আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৬

ইসলামী পাটিগণিত - ৬

লিখেছেন আবুল কাশেম

পর্ব ১ > পর্ব ২ > পর্ব ৩ > পর্ব ৪ > পর্ব ৫

কোরানের ভগ্নাংশ

[দ্রষ্টব্য: এই রচনায় উদ্ধৃত কোরানের অধিকাংশ আয়াত নেওয়া হয়েছে তফসীর মাআরেফুল কোরআন (বাংলা অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত তফসীর), হযরত মাওলানা মুফতী মুহাম্মদ শাফী’ (রহঃ), অনুবাদ মাওলানা মুহিউদ্দীন খান হতে] 

কোরানে কতগুলি আয়াত আছে, কেউ কি কোনোদিন গণনা করে দেখেছেন? মজার বিষয় যে এই তুচ্ছ ব্যাপারে নানা মুনির নানা মত। কোরানের আয়াত সংখ্যা সম্পর্কে উইকিপিডিয়া খুঁজে এই তথ্য পাওয়া গেল। 

ইবনে আব্বাস (রাঃ) — ৬৬১৬ আয়াত
নাফি (রাঃ) — ৬২১৭ আয়াত
শায়বা (রা) — ৬২১৪ আয়াত
মিশরের ইসলামি পণ্ডিত — ৬২২৬ আয়াত
রাশাদ খালীফা — ৬৩৪৬ 

এদিকে যামাখশারি, বদিউযযামান এঁদের মতে কোরানের আয়াত সংখ্যা — ৬৬৬৬ 

এখন সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন আয়াত সংখ্যার মাঝে তফাত হচ্ছে ৬৬৬৬ বিয়োগ ৬২১৪ = ৪৫২ আয়াত। 

অদ্ভুত ব্যাপার — একই কোরানে এত প্যাচাল। 

কোরানে শব্দের সংখা নিয়েও যথেষ্ট তারতম্য দেখা যায়। এক হিসাবে বলা হয়েছে ৯৯,৪৬৪ শব্দ, আর এক তথ্যে দেখা যায় ৭৭,৪৩০ শব্দ (উইকি); এখানে শব্দের তারতম্য হচ্ছে — 

৯৯,৪৬৪ বিয়োগ ৭৭,৪৩০ = ২১,৬৩৪ শব্দ 

এইসব বিশাল তারতম্যের কারণ কী হতে পারে, তার কোনো সঠিক কারণ কোথায়ও পাওয়া যায় না। নানা আজে বাজে কারণ বলার পর বলা হয় যে, সব সংখ্যাই নাকি সত্য এবং সব সংখ্যাই গ্রহণীয়। একে পাগলের যুক্তি ছাড়া আর কী বলা যেতে পারে? সেই শৈশব থেকে আমরা শুনে এসেছি যে, কোরান সর্বকালে, সর্বস্থানে কিয়ামত পর্যন্ত একই প্রকার। তা-ই যদি সত্য হয়, তবে স্বীকার করেতেই হবে যে, কোরানে যতগুলি আয়াত (বা শব্দ বা হরফ) আছে, তা একই হতে হবে - যেখানেই এবং যখনই হোক। কিন্তু এই তারতম্য দেখে মনে হয়, এই ধারণা সত্যি নয়। বিভিন্ন কালে এবং বিভিন্ন স্থানে কোরানের আয়াতের সংখ্যা বিভিন্ন হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। 

এই বিশৃঙ্খল অবস্থা এড়ানোর জন্য আজকাল ইসলামি পণ্ডিতেরা কোরানের আয়াত সংখ্যা ৬২৩৬ ধরে নেন। কিসের ভিত্তিতে এই সংখ্যা নির্ণিত হয়েছে, তার কোনো সদুত্তর আমি কোথায়ও দেখিনি। অথবা কোন কোরানের ভিত্তিতে এই সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে তার উত্তরও আমি পাইনি। মনে হচ্ছে এই সংখ্যা (৬২৩৬) একটা আপোস। 

এই অরাজকতাপূর্ণ পরিস্থিতি এড়াবার জন্য আমি মাওলানা মৌদুদির এবং মাওলানা ইউসুফ আলীর কোরানের আয়াতের সংখ্যা গণনা করলাম। দু’টি থেকেই আমি একই উত্তর পেলাম—তা হচ্ছে, আজকে যে-কোরান মুসলিমদের মাঝে আছে, তার আয়াত সংখ্যা হচ্ছে ৬২৩৯; ইসলামি পণ্ডিতদের আপোসকৃত ৬২৩৬ আয়াতের সাথে আমার গণনার তফাত হচ্ছে ৩ আয়াত। আমি কোনোক্রমেই বুঝলাম না, কেন এমন হল। বারবার গণনা করলাম—কিন্তু প্রতিবারেই একই উত্তর পাই, অর্থাৎ ৬২৩৯; পাঠকেরা আমার গণনায় ভুল থাকলে জানিয়ে দেবেন, আমি সংশোধন করে নেব।

যাই হোক, এই পর্বের জন্য আমি ইসলামি পণ্ডিতদের সংখ্যাই ব্যবহার করব। অর্থাৎ ধরে নেব, কোরানের আয়াত সংখ্যা হচ্ছে ৬২৩৬। 

তার মানে কোরান রপ্ত করতে হলে এই ৬২৩৬ আয়াত রপ্ত করতে হবে। কোরান মুখস্থ করতে হলে এই ৬২৩৬ আয়াত মুখস্থ করতে হবে। 

আজব ব্যাপার হচ্ছে যে, নবীজির পরামর্শ অনুযায়ী কোরান আবৃত্তির জন্য এত পরিশ্রম করার দরকার নেই। অনেক হাদিসে দেখা যায় যে, কোনো কোনো সূরার ফজিলত (স্বীকৃতি বা সম্মান) এত বেশি যে, এই সূরাগুলি পড়লেই সমগ্র কোরান পড়া সমাধা হতে পারে। এখানে কিছু উদাহরণ দেওয়া যাক। 

অনেক হাদিসে কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ (সূরা ১১২, সূরা এখলাছ)-কে কোরানের এক-তৃতীয়াংশের সমান ধরা হয়েছে। 
(ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, তিরমিযী শরীফ, পঞ্চম খণ্ড, পৃঃ ২৬০, হাদীস ২৮৯৯) আব্‌বাস ইবন মুহাম্মদ দূরী (র)…আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ সূরাটি কূরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান। 
(বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার ঢাকা, সহীহ মুসলিম, তৃতীয় খণ্ড, পৃঃ ১৫৭, হাদীস ১৭৬৩) আবুদ দারদা (রা) থেকে বর্ণিত। (একদিন) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা কেউ কি এক রাতে কুরআনের এক তৃতীয়াংশ পাঠ করতে অক্ষম? সবাই জিজ্ঞেস করলেন, এক রাতে কুরআনের এক তৃতীয়াংশ কিভাবে পড়বো? তিনি বললেনঃ ‘কুল হুয়াল্লাহু আহাদ’ সূরাটি কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান। 

অর্থাৎ, সূরা এখলাছ (সূরা ১১২) গুণ ৩ (তিনবার আবৃত্তি) = ১/৩ গুণ ৩ = ১ বা গোটা কোরান আবৃত্তি। 

ইসলামি পুণ্য পাবার জন্য একমাসে নূন্যতম একবার গোটা কোরান আবৃত্তির পরামর্শ দেওয়া হয়। 

নবীজির পরামর্শ অনুযায়ী এক দিনে কোনো মুমিন তিনবার সূরা এখলাছ আবৃত্তি করলেই এক মাসের কোরান আবৃত্তি হয়ে যবে। অন্য কোনো সূরা পড়ার দরকার নেই। কী মজার ব্যাপার—এ কি বিশ্বাসযোগ্য? এই আবৃত্তি যে একসময়ে হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। যে কোনো সময়ে পৃথক পৃথকভাবে আবৃত্তি করলেও চলবে—যেমন ভোরবেলা, মধ্যাহ্নে এবং রাত্রে শোবার আগে। 

এখানে সূরা এখলাছ (সূরা ১১২) সম্পর্কিত আরও একটি চিত্তাকর্ষক হাদিস দেওয়া হল। 
(বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার ঢাকা, সহীহ মুসলিম, তৃতীয় খণ্ড, পৃঃ ১৫৮, হাদীস ১৭৬৫) আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। (একদিন) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (সবাইকে লক্ষ্য করে) বললেনঃ তোমরা এক জায়গায় জমায়েত হও। কারণ আমি কিছুক্ষণের মধ্যেই তোমাদেরকে কুরআন মজীদের এক তৃতীয়াংশ পড়ে শোনাব। সুতরাং যাদের জমায়েত হওয়ার তারা জমায়েত হলে নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম তাদের কাছে আসলেন এবং ‘কুল হুয়াল্লাহু আহাদ’ সূরাটি পড়লেন। তারপর তিনি গৃহাভ্যন্তরে প্রবেশ করলেন। তখন আমরা একে অপরকে বলতে থাকলাম, আমার মনে হয় আসমান থেকে কোন খবর এসেছে আর সে জন্যই তিনি ভিতরে প্রবেশ করেছেন। পরে তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বেরিয়ে এসে বললেনঃ আমি তোমাদের বলেছিলাম যে কিছুক্ষণের মধ্যেই আমি তোমাদেরকে কুরআন মজীদের এক তৃতীয়াংশ পাঠ করে শোনাব। জেনে রেখো এটি (কুল হুয়াল্লাহু আহাদ সূরা) কুরআন মজীদের এক তৃতীয়াংশের সমান। 
এখানে নবী করীম নিজেই উদাহরণ দিলেন যে, সূরা ইখলাছ (সূরা ১১২) একবার পাঠ করলেই কোরানের এক-তৃতীয়াংশ কোরান পাঠ হয়ে যাবে। নবীর এই উদাহরণের পরে আর কোনো যুক্তি-তর্ক চলতে পারে কি?। 
(ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, তিরমিযী শরীফ, পঞ্চম খণ্ড, পৃঃ ২৫৭, হাদীস ২৮৯৩) মুহাম্মদ ইব্‌ন মূসা জুরাশী বাসরী (র)…আনাস ইব্‌ন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) বলেছেনঃ ইযা যুল যিলাত সূরা যে ব্যক্তি পাঠ করবে অর্ধেক কুরআনের সমান তার সওয়াব হবে। কুল ইয়া আয়্যুহাল কাফিরূন যে পাঠ করবে তার জন্য কুরআনের এক-চতুর্থাংশ পাঠের সমান সোয়াব হবে। যে ব্যক্তি কুল হওয়াল্লাহু আহাদ পাঠ করবে তার কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ পাঠের সমান সওয়াব হবে।
হাদীছটি গারীব। হাসান ইবনুল সালম (র)-এর সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নাই।
এই বিষয়ে ইব্‌ন আব্বাস (রা) থেকেও হাদীছ বর্ণিত আছে। 

এখন হিসাব করা যাক— 

সূরা ৯৯ (সূরা যিলযাল) = ১/২ কোরান
সূরা ১০৯ (সূরা কাফিরূন) = ১/৪ কোরান
সূরা ১১২ (সূরা এখলাছ) = ১/৩ কোরান 

এই ভগ্নাংশগুলি যোগ করা যাক ১/২ + ১/৪ + ১/৩ = ১৩/১২ = ১.০৮ 

দেখা যাচ্ছে, এই তিনটি সূরা পাঠ করলেই শুধু সমগ্র কোরান নয়, তার চাইতেই বেশি কোরান পড়া হয়ে যাবে। 

সময়ের হিসাবে—এই তিন সূরা পড়তে পাঁচ মিনিটের বেশি লাগবে না। 

অর্থাৎ, কেউ যদি দৈনিক পাঁচ মিনিটে (বিশেষত ফজরের নামাযের অল্প একটু আগে) এই তিনটি সূরা আবৃত্তি করে নেয়, তাহলে সে গোটা কোরান বা তার চাইতে বেশি পড়ে নিল ধরে নিতে হবে। 

কোরানে ১১৪ টি সূরা আছে। ওপরের হিসাবের মানে - ঐ তিনটি সূরা পড়ে নিলে বাকি ১১১টা সূরা পড়ার দরকার নেই। 

এই ধরণের আরও একটি হাদিস দেখা যাক: এই হাদিসে সামর্থহীন মুমিনদের বিবাহে মাহ্‌রে (দেন-মোহর বা যৌতুক) কোরানের ব্যবহার বর্ণনা করা হয়েছে। 
(ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, তিরমিযী শরীফ, পঞ্চম খণ্ড, পৃঃ ২৫৭-২৫৮হাদীস ২৮৯৫) উকবা ইব্‌ন মুকাররাম আম্মী বাসরী (র)…আনাস ইব্‌ন মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা) তাঁর এক সাহাবীকে বললেনঃ হে অমুক, তুমি কি বিয়ে করেছ? লোকটি বললঃ না, ইয়া রাসূলুল্লাহ। আল্লাহ্‌র কসম, আমার কাছে বিয়ে করার মত কিছু নেই।
তিনি বললেন তোমার সাথে কি কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ নেই?
লোকটি বলল হ্যাঁ।
তিনি বললেন কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ। তোমার সঙ্গে কি ইযা জা-আ নাসরুল্লাহি ওয়াল ফাতহ্‌ সূরাটি নেই?
লোকটি বলল, হ্যাঁ
তিনি বললেনঃ কুরআনের এক-চতুর্থাংশ। তোমার সঙ্গে কি কুল ইয়া আয়্যুহাল কাফিরূন সুরাটি নেই?
লোকটি বললঃ হ্যাঁ।
তিনি বললেনঃ কুরআনের এক-চতুর্থাংশ। তোমার সঙ্গে কি ইযা যুল যিলাতিল আরদু সূরাটি নেই?
লোকটি বললঃ হ্যাঁ।
তিনি বললেন, কুরআনের এক-চতুর্থাংশ। বিয়ে করে নাও বিয়ে করে নাও।
হাদীছটি হাসান। 
এখন হিসাব করা যাক। 

কুল হওয়াল্লাহু আহাদ (সূরা এখলাছ, সূরা ১১২) = ১/৩ কোরান
ইযা জা-আ নাসরুল্লাহি ওয়াল ফাতহ্‌ (সূরা নছর, সূরা ১১০) = ১/৪ কোরান
কুল ইয়া আয়্যুহাল কাফিরূন (সূরা কাফেরূন, সূরা ১০৯) = ১/৪
ইযা যুল যিলাতিল আরদু (সূরা যিলযাল, সূরা ৯৯) =১/৪ কোরান
এই ভগ্নাংশগুলির যোগফল ১/৩ + ১/৪ + ১/৪+ ১/৪ = ১৩/১২ = ১.০৮ কোরান 

বোঝা গেল, কোনো নারীকে বিবাহে যৌতুকের টাকা দেবার সামর্থ্য না থাকলে কোরানের ভগ্নাংশ আবৃত্তি করলেই চলবে।
চমৎকার ব্যবস্থা, নিঃসন্দেহে। 

লক্ষ্যণীয় যে, এই হাদিসে নবী করীম সূরা যিলযাল (সূরা ৯৯)-কে কোরানের এক-চতুর্থাংশ ধরেছেন, অথচ এর আগের একটা হাদিসে নবীজি সূরা যিলযাল-কে কোরানের অর্ধেক ধরেছেন। 

এখন সূরা যিলযালকে (সূরা ৯৯) কোরানের অর্ধেক ধরে নিয়ে ওপরের ভগ্নাংশগুলি যোগ করলে আমরা পাব: 

১/৩ + ১/৪ +১/৪ + ১/২ = ১৬/১২ =৪/৩ = ১.৩৩ 

অর্থাৎ, যৌতুক হিসেবে কোরানের বেশি দেওয়া হবে—৪/৩ – ১ = ১/৩ বা এক-তৃতীয়াংশ বেশী দেওয়া হবে। 

তাজ্জবের ব্যাপার—মনে হয় আল্লাহ (পড়ুন নবী) কেমন করে ভগ্নাংশের যোগ বিয়োগ করতে হয়, তা জানেন না। 

এখন দেখা যাক নিম্নের হাদিসটি:
(ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, তিরমিযী শরীফ, পঞ্চম খণ্ড, পৃঃ ২৫৩-২৫৪, হাদীস ২৮৮৭) কুতায়বা ও সুফইয়ান ইব্‌ন ওয়াকী’ (র.)…আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ প্রতিটি বস্তুরই অন্তর আছে। কুরআনের অন্তর হল সূরা ইয়াসীন [সূরা ৩৬]) যে ব্যক্তি সূরা ইয়াসীন পাঠ করবে আল্লাহ্‌ তা’আলা তার এ পাঠের বিনিময়ে দশ কূরআন পাঠ সমতূল্য ছওয়াব নির্ধারণ করবেন।
এ হাদীছটি হাসান-গারীব। হুমায়দ ইব্‌ন আবদুর রহমান (র।)-এর সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। আর এ সূত্র ছাড়া বাসরায় কাতাদা (র.)…এর রিওয়ায়ত সম্পর্কে কিছু জানা নেই।
আবূ মূসা মুহাম্মদ ইব্‌ন মুছান্না (র.)…হুমায়দ ইব্‌ন আবদুর রহমান থেকে উক্ত সনদে তা বর্ণিত আছে।
এ বিষয়ে আবূ বকর সিদ্দীক ও আবূ হুরায়রা (রা.) থেকেও হাদীছ বর্ণিত আছে। আবূ বকর (রা.) থেকে বর্ণিত রিওয়ায়তটি সনদের দিক থেকে সাহীহ নয়। এর সনদ যঈফ। 
এই হাদিসে নবী বলেছেন সূরা ইয়াসীন একবার পড়লে দশ কোরান পাঠের সমতূল্য পুণ্য পাওয়া যাবে। 

অর্থাৎ সূরা ইয়াসীন (সূরা ৩৬) ১বার পাঠ = ১০বার কোরান পাঠ 

তাজ্জবের ব্যাপারই বটে। কেননা, ইসলামি পাটিগণিতের এই ধারণা যে ভগ্নাংশ-তত্ত্বের ভিত্তিই ধবংস করে দিচ্ছে! অর্থাৎ ভগ্নাংশ কখনই সমস্তের সমান হতে পারে না—এই তত্ত্বকে ভুল প্রমাণিত করছে। 

তাই কেউ যদি একশত বার সূরা ইয়াসীন (সূরা ৩৬) আবৃত্তি করে, তবে ধরে নিতে হবে সে এক হাজার বার কোরান আবৃত্তি করেছে! 

(চলবে)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন