আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৬

নিমো হুজুরের খুতবা - ৯

লিখেছেন নীল নিমো

পত্রিকায় খবরটি পড়ে বেশ খুশি লাগল। বাংলাদেশে হিন্দু, সাঁওতাল, আদিবাসী, সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, মন্দির ভাঙা হচ্ছে। কিন্তু এই খুশি প্রকাশ করিলে বিপদে হতে পারে। তাই মনের আনন্দ চাপা রেখে মুরিদদেরকে বলিলাম:
- ভুয়া খবর। প্রকৃতপক্ষে হিন্দুরা নিজেদের ঘরে আগুন দিয়ে মুসলমানদেরকে দোষ দিচ্ছে। ইন্ডিয়ার ষড়যন্ত্র।

আমার কথা শুনে এক নাস্তিক ইউটিউবের ভিডিও দেখিয়ে বলিল:
- হুজুর, আপনার কথা সঠিক নহে। এই ভিডিওটি দেখুন। মাদ্রাসার ছাত্ররা দল বেধে "আল্লাহু আকবর" বলে হিন্দুদের বাড়িঘরে আগুন দিচ্ছে, মন্দিরের মুর্তি ভাঙছে। তাহলে কি বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলি ইন্ডিয়ার হিন্দুদের অর্থায়নে চলে?

আমি বলিলাম:
- আস্তাগফিরুল্লাহ। হিন্দুরা কেন মাদ্রাসায় অর্থ দিবে? যাই হোক, অন্যধর্মের লোকদের উপর অত্যাচার করা ঠিক না। কোরান মজিদে আল্লাহপাক বলেছেন, 'লাকুম দিনুকুম ওয়ালিয়াদিন' অর্থাৎ 'তোমাদের ধর্ম তোমাদের জন্য আর আমাদের ধর্ম আমাদের জন্য।' তাই হিন্দুদের মন্দির ভাঙা ইসলাম সমার্থন করে না।"

নাস্তিক আমাকে বলিল:
- হুজুর, নবী মুহাম্মদ যখন মক্কা বিজয় করেন, তখনও কিন্তু ইসলাম পরিপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তাই নবী মহাম্মদ কাবার (যেটা আসলে হিন্দুদের মন্দির) ভিতরে রাখা ৩৬০ টা মূর্তি ভেঙে ফেলেন। এতে করে মক্কাতে ইসলাম পরিপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। কাবার ভিতর হিন্দুরা মুর্তি রেখেছিল। নবীজি সত্যই যদি 'লাকুম দিনুকুম ওয়ালিয়াদিন'-এ বিশ্বাস করতেন, তাহলে তিনি হিন্দুদের মুর্তি ভাঙতেন না, তিনি মূর্তিগুলোকে অন্যত্রে সরিয়ে নিতে বলতেন। তাই কেউ যদি বলে, ইসলাম হিন্দুদের মূর্তিভাঙ্গা সমর্থন করে না, তাহলে সে ভণ্ড মুনাফিক মুসলমান।

নাস্তিকের কথা শুনে আমি মনের ভুলে সত্যি কথা বলে দিলাম:
- হিন্দুদের মুর্তি ভাঙা হচ্ছে দেখে আমার বেশ ভালই লাগছে। বাংলাদেশের হিন্দুরা দুর্বল। এরা কিছুই করতে পারবে না। কারণ আল্লহপাক মুসলমানদের সাথে আছে... হে হে হে হে...

নাস্তিক বলিল:
- ইসরাইল যখন ফিলিস্তিনিদেরকে ন্যাংটা করে ধোলাই দেয়, তখন অমুসলিমদের ঠিক একই রকম অনুভূতি হয়। আফসুস... তখন আবার মুসলমানরা ফিলিস্তিনিদেরকে রক্ষা করার জন্য আল্লাহর পরিবর্তে হিউম্যান রাইটের আশ্রয় খুঁজে। হে হে হে...

নাস্তিকের কথা শুনে আমার ঈমানে হালকা একটা ঝাঁকুনি লাগল। ঈমানে ঝাঁকুনি লাগলে ওযু করতে হয়। আমি ওযু করতে টয়লেটের দৌড় দিলাম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন