আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শনিবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৬

খায়বার যুদ্ধ - ৭: “আল্লাহু আকবর”- এক আতঙ্কের নাম!: কুরানে বিগ্যান (পর্ব- ১৩৬): ত্রাস, হত্যা ও হামলার আদেশ – একশত দশ

লিখেছেন গোলাপ

(আগের পর্বগুলোর সূচী এখানে)

"যে মুহাম্মদ (সাঃ) কে জানে সে ইসলাম জানে, যে তাঁকে জানে না সে ইসলাম জানে না।" 

খায়বার যুদ্ধের প্রাক্কালে বানু আসলাম গোত্রের অন্তর্ভুক্ত বানু সাহম গোত্রের লোকেরা স্বঘোষিত আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর কাছে কী অভিযোগ করেছিলেন; তাদের সেই অভিযোগের জবাবে মুহাম্মদ 'তাঁর' আল্লাহর কাছে কী দোয়া করেছিলেন; রাতের অন্ধকারে চুপিচুপি মদিনায় পালিয়ে আসা নিঃসম্বল মুহাম্মদ তাঁর কী 'ভাবাদর্শ' আবিষ্কারের মাধ্যমে মাত্র দশ বছরে (৬২২-৬৩২ সাল) তৎকালীন আরবের সবচেয়ে ক্ষমতাধর, সচ্ছল ও সমৃদ্ধশালী ব্যক্তি হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন - তার আলোচনা আগের পর্বে ('জিহাদ' এর ফজিলত!) করা হয়েছে।

আল-ওয়াকিদির (৭৪৮-৮২২ খ্রিষ্টাব্দ) বর্ণনার পুনরারম্ভ: [1]
পূর্ব প্রকাশিতের (পর্ব: ১৩৫) পর:

উম্মে মুতা আল-আসলামিয়ার [অব্যাহত] বর্ণনা:
“----এক দুঃসাহসী যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ইহুদিদের মধ্যে থেকে ইয়াওশা (Yawsha) নামের এক লোক বের হয়ে আসে ও দ্বন্দ্ব যুদ্ধের আহ্বান করে। হুবাব বিন আল-মুনধির তার সাথে দ্বন্দ্ব যুদ্ধ করে। তারা একে অপরকে আঘাত করে ও হুবাব তাকে হত্যা করে। আল-যাওয়াল (al-Zayyal) নামের আর এক লোক বেরিয়ে আসে। উমারা বিন উকবা আল-গিফারী (Umara b Uqba al-Ghifari) অপ্রত্যাশিতভাবে আবির্ভূত হয় ও তার সাথে দ্বন্দ্ব যুদ্ধ করে। আল-গিফারী তার মাথার তালুতে আঘাত হানে।” -------

ইবনে আবি সাবরা (Ibn Abi Sabra) < ইশাক বিন আবদুল্লাহ বিন আবি ফারওয়া হইতে < আবদ আল-রাহমান বিন জাবির বিন আবদুল্লাহ হইতে < তার পিতা হইতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আমাকে বলেছেন:

'যখন আমরা আল-সা'ব বিন মুয়াধ দুর্গে পৌঁছাই, মুসলমানরা ছিলো খুবই ক্ষুধার্ত ও সব খাদ্যদ্রব্যই ছিলো দুর্গের ভিতরে। আমাদের সাথে আল-হুবাব বিন আল-মুনধির বিন আল-জামুহ তাদেরকে আক্রমণ করে, সে তখন আমাদের যুদ্ধের ঝাণ্ডাটি ধরে রেখেছিলো ও মুসলমানরা তাকে অনুসরণ করছিলো। তাদের সাথে প্রচণ্ড যুদ্ধাবস্থায় আমরা সেখানে দুই দিন অবস্থান করি।

যখন তৃতীয় দিন, আল্লাহর নবী তাদের উদ্দেশ্যে প্রত্যূষে রওনা হয়; ইহুদিদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি জাহাজের মাস্তুলের মত সম্মুখে এসে হাজির হয়, তার হাতে ছিলো এক বল্লম। এক দল দৌড়ানো লোকদের (runners) সাথে সে বের হয়ে আসে ও লক্ষ্য স্থির করে তারা দ্রুতগতিতে তীর নিক্ষেপ করে। আমরা আল্লাহর নবীকে রক্ষা করি, তারা বৃষ্টিধারার মত তীর নিক্ষেপ করে। তাদের তীর নিক্ষেপ ছিলো পঙ্গপালের মত, যাতে আমার মনে হয়েছিলো যে, তারা হয়তো ক্ষান্ত দেবে না। তারা আমাদের একযোগে আক্রমণ করে।

মুসলমানরা পিছু হটে যতক্ষণে না তারা আল্লাহর নবীর কাছে গিয়ে পৌঁছে, তিনি ছিলেন দাঁড়িয়ে। তিনি তাঁর ঘোড়ার ওপর থেকে নেমে আসেন ও মিদাম তা ধরে রাখে, আর আল-হুবাব তার অবস্থানে থেকে ঝাণ্ডাটি ধরে রাখে। আল্লাহর কসম, তাঁর ঘোড়া থেকে সে তাদের উদ্দেশ্যে তীর নিক্ষেপ বন্ধ করেনি।

আল্লাহর নবী মুসলমানদের উজ্জীবিত করেন, তাদেরকে 'জিহাদে' অনুপ্রাণিত করেন ও উত্তেজিত করেন। তিনি তাদের উদ্বুদ্ধ করান এই বলে যে, আল্লাহ তাঁকে খায়বার বিজয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যাতে তিনি তাদের জন্য তা লুণ্ঠন করতে পারেন [পর্ব- ১২৩-১২৪]

লোকেরা একত্রে অগ্রসর হয়, যতক্ষণে না তারা আবার তাদের ঝণ্ডাবাহকের কাছে ফিরে আসে। আল-হুবাব তাদের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে অগ্রসর হয় ও ক্রমাগত একটু একটু করে তাদের কাছাকাছি আসে। ইহুদিরা পশ্চাদপসরণ করে তাদের আস্তানার দিকে ফিরে যায়, যতক্ষণে না অমঙ্গল তাদেরকে নিমজ্জিত করে, অতঃপর তারা দ্রুত প্রস্থান করে।

তারা তাদের দুর্গের ভিতরে প্রবেশ করে ও তা তালাবন্ধ করে নিজেদের আবদ্ধ করে রাখে। তারা দেয়ালের ওপর হাজির হয়, যার একটি দেয়াল ছিল দেয়ালের বাইরে; অতঃপর তারা আমাদের লক্ষ্য করে প্রস্তর নিক্ষেপ করা শুরু করে, প্রচুর পরিমাণে। তাদের এই প্রস্তর নিক্ষেপের কারণে আমরা তাদের দুর্গের কাছ থেকে দুরে সরে আসি, যতক্ষণে না আমরা আল-হুবাব এর আদি জায়গাটিতে ফিরে যাই।

অতঃপর ইহুদিরা তাদের নিজেদের মধ্যে একে অপরকে দোষারোপ করা শুরু করে। তারা বলে, "কেন আমরা নিজেদের আবদ্ধ রাখবো? নাইম দুর্গের ভিতরে দৃঢ় মনোভাব ও ধৈর্যশীল মানুষদেরকে হত্যা করা হয়েছে [পর্ব: ১৩৪]।" তারা মরণ পণ করে বের হয়ে আসে, আর আমরা তাদের কাছে ফিরে যাই। দুর্গের গেটে আমরা পরস্পর প্রচণ্ড লড়াই করি। আল্লাহর নবীর তিনজন অনুসারী দুর্গের গেটে নিহত হয়। তারা হলো:

[১] আবু সাইয়া (Abu Sayya), যে বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলো। তাদের এক লোক তরবারি দিয়ে তাকে আঘাত করে ও তার মাথার টুপিটি ঝাপটা দিয়ে ফেলে দেয়।

[২] আবি বিন মুররা বিন সুরাকা (Abi b Murra b Suraqa); তাদের একজন তার বুকের মাঝখানে বল্লম দিয়ে আঘাত করে ও সে নিহত হয়।

[] তৃতীয় জন হলো আল-হারিথ বিন হাতিব (al-Harith b Hatib), যে বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলো। দুর্গের ওপর থেকে এক লোক তার মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করে ও তার মাথা ফাটিয়ে দেয়।

দুর্গ স্থানে আমরা তাদের বহু লোককে হত্যা করি।যখনই আমরা তাদের কোন একজন লোককে হত্যা করি, তারা তাকে দুর্গের ভেতরে নিয়ে যায়।

অতঃপর প্রধান ঝাণ্ডাবাহী তাদের আক্রমণ করে ও আমরাও তার সাথে আক্রমণ করি। আমরা ইহুদিদের দুর্গের ভেতরে প্রবেশ করি ও তার ভেতরে তাদের পশ্চাদ্ধাবন করি। একবার যখন আমরা তাদের দুর্গের ভেতরে প্রবেশ করি, তারা ভেড়ার মত হয়ে যায়।আমরা তাদের ঐ লোকদের হত্যা করি যারা আমাদের সম্মুখে আসে, আর তাদের লোকদের বন্দী করে রাখি। তারা 'হাররা'- লাভা স্তূপের - ওপর দিয়ে চতুর্দিকে পলায়ন করে এই আশায় যে, তারা যেন আল-যুবায়ের এর দুর্গে পৌঁছতে পারে। আমরা তাদের পলায়ন করতে দিই। 

মুসলমানরা যা উচ্চকণ্ঠে জাহির করতে করতে তার দেয়ালগুলোর ওপর আরোহণ করে, তা হলো, "আল্লাহু আকবর", অনেক বার ('তাকবীর'); আমারা 'তাকবীর'-এর মাধ্যমে ইহুদিদের শক্তিকে দুর্বল করে দিই। প্রকৃতপক্ষেই আমি যা দেখেছি, তা হলো - বানু আসলাম ও বানু গিফার গোত্রের যুবকরা দুর্গের ওপরে উঠে উচ্চকণ্ঠে ঘোষণা করছে 'তাকবীর'।--" 

- অনুবাদ, টাইটেল, [**] ও নম্বর যোগ - লেখক।

>>> আদি উৎসের ওপরে বর্ণিত বর্ণনায় আমরা জানতে পারি যে, অমানুষিক নৃশংসতায় নাইম দুর্গ দখলের পর মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীরা আল-সাব বিন মুয়াধ দুর্গ দখল করেন। নাইম দুর্গের মত এখানেও খায়বারের জনপদবাসী তাঁদের প্রাণ ও সম্পদ রক্ষার চেষ্টায়মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। অতঃপর মুহাম্মদ অনুসারীরা তাঁদের বহু নিরপরাধ ব্যক্তিকে খুন ও বন্দী করে এই দুর্গটি দখল করেন।

এই দুর্গটি দখলের সময় তারা মুহুর্মুহু উচ্চস্বরে "আল্লাহু আকবর (আল্লাহ মহান)!"বাক্যটি ব্যবহার করেন, ইসলামের পরিভাষায় যাকে বলা হয় "তাকবীর!"। ওপরে বর্ণিত বর্ণনায় আমরা আরও জানতে পারি যে, মুহাম্মদ অনুসারীদের এই মুহুর্মুহু "আল্লাহু আকবর" চিৎকার ইহুদিদের শক্তিকে দুর্বল করে দেয় ও তারা ভীতিগ্রস্ত অবস্থায় চতুর্দিকে পলায়ন করেন। তাদের মধ্যে যারা মুসলমানদের সম্মুখে আসে, তাদের সবাইকে করা হয় খুন। যারা পালিয়ে যেতে ব্যর্থ হয়, তাদেরকে করা হয় বন্দী। 

মুহাম্মদ ইবনে ইশাক, আল-তাবারী ও ইমাম বুখারীর বর্ণনায় আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি যে, মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের অতর্কিত আক্রমণে যখন অতি প্রত্যূষে দৈনন্দিন কাজে বের হয়ে আসা খায়বারবাসী "মুহাম্মদ ও তার বাহিনী" বলে চিৎকার করতে করতে নিজেদের প্রাণ রক্ষা ও অন্যদের সাবধান করার জন্য দৌড়ে পালাচ্ছিলেন, তখন মুহাম্মদ তাঁর অনুসারীদের নিয়ে "আল্লাহু আকবর! খায়বার ধ্বংস হয়েছে!" বলে তাঁদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছিলেন (পর্ব:১৩০)

জিহাদ নামের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে "আল্লাহু আকবর" শ্লোগানটি যে ব্যবহার করা যায়, তা সাধারণ মুসলমানদের অধিকাংশেরই অজানা। সে কারণেই দেখা যায়, যখন জিহাদিরা চাপাতি হাতে নিরপরাধ মানুষকে কুপিয়ে হত্যা করার সময়, আত্মঘাতী বোমা হামলার সময়, আগ্নেয়াস্ত্রের মাধ্যমে ও বোমা মেরে মানুষ খুন করার সময় উচ্চস্বরে "আল্লাহ আকবর" শ্লোগান ব্যবহার করে; তখন তথাকথিত মডারেট (ইসলামে কোন মাইল্ড, মডারেট বা উগ্রবাদী শ্রেণী বিভাগ নেই) পণ্ডিত ও অপণ্ডিতরা মিডিয়া-টেলিভিশন-ফেসবুক-পত্রিকায় সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠেন। তাঁরা দাবি করেন যে, নিরপরাধ মানুষকে খুন করার সময় "আল্লাহ আকবর নামটি ব্যবহার” করে জিহাদিরা তাঁদের শান্তির ধর্ম ইসলাম কে কলঙ্কিত করছে। তাঁদের এই দাবির যে আদৌ কোনো সত্যতা নেই তার প্রমাণ হলো আদি উৎসে বিশিষ্ট মুসলিম ঐতিহাসিকদেরই রচিত এই বর্ণনাগুলো।

মুহাম্মদের স্বরচিত ব্যক্তিমানস জীবনীগ্রন্থ কুরান সাক্ষ্য দেয় যে, কুরাইশরা ছিলেন 'আল্লাহ বিশ্বাসী!", যার আলোচনা ‘মুহাম্মদের মোজেজা তত্ত্ব (পর্ব: ২৪) পর্বে করা হয়েছে। তাঁদের বিশ্বাসের সেই "আল্লাহ"নামটি ব্যবহার করে তাঁরা অন্য ধর্মের লোকদের ওপর কখনো কোনো আগ্রাসী হামালা চালিয়েছিলেন, তাঁদের সেই 'আল্লাহ বিশ্বাস' অন্য ধর্মের লোকদের ওপর জোরপূর্বক চাপিয়ে দেওয়ার মানসেতাঁরা কখনো কোন নৃশংসতার আশ্রয় নিয়েছিলেন, অমানুষিক নৃশংসতায় অন্য ধর্মের লোকদেরকে খুন-জখম-বন্দী করে তাঁদের সমস্ত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি লুণ্ঠন করেছিলেন - এমন ইতিহাস কোথাও বর্ণিত হয়নি।

অন্যদিকে,

মুহাম্মদ “তাঁর সৃষ্ট আল্লাহ"-কে ব্যবহার করে ধর্ম প্রতিষ্ঠার নামে মানুষে মানুষে সক্রিয় বিভেদ সৃষ্টি, এমনকি একান্ত নিকট-আত্মীয় পরিবার পরিজনদের মধ্যেও বিভেদ সৃষ্টির মাধ্যমে যে নগদ অর্থ উপার্জন (বিস্তারিত 'লুঠ ও মুক্তিপণের আয়ে জীবিকা-বৃত্তি [পর্ব: ৩৭]' পর্বে) ক্ষমতা লাভের ব্যবস্থা করেছিলেন, তা মুহাম্মদের রচিত ব্যক্তিমানস  জীবনীগ্রন্থ কুরান, সিরাত ও হাদিস গ্রন্থের বর্ণনায় অত্যন্ত স্পষ্ট। মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের সংঘটিত এই সমস্ত সন্ত্রাস, খুন, জখম, নৃশংসতা ও দাসত্ব-বন্ধন কর্মকাণ্ডগুলো ছিলো "তৎকালীন সমাজে রীতি" বলে যে-অজুহাত ইসলাম বিশ্বাসী পণ্ডিত ও অপণ্ডিতরা (অধিকাংশই না জেনে) হাজির করেন, তা কী কারণে ইসলামের হাজারও মিথ্যাচারের একটি, তার আলোচনা 'আলী ইবনে আবু তালিবের নৃশংসতা (পর্ব: ৮২)!'পর্বে করা হয়েছে।

সংক্ষেপে,

মানব ইতিহাসের সবচেয়ে নীতিবিগর্হিত (Immoral) আগ্রাসী নৃশংস অমানবিক কর্মকাণ্ডের একটি হলো 'জিহাদ' নামের মুহাম্মদের এই ভাবাদর্শ! আদি উৎসের বিশিষ্ট মুসলিম ঐতিহাসিকদেরই বর্ণনায় যে-বিষয়টি অত্যন্ত স্পষ্ট, তা হলো, নিরপরাধ মানুষকে খুন অথবা বন্দী করে দাস- ও যৌনদাসীকরণ ও তাঁদের সম্পত্তি লুণ্ঠনকালে অবিশ্বাসীদের অন্তরে ত্রাস সৃষ্টির লক্ষ্যে “আল্লাহু আকবর" শ্লোগানটি মুহম্মদ ও তাঁর সঙ্গীরা ব্যবহার করতেন। 'জিহাদ' নামের এই ভাবাদর্শের "সরাসরি সুফল ভোগকারী" ব্যক্তিটি ছিলেন মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ! তাঁর সেই সরাসরি নগদ প্রাপ্তির দর মূল্য যদি অংকের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়, তবে তা হবে এই:

জিহাদের ফজিলত = ন্যূনতম নগদআয় বিশ পার্সেন্ট (এক-পঞ্চমাংশ) + ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা

তিনি ছিলেন "মিস্টার বিশ পার্সেন্ট প্লাস"! যত বেশী 'জিহাদ', তত বেশি ন্যূনতম (At a minimum) বিশ পার্সেন্ট নগদ প্রাপ্তি ও আরও বেশি ক্ষমতা অর্জন। তিনি ছিলেন মানব ইতিহাসের সবচেয়ে সফল "ধর্ম ব্যবসায়ী!" আশ্চর্য নয় কেন তিনি তাঁর অনুসারীদের জন্য তাঁর এই আবিষ্কারটিকে সর্বশ্রেষ্ঠ সৎকর্ম রূপে অভিহিত করে তার বাজারদর (Market value) তার অনুসারীদেরও নগদ প্রাপ্তি (মোট আয়ের অবশিষ্ট আশি পার্সেন্ট-এর হিস্যা) ছাড়াও ‘সরাসরি জান্নাত গমন' নির্ধারণ করেছিলেন।

ইসলামী ইতিহাসের ঊষালগ্ন থেকে আজ অবধি প্রায় প্রতিটি ইসলাম বিশ্বাসী প্রকৃত ইতিহাস জেনে বা না জেনে ইতিহাসের এ সকল অমানবিক অধ্যায়গুলো যাবতীয় চতুরতার মাধ্যমে বৈধতা দিয়ে এসেছেন। বিষয়গুলো অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিধায় বাংলা অনুবাদের সাথে আল-ওয়াকিদির মূল ইংরেজি অনুবাদের অংশটিও সংযুক্ত করছি।

The detailed narrative of Al-Waqidi: [1]

[Umm Muta al-Aslamiyya said:] --- ‘There was brave fighting. A man from the Jews named Yawsha appeared and called for a duel. Hubab b al_Mundhir duelled him. They exchanged strokes and Hubab killed him. Another appeared named al-Zayyal. Umara b Uqba al-Ghifari appeared unexpectedly and duelled him. Al-Ghifari struck him a blow on the crown of his head. ---

Ibn Abi Sabra related to me from Ishaq b Abdullah b Abi Farwa from < Abd al-Rahman b Jabir b Abdullah from <his father. He said: When we reached the fortress of al-Sab b Muadh, the Muslims were very hungry, and the food, all of it, was in the fortress. Al-Hubab b al-Mundhir b al-Jamuh attacked with us, while holding our flag, and the Muslims followed him. We stayed there for two days fighting them fiercely. When it was the third day, the Messenger of God set out to them early in the morning, and one of the Jews came out appearing like a ship’s mast, carrying a spear in his hand. He set out with a group of runners and they aimed arrows for a while, swiftly. We shielded the Messenger of God and they rained arrows on us.  Their arrows were like the locust, until I thought they would not give up. They attacked us as a single man. The Muslims were retreating until they reached the Messenger of God who was standing. He had alighted from his horse and Mid’am held it, while al-Hubab stayed with the flag. By God he did not stop shooting at them from his horse. The Messenger of God charged the Muslims, and encouraged them to ‘Jihad’, and excited them with it.  He informed them that God had promised him Khaybar and he would plunder it for them.The people approached together until they returned to the keeper of their flag. Al-Hubab marched with them continuing to draw closer little by little. The Jews returned to their retreat until evil overwhelmed them and they withdrew swiftly. They entered the fortress and locked it upon themselves. They appeared on the walls, and it had a wall outside the wall, and they began to aim at us with stones, throwing many. We moved away from their fortress with the falling of the stones until we returned to the original site of al-Hubab. Then the Jews began to blame each other among themselves. They said, “Why do we preserve ourselves? The people of determination and patience were killed in the fortress of Naim.” They set out seeking death, and we returned to them. We fought each other at the gate of the fortress, fiercely. Three of the companions of the Prophet were killed at the gate of the fortress. There was Abu Sayya who had witnessed Badr. A man from them struck him with the sword and whisked the cap of his head. There was Abi b Murra b Suraqa; one of them stabbed him between his breasts with a spear and he died. The third was al-Harith b Hatib who had witnessed Badr. A man from above the fortress aimed at him and broke his head. We killed many of them at the fortress. Whenever we killed one of their men, they carried him back into the fortress. Then the master of the flag attacked and we attacked with him. We entered the Jewish fortress and followed them to its interior. Once we entered their fortress, they were like sheep. We killed those who appeared before us, and took prisoners from them. They fled in every direction riding the ‘harra’- the lavas- desiring the fortress castle of al-Zubayr. We let them flee. The Muslims ascended its walls while proclaiming, “God is great,” many times (‘takbirs’). We weakened the force of the Jews with the ‘takbir’.  Indeed I saw youths from the Aslam and Ghifar above the fortress proclaim ‘takbir.’ -------

(চলবে)

তথ্যসূত্র ও পাদটীকা:

[1]“কিতাব আল-মাগাজি”- লেখক:  আল-ওয়াকিদি (৭৪৮-৮২২ খৃষ্টাব্দ), ed. Marsden Jones, লন্ডন ১৯৬৬; ভলুম ২, পৃষ্ঠা ৬৫৯-৬৬৪; ইংরেজি অনুবাদ: Rizwi Faizer, Amal Ismail and Abdul Kader Tayob; ISBN: 978-0-415-86485-5 (pbk); পৃষ্ঠা ৩২৫-৩২৭

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন