ১৫ জুন, ২০১৬

ফাতেমা দেবীর ফতোয়া - ৩৩

লিখেছেন ফাতেমা দেবী (সঃ)

১৬১.
রমজান মাসে মুসলিম দেশগুলিতে খাদ্যদ্রব্যের বেজায় দাম। ব্যবসায়ীদের রমরমা ব্যবসা, বেশুমার লাভ। তবুও কি বেঈমানকুল বিশ্বাস করবে না, রোজার মাস রহমতের মাস? রমরমা ব্যবসা-বাণিজ্য কি রহমত নয়?

১৬২.
আমি রোজা রাখি। আপনাদের প্রতি অনুরোধ, সবাই রোজা রাখুন। আমরা সবাই জুতা, মোজা, টুথপেস্ট ইত্যাদি জিনিস যত্ন করে রাখি। কিন্তু রোজা রাখার কথা উঠলে আঁতকে উঠি ভয়ে। কেন এতো ভয় রোজা রাখতে? জুতা মোজা রাখতে পারি, রোজা কেন রাখবো না? অবশ্যই রাখবো। তবে এই গরমকালে রোজাকে যেখানে সেখানে রাখলে নষ্ট হয়ে যাবে। ফ্রিজে রাখতে হবে, যাতে রোজা ঠাণ্ডা ও ভালো থাকে। ঠাণ্ডা রোজা খেতেও অনেক মজা। তবে যাদের ফ্রিজ নেই, তারা কীভাবে রোজাকে ঠাণ্ডা রাখবেন, তাই তো? রোজাকে ঠাণ্ডা পানিতে চুবিয়ে রাখবেন। পানি ঠাণ্ডা করবেন কীভাবে, তাই তো? 'পানি ঠাণ্ডা করিবার দোয়া' পড়ে জমজমের পানিতে ১০টা ফুঁ দিবেন আল্লার নামে। পানি ঠাণ্ডা হয়েয়া যাবে আল্লা সোবহানা তালাচাবির কুদরতের বলে। তার পর সেই ঠাণ্ডা পানিতে রোজা রাখবেন। কিছুক্ষণ পরে খাবেন বিছমিল্লাহ সহযোগে। মনে হবে, আল্লাতালাচাবির নেয়ামত খেলেন।

১৬৩.
আল্লা বলেছেন, তিনি 'হও' বললেই যে কোনো কিছু হয়ে যায় সাথে সাথে। তার উৎপত্তি বা জন্মও কি এই একই পদ্ধতিতে? মানে, তার জন্ম বা উৎপত্তি হবার আগেই তিনি জন্মাবার ইচ্ছায় বলেছিলেন 'হও', আর সাথে সাথেই তিনি হয়ে গেলেন?

১৬৪.
কেউ কি সমস্ত পৃথিবী খুঁজে একজন মোসলমান বের করতে পারবেন, যে সমকামিতা ঘৃণা করে না? যে সমকামীদের ঘৃণা করে না? যে মোসলমান কর্তৃক সমকামী হত্যা সমর্থন করে না?

একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ কাকে ভালোবাসবে, কার সাথে যৌনসম্পর্ক করবে, তা তার নিজের ব্যাপার সম্পূর্ণভাবে। প্রাপ্তবয়স্কদের পারস্পরিক সম্মতিতে কোনো সম্পর্ক হলে তা কোনোভাবেই অপরাধ নয়। ইসলাম ও মোসলমানদের কে অধিকার দিয়েছে অন্যের প্রেম ও যৌনজীবনে তাদের নাক ঢুকিয়ে দিতে? হত্যা ও সব ধরনের ধ্বংসলীলা ছাড়া আর কিছুই কি তারা করতে জানে না?

১৬৫.
গতকাল এক জায়গায় বৌদ্ধ ভিক্ষুদের মতো পোশাক পরা এক লোক আমার দিকে এগিয়ে এসে ছোট্ট একটা সোনালি রঙের কাগজের টুকরো আমাকে সাধতে শুরু করলো, বলতে থাকলো:
- এটা নাও, এটা 'peace'. 
আমি খুব অবাক হলাম। তাকে জিজ্ঞেস করলাম:
- একটা কাগজের টুকরা কীভাবে peace হয়? 
সে বললো:
- এই তো দেখো না, এখানে বুদ্ধের ছবি আছে। তাই এটা peace. 
আমি তাকে আবার জিজ্ঞেস করলাম:
- peace-কে তাহলে ছোট ছোট কাগজে piece piece করে মানুষের মধ্যে বিতরণ করা সম্ভব? 
সে হকচকিয়ে বিদায় নিলো।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন