আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৬

পুতুলের হক কথা - ২৭

লিখেছেন পুতুল হক

১০৩.
কোরআনের অর্থ বুঝে পড়লে যদি লোকে ইসলাম ত্যাগ করতো, তবে সৌদি আরব কিংবা যেসব দেশের মানুষ আরবিতে কথা বলে, তারা অনেক আগেই নাস্তিক হয়ে যেত। খ্রিষ্টান বাইবেল অর্থ বুঝে পড়ে এবং ভক্তিতে গদগদ হয়। বেদ-রামায়ন-মহাভারতে কী লেখা আছে, বেশিরভাগ হিন্দু তা জানে এবং পবিত্র পুস্তক মানে। আক্ষরিক অর্থ বোঝা বা না বোঝার সাথে বিশ্বাসের কি রকমফের হয়? বেদপুরাণের গল্প কিংবা কোরআন-হাদিসের গল্প কিংবা বাইবেলের গল্প সত্যিকারে সম্ভব না - এটা বুঝতে আধুনিক মানুষের খুব বেশি লেখাপড়ার প্রয়োজন পড়ে না। তবুও মানুষ কোনো না কোনো ফালতু বইয়ের আজগুবি কথা বিশ্বাস করার জন্য মুখিয়ে থাকে। মানুষের চাইতে বোধহয় গরু-ছাগল ভালো। এদের বাচ্চাদের অন্তত রূপকথায় বিশ্বাস করে বড় হতে হয় না।

১০৪.
ওমর আজকাল দাড়ি কামায় না। মুখভরা সুন্নত। ওমরের মা মিসেস আমেনা খাতুন স্বামীর মৃত্যুর পর অনেক দেনদরবার করে স্বামীর অফিসে একটি কেরানির চাকরি জোগাড় করেছেন। সতের বছর ধরে সাধ্যের বাইরে ছেলের প্রয়োজন মিটিয়েছেন।

ছেলেকে দাড়ি কাটার কথা বললে তার জবাব শুনে খুব অবাক হয়েছেন। মুসলমান ছেলেকে নাকি দাড়ি রাখতে হবে। মিসেস আমেনা খাতুনের স্বামী মনোয়ার হোসেন সাহেবের দাড়ি ছিল না। বাবা এবং শ্বশুর দাড়ি রেখেছিলেন বৃদ্ধ বয়সে। তাদের ছেলে তেইশ বছর বয়সে দাড়ি রাখে মুসলমানিত্বের কারণে।

মিসেস আমেনা খাতুনের অবাক হবার পালা শেষ হতে আরো বাকি ছিল। ছেলে মায়ের জন্য বুরখা কিনে এনে আদেশের সুরে বলে এখন থেকে বুরখা পড়তে এবং পুরুষ কলিগদের সাথে কম মেলামেশা করতে।

ছেলে বলে, এদেশে নাকি শরিয়া আইন আসবে। এদেশের মুসলমানরা নাকি এতোদিন মুসলমান ছিল না। এদেরকে মুসলমান বানাতে হবে। মাকে বলে বেপর্দা চলাফেরা না করতে।

সতের বছরের পরিশ্রমের ফল বুরখা হাতে বসে আছেন মিসস আমেনা খাতুন। শত প্রতিকূলতার মাঝেও থমকে যাননি যিনি, এক পা এক পা করে এগিয়েছেন, আজ তাঁর পায়ে শতমণ ওজনের পাথর বেধে দেয় তাঁরই আপন ছেলে।

‌১০৫.
মোহাম্মদের সমসাময়িক বিশ্ব-ইতিহাসে মোহাম্মদের নাকি কোনো উল্লেখ নেই। তার জীবদ্দশায় তাকে নিয়ে কোনো কাব্য রচনা হয়নি, অথচ তখনকার আরব ছিল কাব্যে বিশ্বসেরা। নেই ওহীর কোনো শিলালিপি বা অন্য কোনো প্রমাণ। মক্কা ছিল আরবের ব্যবসা-বানিজ্যের প্রাণ কেন্দ্র। সিরিয়া, ইয়েমেন, ভারতবর্ষ, রোমান সাম্রাজ্য, এই সমস্ত অঞ্চলের সাথে মক্কার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়িক যোগাযোগ ছিল। কাজেই মোহাম্মদের মত প্রভাবশালী ব্যক্তির কথা সিরিয়া, ভারতবর্ষ বা রোমান ইতিহাসে থাকা উচিৎ ছিলো। সত্য হচ্ছে - মোহাম্মদ সম্পর্কে যত যা কিছু লেখা হয়েছে, তা তার মৃত্যুর শতাধিক বছর পরে। ৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে সিরিয়ার ইতিহাসে একবার মাত্র মোহাম্মদের উল্লেখ পাওয়া যায় এবং সেটাও খুব নগণ্যভাবে। মোহাম্মদের প্রথম জীবনী লেখা হয় তাঁর মৃত্যুর দেড়শত বৎসর পর। সারা বিশ্বে ইসলাম কায়েম মানে আরবের আধিপত্য বিস্তার। শরিয়া আইন নামে যে সমস্ত বিধিবিধান আছে, তা তো সব প্রাচীন আরবের প্রচলিত প্রথা আর আরবের সংস্কৃতির বিস্তার। মুসলমানের পোশাক মানে আরবের পোশাক, মুসলমানের উৎসব মানে আরবের প্রচলিত উৎসব। "মোহাম্মদ" নামের এক অতিরঞ্জিত চরিত্র দাঁড় করিয়ে আরব ঔপনিবেশিকতার বিস্তারের নাম কি ইসলাম? তাঁর মৃত্যুর বহু বছর পর কিছু ক্ষমতালোভী, উচ্চাকাঙ্ক্ষী আর দুর্নীতিপরায়ণ আরব নেতার আবিষ্কার কোরান আর হাদিস?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন