আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৬

বিশ্বাসের দরজায় করাঘাত!: পর্ব ১১ – (মহানবীর মহানিয়ন্ত্রণ; আমার হস্তমৈথুন!)

লিখেছেন নরসুন্দর মানুষ


জন্মদাতা পিতার সাথে সম্পর্ক আমার সবসময়ই ভালো, দু'জনে প্রায় বন্ধুর মতই মিশি। আমার আব্বা বলেন: ‘বাপের জুতা যখন ছেলের পায়ে হয়, তখন বাপ-ছেলে বন্ধু হয়ে যায়!’ একবার কোরবানীর হাটে আব্বাকে নাম ধরে ‘সামাদ ভাই! সামাদ ভাই!’ বলে ডেকে ডেকে খুঁজে বের করেছিলাম! আব্বা বলেছিলেন; ‘নাম ধরে ডাকিস কেন, বেয়াদব!’ আমি বলেছিলাম, ‘হাটের মধ্যে আব্বা-আব্বা ডেকে, শ-খানেক বাপের ছেলে হবার ইচ্ছা নাই, তাই!’

আজকের গল্প আমার বিশ্ববিদ্যালয় পড়াকালীন: 

লম্বা ছুটিতে বাসায় ছিলাম, ভাই-বোনসহ মা ছিলেন নানাবাড়ি; আমরা বাপ-বেটা দু'জনে বাড়ী পাহারা দিচ্ছিলাম আরকি! আব্বা বাসার বাইরে ছিলেন, আমি বিছানায় শুয়ে শুয়ে ‘প্রাপ্তবয়স্কদের আসমানী কিতাব (রসময় গুপ্ত)’ পড়ছিলাম, আর ‘এখন যৌবন যার, হস্তমৈথুনের তার শ্রেষ্ঠ সময়!’ বাণী’র ওপর আমল আদায় করছিলাম! 

আল্লাহ বলিয়া যে কিছু নাই, প্রমাণ করিয়া; কোথা হইতে আব্বা আসিয়া রুমে প্রবেশ করিলেন! আসিয়াই জীভ কাটিয়া ‘হারামজাদা’ বলিয়া হুর-হুর করে রুম থেকে বাহির হইয়া গেলেন! আমার যাহা বাহির হইবার ছিলো, তাহা উল্টা ভিতরে ঢুকিয়া কলিজা পর্যন্ত উঠিয়া গেলো! ভাবিতে লাগিলাম, এই ঘটনা সামাল দিবো কীভাবে!?

বিকাল বেলা আব্বা ডাক দিয়া বলিলেন:
'বয়স হইছে ঠিক আছে, কিন্তু এসব তো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে! 
তোর কিছু বলার থাকলে বল?’

আমি বলিলাম:
আব্বা, রাস্তায় এক মেয়েকে দেখে উত্তেজিত হয়ে গেছিলাম; কী করবো, বিয়া-সাদী তো দাও নাই; তাই এইসব একটু করা লাগে মাঝে মাঝে!

আব্বা বলিলেন:
‘এসব কী কথা! সামান্য মেয়েমানুষ দেখেই উত্তেজনা ধরে রাখতে পারিস না! 
তুই কোন শ্রেণীর মানুষ?’

আমি আমার মোক্ষম চাল দিলাম:
‘আব্বা, আল্লার নবী রাস্তায় মেয়েমানুষ দেখে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে নাই,
আমি কোথাকার কোন বাহাদুর!’

আব্বা ভেবাচেকা খেয়ে গেলেন। তিনি জানেন, আমি কোরআন-হাদিস বেটে খাওয়া ছেলে; মুখের রং পাল্টে গেলো তার; জানতে চাইলেন, ‘বল তো, কী বলতে চাস!’ আমি মনে মনে এটাই চাচ্ছিলাম। ঘর থেকে সহিহ মুসলিম হাদিসের বই এনে নিচের হাদিসটি দেখালাম!

আমর ইবন আলী (র)......জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত: 
রাসুলুল্লাহ (সা) এক মহিলাকে দেখলেন ও উত্তেজিত হয়ে পড়লেন। তখন তিনি দৌড়ে তার স্ত্রী যায়নাব (রাঃ)-এর নিকট আসলেন। তিনি তখন একটি চামড়া পাকা করায় ব্যস্ত ছিলেন এবং রাসুলুল্লাহ (সা) তার সাথে যৌনকাজ করে ঠান্ডা হলেন। তারপর বের হয়ে সাহাবীদের নিকট এসে তিনি বললেনঃ স্ত্রীলোক সামনে আসে শয়তানের বেশে এবং ফিরে যায় শয়তানের বেশে। অতএব তোমাদের কেউ কোনো স্ত্রীলোক দেখতে পেলে সে যেন তার স্ত্রীর নিকট আসে। কারণ, তা তার মনের ভেতর যা রয়েছে তা দূর করে দেয়। [1]

আব্বা এ বিষয়ে আর একটি কথাও বললেন না, কেবল বললেন:
‘বাবা, এসব বেশি অভ্যাস থাকা শরীরের জন্য ভালো নয়!’

আমি উত্তর দিলাম:
‘হুঁ!’

প্রিয় মুমিন ভাই-বোনেরা; আপনারা বলেন ও বিশ্বাস করেন, নবী মুহাম্মদ ছিলেন সংযমী পুরুষ, তার মত সংযমী দুনিয়াতে কেউ ছিলো না; আর ভবিষ্যতে কেউ হবে না। কিন্তু হাদিস বলে, তিনি ছিলেন নারীলিপ্সু, পরস্ত্রীকাতর, যৌনতাড়িত অসংযমী মানুষ! এতটাই দুর্বল যৌনকাতর মানুষ ছিলেন তিনি, রাস্তায় অপরিচিত মেয়েমানুষ দেখেও উত্তেজনা ধরে রাখতে পারতেন না!

আপনার মতামত এ বিষয়ে কী বলে?

তথ্যসূত্র:
[1] সহিহ মুসলিম হাদিস: খণ্ড: ৮, হাদিস: ৩২৪০

(চলবে)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন