আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৬

মডারেট নাস্তিকেরা

লিখেছেন বৃষ্টি ইসলাম

কিছু মডারেট নাস্তিক রমজানে আর কুরবানিতে শুধু ধর্মীয় সংস্কৃতি খুঁজে পান, যা বাঙালির নয় বলে তাঁদের দাবি। এসবে তাঁরা কোনো আনন্দ বা মিলনমেলা খুঁজে পান না।

কিন্তু পুজোতে কোনো ধর্মীয় সংস্কৃতি এঁদের চোখে পড়ে না। পুজোতে এঁরা শুধু বাঙালিপনা, সংস্কৃতি আর শিল্প খুঁজে পান। আনন্দে আর মিলনমেলায় গা ভাসিয়ে নেচে-খেলে বেড়ান। ভণ্ড আর কাহাকে বলে!

পৃথিবীর বেশির ভাগ নাস্তিক আর যে কোনো ধর্মের চেয়ে ইসলাম ধর্ম নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন আর তাই ইসলাম-বিরোধিতাটাও তাদের বেশি। সেটা অনুমেয়। তবে কিছু নাস্তিক ভুলে যান যে, পূজাও একটি ধর্মীয় উৎসব এবং হিন্দুধর্ম ও হিন্দু ধর্মের সংস্কৃতিও স্পষ্টভাবেই মানুষে-মানুষে বিভাজনের কথাই বলে - অন্য আর সব ধর্মগুলোর মতোই। আর বিবিধ পূজা তো পুরোটাই মিথ।

আমার এই লেখাটি সেইসব নাস্তিকদের জন্য, যারা হিন্দুধর্মের ওপর জ্ঞান কম বলেই হয়তো হিন্দুধর্মের পূজাতে ধর্মীয় নোংরামি কম দেখতে পান। আর এই নাস্তিকদের পূজা দেখতে যাওয়ার ভেতরে এক ধরনের স্বস্তি, প্রশান্তি ও আনন্দের ভাব চোখে পড়ে, যা কদর্য।

অনেক ক্ষেত্রেই পারিবারিক বা সামাজিক চাপের কারণে ঈদ-পূজাতে নাস্তিকদেরকে অংশগ্রহণ করতে হয়, সেটা বোঝা দুরূহ নয়। অংশগ্রহণ করা যেতেই পারে, কিন্তু তাই বলে উদযাপন - সেটা একজন প্রকৃত নাস্তিকের দ্বারা সম্ভব নয়। তাই এই উৎসবে অংশগ্রহণের মধ্যেও একজন প্রকৃত নাস্তিকের উচিত সীমাবদ্ধতা বজায় রাখা, এই আশা করি আমি।

আর যেসব নাস্তিক পারিবারিক বা আর সামাজিক চাপ ছাড়াই ধর্মীয় উৎসবে কোরবানি দেন, আর মাথায় সিঁদুর হাতে শাঁখা পরে "শুধু আনন্দ করছি" বলে থাকেন, তাঁদের আমি ভণ্ডই বলবো। যেসব নাস্তিক একটা সময়ে জন্মসূত্রে একটি ধর্মের অনুসারী ছিলেন বলে সেই ধর্মের ধর্মীয় উৎসবে একটু বেশি স্বস্তি খুঁজে পান আর কম নোংরামি ও বর্বরতা দেখতে পান, তাদেরও আমি ভণ্ড বলবো।

তাই বলে একজন নাস্তিক আনন্দ করবে না, এমন তো নয়। ধর্মীয় উৎসবের দিনগুলোতে ছুটি থাকে, তাই সবার সাথে সময় কাটাবেন, রান্না করে খাওয়াবেন বা কারো বাসায় খেতে যাবেন, কেনাকাটা করবেন - এটা তো খুব স্বাভাবিক। এসব করে যেমন কেউ ভণ্ড হয় না, তেমনি ইফতারি খেয়েছেন, কারুর সঙ্গে গরু কিনতে গেছেন, স্রেফ পূজা দেখতে গেছেন বলেও কোনো নাস্তিককে আমি ভণ্ড বলছি না।

লেখাটা শেষ করি শান্তনু আদিবের লেখা একটি বাক্য দিয়ে: "প্রত্যেকটা ধর্মই সাম্প্রদায়িক এবং নাস্তেক হইয়াও আপনি যদি উৎসব পালনের উছিলা দিয়া সেই সাম্প্রদায়িক উৎসবে অংশ নেন, তাহলে ঘুরায় ফিরাইয়া আপনি সাম্প্রদায়িকতাকেই প্রমোট করছেন।"

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন