আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৬

পুতুলের হক কথা - ২৪

লিখেছেন পুতুল হক

৯৪.
মুসলমান জন্মাবার পর থেকেই একমাত্র ইসলাম ধর্মকে সত্য বলে জানে। বাকি সব ধর্মকে একবাক্যে অস্বীকার করেছে ইসলাম। ইহুদি এবং খ্রিষ্টধর্মকে স্বীকার করা হলেও ইসলামকে এই ধর্মগুলোর ওপরে স্থান দেয়া হয়েছে। মুসলমান মনে করে, অন্য যে কোনো ধর্মের মানুষের ওপর তাঁর স্থান। সে শুধু মনে করেই থামে না, অন্য সব ধর্মের মানুষকে ঘৃণা করতে শেখে। ঘৃণা করা তার জন্য বাধ্যতামূলক। যেহেতু মুসলমান আল্লা এবং মোহাম্মদকে বিশ্বাস করে, তাই সে যত খারাপ কাজ করুক আর যত অন্যায় করুক, একদিন না একদিন সে বেহেস্তে যাবে। আর যারা কাফের, তারা যতই মহৎ কাজ করুক না কেন, তারা কোনোদিন পারবে না বেহেস্তে যেতে। তারা দোজগী, তারা পাপী। কাফেরদের সব সময় ঘৃণা করতে হবে, তাদের কখনো মুসলমানের সমান মর্যাদার মানুষ ভাবা যাবে না। কাফেরকে অপমান করতে হবে, লাঞ্ছিত করতে হবে, কারণ তারা আল্লা আর তাঁর নবীকে বিশ্বাস করে না। মুসলমান হওয়া মাত্রই আল্লা যে কাউকে অসীম ক্ষমতা দিয়ে দেয়। সারা পৃথিবী মুসলমানের, পৃথিবীর সব সম্পদ মুসলমানের সুখের জন্য, সব নারী মুসলমানের ভোগের জন্য। শুধু পৃথিবীই নয়, মৃত্যুর পর যে জগৎ আছে, তারও অধিকর্তা মুসলমান। কিছুদিন শাস্তি পেয়ে হোক কিংবা না পেয়ে হোক, প্রত্যেকটি মুসলমান সেখানে এক একজন সম্পদশালী আর ভোগী বাদশাহ। বিলাসে, ভূষণে আর ভোগে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাদশাহের চাইতেও শ্রেষ্ঠতর অনন্ত জীবন মুসলমান সেখানে পাবে। আর কাফের অনন্তকাল জাহান্নামের আগুনে জ্বলবে, কারণ সে কাফের। মুসলমানকে ধর্মবাণী শুধুমাত্র দিনে একবার বা সপ্তাহান্তে একবার পাঠ করে পুণ্য কামাবার জন্য দেয়া হয়নি। জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে, প্রতি পদে সে ধর্মবাণীকে বাস্তবায়িত করতে বলা হয়েছে।

এই পৃথিবী আমার, অনন্ত স্বর্গ আমার। কাফেররা সব আমার পায়ের নিচে থাকো। আমি তোমাদের অনন্তকাল ধরে ঘৃণা করবো। তুমি কখনো আমার মত মর্যাদাশীল নও। আমি বিশ্বাস করি আল্লাকে, আমি বিশ্বাস করি নবীকে। আমি বিশ্বাস করি, আল্লা ওয়াদা খেলাপকারী নয়। আমি বিশ্বাস করি, নবী মিথ্যা বলেন না। আমি মুসলমান, আর কাফের মাত্রই মুসলমানের দাস হবার উপযুক্ত। আমি মুসলমান তাই বাদ বাকি সবাইকে আমি ঘৃণা করি।

৯৫.
কিছুদিন পরপর জিহাদি বই এবং অস্ত্রসস্ত্রসহ জঙ্গি ধরা পড়ছে। এদের অধিকাংশের কোনো কাজকর্ম নেই। পেশা হচ্ছে জিহাদ করা। কেয়ামত পর্যন্ত মুসলমানদের সামনে একটা হালাল পেশার পথ খোলা আছে। যখন আর কিছু করতে পারবে না, তখন জিহাদ করবে। এভাবেই তারা নিজেদের ভরণপোষণ এবং যৌনতার প্রয়োজন মেটাবে।

৯৬.
ইসলামে এতো বিধি, নিষেধ, আদশ, নির্দেশ কেন? খাওয়া, ঘুম, শোয়া, কথা বলা, হাঁটা, চলা, বিয়ে করা, না করা, শ্রদ্ধা করা, না করা, ভালোবাসা, না ভালবাসা, কাজ করা, না-করা, খুন করা, না-করা ইত্যাদি সব কিছুতে ইসলাম তার লম্বা নাকটি গলিয়ে দেয়। আদর করে হোক আর জোর করে হোক, মহানবীর ইসলামের দরজা সব সময় খোলা। কিন্তু তা শুধু প্রবেশের জন্য। ইসলাম থেকে বের হবার জন্য একটি দরজাও রাখা হয়নি। ইসলাম ত্যাগ করা মানেই জীবনের হুমকি সেই নবীর আমল থেকে। মোহাম্মদ কি জানতো যে, তার প্রচার করা ধর্ম বেশিদিন মানুষকে ভুলিয়ে রাখতে পারবে না? মোহাম্মদ এমন একটি ধর্ম প্রচার করে, যেটিতে সবাইকে ইসলামের নামে খুনি হতে বলা হয়, ধর্ষক হবার পথ খুলে দেয়া হয়, লুট করার বৈধতা দেয়া হয়। যতই লোভ আর ভয় দেখানো হোক না কেন, মানুষের স্বাভাবিক বোধে এসব কখনো সমর্থন পাবে না। এই স্বাভাবিক বোধ যাতে করে না জেগে ওঠে, সেজন্য অ-ইসলামীদের সাথে সংশ্রব পরিহার করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে কঠোরভাবে। এই পরিহারের বদলে আবার মুসলমানকে দেয়া হয়েছে মর্যাদাবানের সম্মান। আমি ভালো কি মন্দ, তা বলবে আমার চারপাশের মানুষ। ১৪০০ বছর আগে মরে ভূত হয়ে যাওয়া কেউ কি এখন আমাকে বিচার করতে পারে? আর তাকে আমি মানবো কি মানবো না, সেটা আমার পরিবেশ ও পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। কিন্তু তিনি যেভাবে আমার জীবনের প্রতিটি অংশ তার নির্দেশনা অনুসারে কাটাতে হবে বলেছেন, তার জন্য আমি তাকে আমৃত্যু ঘৃণা করে যাবো অবিরাম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন