আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৬

বিশ্বাসের দরজায় করাঘাত!: পর্ব ০৭ – (হাতের সহবাস!)

লিখেছেন নরসুন্দর মানুষ


বয়েজ স্কুলের ছাত্র হিসেবে নারীসঙ্গ পাওয়া হয়নি; সেই সাথে হাজী বাড়ির ছেলে হওয়ায় এলাকার মেয়েরা ১০০ হাত দূরে থাকতো; আমি মানুষ, নাকি ‘সমগ্র বাংলাদেশ পাঁচ টন ট্রাক’, চিন্তায় পড়ে যেতাম মাঝে-মাঝেই! কলেজে ভর্তি হবার পর কুয়োর ব্যাঙ হয়ে সমুদ্রে পড়লাম। আজকের গল্প আমার প্রথম সহবাসের!

প্রথম বর্ষ ষ্টাডি-ট্যুরের সময়ের ঘটনা। পুরো ক্লাসের সবাই মিলে আনন্দভ্রমণের আয়োজন; ছয়টি বাসের দায়িত্বে ছিলেন ছয়জন অধ্যাপক; আমি বেচারা যে বাসে ছিলাম, তার দায়িত্বে ছিলেন আমাদের উদ্ভিদবিদ্যার অধ্যাপিকা। তিনি বাসে উঠেই সবাইকে সবার সাথে করমর্দন/হ্যান্ডশেক করতে বললেন! কিন্তু হাজী বাড়ির ছেলে হয়ে কীভাবে এত বড় পাপকাজ করি, ভেবে কূল পাচ্ছিলাম না। বলে উঠলাম, ‘ম্যাডাম, জেনে-বুঝে মেয়েদের সাথে সহবাস বা যিনা করার সমান পাপ আমি করতে পারবো না!’

ম্যাডাম বলে উঠলেন: 
- এত বড় কথা তুমি বলো কোন সাহসে; করমর্দন/হ্যান্ডশেক কারার সাথে সহবাস বা যিনা করার সম্পর্ক আসে কীভাবে?

আমি উত্তর দিলাম: 
- আপনি আমাকে যতই প্রতিক্রিয়াশীল, মোহাচ্ছন্ন, নিম্নশ্রেণীর ভাবুন না কেন, জেনে রাখুন, বিবাহ বৈধ এমন মহিলার সাথে করমর্দন/হ্যান্ডশেক করা হারাম! তা সে আমার শিক্ষিকা, সহপাঠী, ছাত্রী, বান্ধবী, চাচাত বোন, ফুফাত বোন, মামাত বোন, খালাত বোন, ভাবী, চাচী, মামী, মায়ের বান্ধবী, যে-ই হোক না কেনো; তাদের সাথে করমর্দন/হ্যান্ডশেক করা ইসলামের দৃষ্টিতে ভয়াবহ পাপ! আপনি যদি নবী মুহাম্মদের অনুসারী হন, তবে কখনই এ কাজ করবেন না।

ম্যাডাম মানলেন না, আমিও নিরুপায় হয়ে, জীবনের প্রথম গ্রুপ সেক্স (বহুজনের সাথে সহবাস) করতে বাধ্য হলাম করমর্দন/হ্যান্ডশেক করে! 

কিন্তু আপনি মনে রাখবেন, এ বিষয়ে ইসলাম আপনার মনের সৎ চিন্তার ধার ধারে না, আপনি যতই নিজেকে আধুনিক ভাবুন মুসলিম হিসেবে; বিবাহ বৈধ এমন মহিলার সাথে করমর্দন/হ্যান্ডশেক করা আপনার জন্য নিষিদ্ধ! চলুন, সামান্য প্রমাণ দেখে নিই।

নবী মুহাম্মদ বলেছেন,
‘নিশ্চয়ই তোমাদের কারো মাথায় লোহার পেরেক ঠুকে দেয়া ঐ মহিলাকে স্পর্শ করা থেকে অনেক শ্রেয়, যে তার জন্য হালাল নয়’[১]

নবী মুহাম্মদ আরও বলেছেন,
‘দু’চোখ যিনা করে, দু’হাত যিনা করে, দু’পা যিনা করে এবং লজ্জাস্থানও যিনা করে’। [২]

নবী মুহাম্মদ বলেছেন, 
‘আমি নারীদের সাথে মুছাফাহা/ করমর্দন/হ্যান্ডশেক করি না। [৩]

তিনি আরও বলেছেন, 
‘আমি নারীদের হাত স্পর্শ করি না। [৪]

নবীপত্নী আয়েশা বলেছেন,
‘আল্লাহর শপথ, রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর হাত কখনই কোন বেগানা নারীর হাত স্পর্শ করেনি। তিনি মৌখিক বাক্যের মাধ্যমে তাদের বায়'আত নিতেন’। [৫]

সুতরাং মুমিন মুসলিম ভাই-ব্রাদার, নিজের হাতে নিজে করমর্দন/হ্যান্ডশেক করুন, কিন্তু ভুলেও আধুনিক সাজতে গিয়ে বিবাহ বৈধ এমন মহিলার সাথে করমর্দন/হ্যান্ডশেক করবেন না; তা কোনো আবরণের সাহায্যে হোক বা আবরণ ছাড়া হোক উভয় অবস্থাতেই তা আপনার ধর্মে নিষিদ্ধ। আপনার স্থান মরুভূমির বর্বর মানুষের কাতারে, সভ্যতা আপনার জন্য সত্যিই নিষিদ্ধ!

এবার বেছে নেবার দায়িত্ব আপনার।

তথ্যসূত্র:
[১]. তাবারাণী, সিলসিলা ছহীহাহ হাদিস/২২৬।
[২]. আহমাদ হাদিস/৩৯১২; ছহীহুল জামে হাদিস/৪১২৬।
[৩]. আহমাদ হাদিস /২৭৫৩; ছহীহাহ হাদিস /২৫০৯।
[৪]. তাবারাণী কাবীর, ২৪/৩৪২; ছহীহুল জামে হাদিস /৭১৭৭।
[৫]. মুসলিম হাদিস/১৮৬৬।

(চলবে)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন