আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৬

পুতুলের হক কথা - ২০

লিখেছেন পুতুল হক

৭৬.
আল্যা ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি কারো পিতা নন। তবে কি তিনি মাতা?

৭৭.
ঢাকাকে বলা হয় মসজিদের শহর। পুরো দেশটাই এখন মসজিদে গিজগিজ করছে। এমন একটা দেশে যে ইসলামি সন্ত্রাস ছড়াবে, সে কথা বলাটাই বাহুল্য। আমাদের ঘরে ঘরে এখন মোল্লা। এদের মধ্যে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে এলিট ক্লাস মোল্লা। তারা সবাই ইসলামের পালক, রক্ষক এবং সেবক। এদের ইসলামপ্রীতি দেখে সন্দেহ হয়, স্বয়ং নবী মোহাম্মদেরও এতোটা ইসলাম-প্রেম ছিল কি না! সদা সর্বদা এরা ইসলামের দাওয়াত দিচ্ছে। দামি গাড়িতে চড়ে দামি ফ্ল্যাটে থেকে মুখে ফেনা তুলে "এ জীবন কিছু নয়, আখিরাতই আসল" বলে। এরাই আজকাল নির্ধারণ করে, কে বেহেশত যাবে, আর কে নরক পাবে। আল্লাহর শেষ বিচারের কাজ এরা অনেকটাই এগিয়ে দিচ্ছে। কিছুদিন পরে হয়তো এরা গোরস্তানে বেহেস্ত যাবার ছাড়পত্র বেচবে। ভাবছি সময় থাকতে এদের কারো কাছ থেকে একটা ছাড়পত্র সংগ্রহ করে রাখবো।

৭৮.
আবহাওয়াবিদ পূর্বাভাসের মাধ্যমে মিকাঈলের কাজকারবার আগেই জানিয়ে দেয়। হায় মিকাঈল, এও দেখে যেতে হল জীবনে! তোমার আল্যা কি কিছুই করবে না বিজ্ঞানের?

৭৯.
কামরুলের প্যান্টের পকেটে এক গাছা সোনার হার। বাড়ি ফিরে হাতমুখ ধুয়েছে, খেয়েছে। হারের অস্তিত্ব সারাক্ষণ অনুভব করছে। পকেট থেকে বের করে দেখার সাহস হচ্ছে না।

কামরুল বাড়ি থেকে তিন মেইল দূরের একটি কলেজে একাদশ শ্রেণীতে পড়ে। অনির্বাণও তার সাথে একই ক্লাসে পড়ে। তারা ছোটবেলার বন্ধু। কিছুদিন ধরে শোনা যাচ্ছিল, অনির্বাণরা ভারত চলে যাবে। ওদের জায়গা-জমি বেশিরভাগ বেদখল হয়ে গেছে, আর কিছু পানির দামে বিক্রি করে দিয়েছে জয়ন্ত কাকা। আজকে কলেজ থেকে ফেরার পথে দেখে, অনির্বাণদের বাড়ি দিনে-দুপুরে লুট হচ্ছে। কামরুলের খুব খারাপ লাগে। সে দৌড়ে যায় বাড়ির ভেতর। কাকিমাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। তারা পালিয়ে গেছে।

চেনা-অচেনা অনেকগুলো মুখের মাঝে কামরুলের উদ্ভ্রান্ত মুখটি দেখা যায় কাকিমার শোবার ঘরে। নাড়ু কিংবা বরইয়ের আচার খেতে কামরুল কতবার যে এসেছে এই ঘরে! যে যা পারছে নিয়ে নিচ্ছে। কে যেন বলল, "যা পারো নিয়া নাও। হিন্দুদের মালে মুসলমানের হক আছে। গুনাহ্‌ নাই, নিয়া নাও।" ভাঙা আলমারির সামনে কাপড়চোপড়ের গাদার মধ্যে কাকিমার হারটি ছিল। কামরুল সন্তর্পণে সেটি নিয়ে নেয়।

পকেটের হারটি তার বুকে খোঁচা দিচ্ছে বারবার। তার একবার মনে হচ্ছে, সিঁদুর-জড়ানো হার নেয়া তাঁর অন্যায় হয়েছে, আবার মনে হচ্ছে, আল্লাহ্‌ যাকে অন্যায় বলেনি, সে কেন তবে অন্যায় মনে করবে? কামরুল খুব দোটানার মধ্যে পড়ে যায়।

৮০.
আমি যদি বলি, আল্যা নেই, তবে রাগ করার কথা আল্যার। আল্যা নাহয় রাগ করে আমায় বেহেশত দিল না। কিন্তু কোনো কোনো মানুষের এতো জ্বলে কেন?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন