আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ২ জানুয়ারী, ২০১৭

নিমো হুজুরের খুতবা - ১৫

লিখেছেন নীল নিমো

১৯.
ঈমানদার ভাইয়েরা আমার, 
দয়া করে হিন্দুদেরকে "মালাউনের বাচ্চা" বলে গালি দিবেন না। কারণ আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সঃ) মালাউনের বাচ্চা বা হিন্দুর বাচ্চা ছিলেন।

নবীজির দাদা-বাবা-চাচারা কাবার ৩৬০ টা মূর্তিকে পূজা করত এবং পূজা থেকে অনেক টাকা-পয়সা ইনকাম করত। মানাত, আল উজ্জা এবং আল্লাত এই ৩ টা মূর্তি ছিল মূর্তিদের সর্দার।

আল্লাত (চন্দ্র দেবতা হাবুলের মা) নামক মূর্তিটাকে আল্লাহর নবী হজরত মুহাম্মদ (সঃ) বেছে নিলেন একেশ্বরবাদের একমাত্র দেবতা হিসাবে। আল্লাত বা আল্লাহ নামের মুর্তিটির ছবির লিংক এখানে দেওয়া হল। এই মূর্তিটিকে নবীজির বাবা আবদুল্লাহ পূজা করতেন।

আল্লাহপাক আমাদের সবাইকে জ্ঞান অর্জনের তৌফিক দান করুক। আমিন, সুম্মা আমিন।

২০.
আজকে এক নাস্তিক এসে প্রশ্ন করিল:
- হুজুর, তাকওয়া বা আল্লাহ-ভীতি হচ্ছে সৎ কর্মের উৎস। মুসলমান হবার পূর্ব শর্ত হচ্ছে আল্লাহকে ভয় করতে হবে। ফিলিস্তিনি, রোহিংগা এবং সিরিয়ার মুসলমানদের আল্লাহর ভীতি থাকার পরেও এদের এতো ভোগান্তি কেন? আল্লাহ কেন মুসলমানদের সাহায্য করতেছে না?

আমি উত্তর দিলাম:
- আল্লাহপাক মুসলমানদের পরীক্ষা নিচ্ছেন।

নাস্তিক বলিল:
- কিন্তু হুজুর, আমার জানা মতে: Fear is the path to the dark side…fear leads to anger…anger leads to hate…hate leads to suffering.

নাস্তিকের ইংলিশ উত্তর শুনে নিজের অজান্তে আমার নিচ দিয়ে বায়ু বের হয়ে গেল। আমি ওযু করতে দৌড় দিলাম।

২১.
ডেনমার্কের একটি স্কুলে ইসলাম ও নাস্তিকতা নিয়ে পড়ানো হয়। একজন ইসলামিক স্কলার হবার কারণে পরীক্ষা খাতার এক্সামিনার হিসাবে আমি কাজ করি। আজকে একটি পরীক্ষার খাতায় দেখতে পেলাম -

প্রশ্ন: "মোহাম্মদ যে ভণ্ড নবী, তা খুব সংক্ষেপে প্রমাণ কর।"

নাস্তিক ড্যানিশ ছাত্রীর উত্তর: "মোহাম্মদ মনে করতেন যে, পৃথিবীর সর্বত্র দিন এবং রাত্রির দৈর্ঘ্য সমান। তিনি জানতেন না যে, পৃথিবী গোল হবার কারণে পৃথিবীর সব জায়গাতে দিন এবং রাত্রির দৈর্ঘ্য একরকম নয়। যেমন উত্তর-দক্ষিণ মেরুতে ৬ মাস দিন-রাত হয়ে থাকে। এই সাধারণ জ্ঞানের অভাবে মুহাম্মদ ভুল করে নামাজ ও রোজার জন্য সূর্যকে ঘড়ি হিসেবে ব্যবহার করেছেন। এতে করে মুসলমানরা বেকায়দায় পড়েছে। এখন ডেনমার্কের মুসলমানদেরকে ২০ ঘন্টা রোজা রাখতে হয়, কিংবা রাত ১ টার সময় ফযরের নামাজ পড়তে হয়। এছাড়া পৃথিবী গোল হবার কারণে পৃথিবীর সব জায়গা থেকে কাবার দিকে মুখ করে নামাজও পড়া যায় না। পৃথিবী গোল, এইটা যে ব্যক্তি জানে না, সে নবী হতে পারে না।"

আমি খাতার মধ্যে বড় বড় করে লিখলাম: "নাউযুবিল্লাহ।"

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন