আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ১ আগস্ট, ২০১৬

নাজিল হলো ফাজিল 'পরে - ৪

লিখেছেন বিরামহীন-আরাম

পবিত্র মনুসংহিতায় বলা হয়েছে:
সর্বস্যাস্য তু সর্গস্য গুপ্ত্যর্থং স মহাদ্যুতিঃ।
মুখবাহুরুপজ্জানাং পৃথক্ কর্মাণ্যকল্পয়ৎ।। (১/৮৭)
বঙ্গানুবাদ: এই সকল সৃষ্টির অর্থাৎ ত্রিভুবনের রক্ষার জন্য মহাতেজযুক্ত প্রজাপতি ব্রহ্মা নিজের মুখ, বাহু, উরু এবং পদ এই চারটি অঙ্গ থেকে জাত ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্রদের পৃথক পৃথক কার্যের ব্যবস্থা করে দিলেন।

এই স্তোত্র থেকে আমরা কী বুঝলাম?... বিশ্বজগৎ সৃষ্টি করে ব্রহ্মা দেখলেন, সর্বনাশ! গ্রহগুলান তো খালি পইড়া আছে। আর কোনো দেবতায় তো আর ফুটবল খেলে না, তা হইলে এইসব গোল গোল ছাগলের লাদির মত গ্রহ-নক্ষত্র দিয়া কী লাভ? ফুটবল খেললে না হয় লাইত্থালাত্থি কইরা দেবতাদের কিছুটা টাইম পাস হইতো। কিন্তু দেবতারা স্বর্গে ব্যস্ত অমৃত পানে এবং মেনকা, রম্ভা আর উর্বশীর ক্যাবারে ড্যান্স দেখাতে।

তো উপায়? এই ত্রিভুবন রক্ষা করবে কেঠায়?

বহুত চিন্তা-ভাবনা কইরা তার তিন মাথার ভিতরে ২০০ ওয়াটের বাল্ব জ্বইলা উঠল। “পাইসি বুদ্ধি” বইলাই সে চারটা জাতের মানুষ তৈরি করলো – সুন্নি, শিয়া, সুফী আর হানাফী।... ধুর!! কী কইতে কী কই। “পাইসি বুদ্ধি” বইলাই স্বয়ম্ভু ব্রহ্মা চারটা জাতের মানুষ তৈরি করলো – ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য আর শূদ্র।

এর মইদ্ধে ব্রাহ্মণ হইলো সব থেইকা সেরা। কারণ কী? কারণ হইল, হেরা ব্রহ্মার মুখ থেইকা উৎপত্তি হইসে। তারা খালি খাইবো, পড়বো আর ঘুমাইবো। কোনো ট্যাক্স-টুক্স দিবো না, আর বাকি জাতগুলার সর্বচ্চো ফায়দা হাসিল করবো। বড় শক্ত কাজ।

ক্ষত্রিয় হইলো ব্রহ্মার বাহু থেইকা তৈরি। এদের তৈরি করা হইসে প্রজাপালনের লাইগা, ব্রাহ্মণগুলারে দান করবো আর বৈশ্য শূদ্রদের খাড়ার উপর রাখবো। আর হ্যাঁ, মাঝে মাঝে পুত্রসন্তান লাভের আশায় অশ্বমেধ যজ্ঞের নামে পাট-রানীরে ব্রাহ্মণের বিছানায় উৎসর্গ করবো।

বৈশ্য ব্রহ্মার উরু থেইকা ঠুপ্পুস কইরা নামসে, তাগো কাজ পশুপালন, খাদ্য উৎপাদন আর ব্যবসা-বাণিজ্য করা। আর চাহিবা মাত্র ক্ষত্রিয় রাজারে ট্যাক্স দেয়া। আর হ্যাঁ, ব্রাহ্মণের সেবা এবং দান করাও তার কাজ।

শূদ্র তৈরি হইসে ব্রহ্মার ঠ্যাং থিকা। শূদ্রের কাজ সবচেয়ে সহজ। উপরের তিন জাতরে ‘বালোবাসি- বালোবাসি’ কইয়া সেবা কইরা যাইতে হইবো। অই তিন জাতে যতই তারে লাথি-গুঁতা মারুক, তবুও “শুশ্রুষামনসূয়ায়া” অর্থাৎ নিন্দা না কইরা অকপটে সবকিছু কইরা দিতে হইবো। আর মনে মনে কইতে হইবো ‘বালোবাসি- বালোবাসি’।

অর্থাৎ আমরা বুঝতে পারলাম ব্রহ্মার মাথা, হাত, কোমর, ঠ্যাং সবই আছে আর তার থিকাই সর্বপ্রকার মানুষের সৃষ্টি। 

আর হ্যাঁ, ভালো কথা – ব্রহ্মা কিন্তু নিরাকার। আমার কোনো সন্দেহ নাই, আপনার আছে কি?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন