আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

অভিজিৎহীন দু'টি বছর

'মুক্তমনা' ব্লগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অনলাইনে বাংলায় মুক্তবুদ্ধি চর্চার প্রকৃত পথিকৃৎ অভিজিৎ রায়ের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ।

দু'বছর আগে ঠিক এই দিনে হেফাজতে ইছলাম নিয়ন্ত্রিত মোল্লা একাডেমী কর্তৃক আয়োজিত সিসি ক্যামেরাময় কিতাব মাহফিলের ঠিক বাইরে নির্লিপ্ত পুলিশের উপস্থিতিতে ও অজস্র মানুষের সামনে তাঁকে হত্যা করে শিক্ষাবিদ্বেষী, সভ্যতাবিমুখ ও বর্বর ইছলামের মহানবীর মহান বীর অনুসারীরা।

প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অনলাইনে কটু মন্তব্য করলে দক্ষ ও তৎপর গোয়েন্দা বাহিনী ছদ্মনামের আড়ালে থাকা ব্যক্তিকেও ধরে ফেলতে পারে ঠিক পরদিনই, কিন্তু অগণ্য প্রত্যক্ষদর্শী ও সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘ দু'বছরে তদন্ত ও বিচারকাজ কতোটুকু এগিয়েছে?

বস্তুত এই হত্যাকাণ্ডের পর উচ্চকণ্ঠে বা নীরবে পুলক-বোধ-করা রাষ্ট্র, সরকার, গোয়েন্দা, পুলিশ ও সর্বোপরি আপামর তৌহিদী মুছলিম জনতা বিন্দুমাত্র সদিচ্ছা বোধ করে না এর তদন্ত ও বিচারকার্যে। তবু যেটুকু করা হয়েছে বা হচ্ছে (বলা উচিত, করার ভান করতে হচ্ছে), তা বহির্বিশ্বের চাপে।

ইছলামী ধর্মবাজদের ঘাঁটানোর সাহস আসলে নেই কোনও প্রশাসনেরই। বরং প্রশাসন এদেরই আজ্ঞাবহ। নইলে ইছলামীরা নিজেদের খোমা মোবারক প্রদর্শন করে বছরের পর বছর প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়ে, স্পষ্ট দেশবিরোধী বক্তব্য রেখে, এমনকি ইছলামতোষণ-তৎপর মদিনা সনদের নেত্রীকে তীব্র অপমান করে, ব্যঙ্গ করে কীভাবে থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে?

অভিজিৎ রায় বিজ্ঞান, যুক্তিবাদ, দর্শন ও বিভিন্ন ধর্ম নিয়ে লেখালেখি করলেও তাঁর প্রধান অপরাধ ছিলো - যুক্তি-তথ্য-প্রমাণের মাধ্যমে ইছলামের আরোপিত মাহাত্ম্যকে ধুলিস্যাৎ করা। ইছলামীরা তাই তাদের নবীর পথ অনুসরণ করে সমালোচনার জবাব দিয়েছে সুন্নতী উপায়ে - সমালোচক-হত্যার মাধ্যমে।

এবং এ কথা মানতেই হবে, এই হত্যাকাণ্ড বিপুলভাবে জননন্দিত ও সমর্থিত - যেহেতু বাংলাদেশে হত্যা-ধর্ষণ-ডাকাতি-দুর্নীতিসহ যে-কোনও ভয়াবহ অপরাধের চেয়ে ইছলাম-সমালোচনার অপরাধ অনেক অনেক বেশি গুরুতর।

অভিজিৎ রায়ের মৃত্যুতে অপরিমেয় ক্ষতি হয়েছে মুক্তচিন্তা চর্চা আন্দোলনের। মৃত্যুর পরে কারুর স্থান শূন্য থাকে না বলে যে-কথাটির প্রচলন আছে, সেটি আসলে ভ্রান্ত বাণী। অভিজিৎ রায়ের মতো সুশিক্ষিত, প্রজ্ঞাবান, বিদগ্ধ, মানবতাবাদী, যুক্তিমনস্ক, সংস্কৃতিমনা, প্রতিভাধর, সুলেখক ও আপাদমস্তক ভদ্রজনের স্থান পূরণ হয় না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন