আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০১৬

নাজিল হলো ফাজিল 'পরে - ৩

লিখেছেন বিরামহীন-আরাম

পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে (সূরা আন-নাবা, শেষ অংশ): পরহেযগারদের জন্যে রয়েছে সাফল্য। (৩১) উদ্যান, আঙ্গুর, (৩২) সমবয়স্কা, পূর্ণযৌবনা তরুণী। (৩৩) এবং পূর্ণ পানপাত্র। (৩৪) তারা তথায় অসার ও মিথ্যা বাক্য শুনবে না। (৩৫) এটা আপনার পালনকর্তার তরফ থেকে যথোচিত দান (৩৬) যিনি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর পালনকর্তা, দয়াময়,কেউ তাঁর সাথে কথার অধিকারী হবে না। (৩৭) যেদিন রূহ ও ফেরেশতাগণ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াবে। দয়াময় আল্লাহ যাকে অনুমতি দিবেন, সে ব্যতিত কেউ কথা বলতে পারবে না এবং সে সত্যকথা বলবে। (৩৮) এই দিবস সত্য। অতঃপর যার ইচ্ছা, সে তার পালনকর্তার কাছে ঠিকানা তৈরী করুক। (৩৯) আমি তোমাদেরকে আসন্ন শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করলাম, যেদিন মানুষ প্রত্যেক্ষ করবে যা সে সামনে প্রেরণ করেছে এবং কাফের বলবেঃ হায়,আফসোস-আমি যদি মাটি হয়ে যেতাম। (৪০)

এই আয়াতগুলো থেকে আমরা কী বুঝলাম?

আগেই কইসি কুরানে খালি ছাইঞ্চ আর ছাইঞ্চ - মানে বিগ্যান! আপনার মনে তিল পরিমান সন্দেহ থাকলে আবার মিলায়ে নেন। তবে এই আয়াতগুলা ঠিক ডাইরেক্ট ছাইঞ্চ না। ছোশাল ছাইঞ্চ বলতে পারেন। আর ছোশাল ছাইঞ্চ তো ছাইঞ্চ-ই। কী বলেন? তা এইটা কীভাবে ছোশাল ছাইঞ্চ-এর ভিতরে পড়লো? দেখেন:

পরহেযগারদের জন্যে রয়েছে সাফল্য। (৩১) - >>> আপনি যদি পুরুষ হন: আপনি তো আর এমনি এমনি আল্লারে ডাকবেন না, তাই না? বিনা কারণে তো আর পরহেযগার হবেন না। একটা কিছু মোটিভেশান তো লাগবেই। এইগুলা পরের আয়াতে জলবৎ তরলং করা হয়েছে। আপনি পাবেন আঙ্গুর, পূর্ণ যৌবনা তরুণী এবং পূর্ণ পানপাত্র। এখন পানপাত্র হাতে আঙ্গুর খাইতে খাইতে আপনি পূর্ণ যৌবনা তরুণীর সাথে লুডু খেলবেন নাকি দাবা খেলবেন, সেইটা আপনার ব্যাপার। তউবা আস্থাগফিরুল্লাহ। ভুইলা গেছি, দাবা খেলা তো হারাম!... আর আপনি যদি নারী হন: দেখেন, আপনার জন্য তেমন বিশেষ সুবিধাদি রাখা হয় নাই। তবে আপনি একদম নিরাশ হবেন না। আপনার স্বামী যাদের সাথে লুডু খেলবে, তাদের সর্দারনী হইবার বিরল গৌরব আপনি অর্জন করবেন। আর যদি আপনি অবিবাহিত অবস্থায় মারা যান, তা হইলে আর কী! ঐ যে উদ্যান আছে, সেইখানে বনে বাদাড়ে বইসা আঙ্গুর খাইবেন। বলেন সুভানাল্লাহ।

উদ্যান, আঙ্গুর, (৩২) - >>> বুঝতেই পারেন বালু-মরুভূমির আরবে উদ্যান এবং আঙ্গুর দুইটাই কীরকম দুষ্প্রাপ্য জিনিস। আপনার জন্য তাই বেহেস্তে এই দুইটার পর্যাপ্ত সরবরাহ রাখা হইল। কিন্তু খবরদার আঙ্গুর বেশি খাইলে কিন্তু লুজ মোশান হইতে পারে। ওইখানে ওরস্যালাইন পাওয়া যায় কি না, এইটা আমি শিওর না।... কিন্তু আল্লায় আঙ্গুরের লোভ দেখাইয়া কেমনে ফ্রান্সের “ভোঁস রোমানি” অঞ্চলের মুমিনদের বেহেস্তে লইয়া যাবে, এইটা আমার মাথায় ঢুকে না। রোমানি এলাকা ওয়াইন আর আঙ্গুরের লাইগা পৃথিবী বিখ্যাত। তাদের কাছে গিয়া অন্য কোনো জায়গার আঙ্গুরের কথা কইলে "বান্দির পুত" বইলা চটকানা দিব। আল্লায় সেইসব মুমিনগো ঠেকা দিব কেমনে?

সমবয়স্কা, পূর্ণযৌবনা তরুণী। (৩৩) - >>> একটু আগেই কইসি, আপনি পরহেযগার মানুষ। চাইলেই আপনি তাদের লইয়া লুডু অথবা কুতকুত খেলতে পারেন। পৃথিবীর মত বাধ্যবাধকতা ওইখানে তো আর নাই। কেউ জিগাইবই না, আপনি কেন ৭২ জন পূর্ণযৌবনা তরুণীর সাথে কুতকুত খেলেন? সাহস থাকলে আপনি আপনার আব্বার কুতকুত খেলাও দেখতে পারেন। কী সুন্দর ফ্যামিলি রি-ইউনিয়ন হইবো, চিন্তা করসেন। বলেন, এমনই যেন হয়, আমিন। 

এবং পূর্ণ পানপাত্র। (৩৪) - >>> পানপাত্রে তো আর আপনার লাইগা গরম গরুর দুধ কেউ রাখবো না, তাইলে ওইখানে কী থাকবো, সেইটা বুইঝা লন। আর বেহেস্তে গরু পাইবেন কই? বেহেস্তে চার পায়া প্রাণী বলতে আছে খালি বুরাক। আপনার যদি প্রোটিনের খুব দরকার হয়, তাইলে আল্লার কাছে বুরাকের দুধ চাইতেই পারেন। বেহেশতী হিসাবে আপনার একটা হক আছেনা। আল্লায় না করবো না নিশ্চয়। তিনি চ্রম দয়াশীল।... আর একখান কথা, আপনি যদি ক্লাশ টেন ছাইঞ্চ পাশ দিয়া থাকেন, একটু চিন্তা কইরা দেইখেন তো, বেহেশতী আঙ্গুর থেইকা ফারমেন্টেশান ছাড়া আর কোন তরিকায় ফেরেশতারা শরাব বানায়? পৃথিবীর ফালতু তরিকা নিশ্চয় তেনারা ইস্তেমাল করেন না।

তথায় অসার ও মিথ্যা বাক্য শুনবে না। (৩৫) - >>> এইখানে সত্য কথা বলা হইসে। বেহেশতে নিশ্চয় আপনার কান থাকবো না। কানের কী কাজ? সব কাজ তো দুই রানের মধ্যিখানে। ঠিক কি না? আর লুডু, কুতকুত খেলার সময় কানে কিছুই শোনা যায় না।

এটা আপনার পালনকর্তার তরফ থেকে যথোচিত দান (৩৬) - >>> আলহামদুলিল্লাহ্‌। পৃথিবীতে যা কিছু নিষেধ, সব বেহেস্তে খুল্লামখুল্লা। 

যিনি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর পালনকর্তা, দয়াময়,কেউ তাঁর সাথে কথার অধিকারী হবে না। (৩৭) যেদিন রূহ ও ফেরেশতাগণ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াবে। দয়াময় আল্লাহ যাকে অনুমতি দিবেন, সে ব্যতিত কেউ কথা বলতে পারবে না এবং সে সত্যকথা বলবে। (৩৮) - >>> নভোমন্ডল, ভূমন্ডল? ইউটিউবে একটু দেইখা লন, পৃথিবী কোন জায়গাতে আছে এই গ্যালাক্সির। চিন্তা করেন তো, হেলমেট অক্সিজেন ছাড়া জোব্বা পইরা বুরাকে চাইপা আমাগো নবী গ্যালাক্সি পাড়ি দিয়া যাইতাছে সাত আসমানের ঐ পারে সব নবীগো নামাজে ইমামতি করতে। চিন্তা করলেই আমার চোখে পানি চইলা আসে। হাসির চোটে। রূহ ও ফেরেশতা সারিবদ্ধভাবে খাড়াইবো। একদম ইস্কুলের এসেম্বলির মতো। আর্মির মার্চের পাস্টের মতো। আবার সবাইরে চুপ থাকতে হইবো। অবশ্য যাগোরে অনুমতি দেয়া হইবো তারা কিন্তুক মিনমিন কইরা কইতে পারবো “আল্লা, রফিক্যা হেঞ্চিল দি অ্যাঁর হোন্দে ডিঁয়া দিসে।”

এই দিবস সত্য। অতঃপর যার ইচ্ছা, সে তার পালনকর্তার কাছে ঠিকানা তৈরী করুক।(৩৯) আমি তোমাদেরকে আসন্ন শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করলাম, যেদিন মানুষ প্রত্যেক্ষ করবে যা সে সামনে প্রেরণ করেছে এবং কাফের বলবেঃ হায়,আফসোস - আমি যদি মাটি হয়ে যেতাম। (৪০) - >>> সত্য না হইয়া যাইবো কই? উদ্যান, আঙ্গুর, তরুণী, শরাব এইসব সত্য না হইয়া যাইবো কই? শাস্তিও সত্য। এই বিষয়ে আরেকদিন আয়াত নাজেল করুমনে। ...বিচারের দিনে কাফেরেরা কইবো, "ইশ! হোমওয়ার্ক যদি কইরা আসতাম, তাইলে আর বেঞ্ছের উপ্রে কান ধইরা দাঁড়াইতে হইতো না। আফসুস।"

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন