আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

প্রকৃতির ভারসাম্য বনাম ইসলাম

লিখেছেন পুতুল হক

মানুষের দেহ ভারসাম্যের এক অদ্ভুত সুন্দর দৃষ্টান্ত। বিজ্ঞানের ছাত্র হলে আরও সুন্দর করে গুছিয়ে বলতে পারতাম, তবে যা বুঝেছি, তাই বলছি।

এই যে আমাদের দুটো চোখ, দুটো করে হাত, পা, কান, এসব কিছুর কারণেই আমরা ব্যলান্স করতে পারি আমাদের দেখায়, হাঁটায়, বলায়, ইত্যাদি। শুধু মানুষের শরীর নয়, এই বিশাল প্রকৃতি ঠিক তার ভারসাম্য বিন্দুতে দাঁড়িয়ে আছে। প্রকৃতি বিশাল, তাই সামান্য এদিক-সেদিক হলে হয়তো কোনো পরিবর্তন হয় না। কিন্তু ভারসাম্য নষ্ট হবার সম্ভাবনা হলে প্রকৃতি তাঁর প্রতিবাদ করে। নিজে থেকে ঠিক করে নেয় বিশৃঙ্খলা। পরিবর্তন যদি প্রকৃতির জন্য ক্ষতিকারক না হয়, তাহলে সেই পরিবর্তনকে সে গ্রহণ করে। হয়তো তার ভারসাম্য বিন্দুর পরিবর্তন হয়, তবে নতুনভাবে সে ব্যালান্স করে।

ধর্মের উৎপত্তি মানুষের উৎপত্তির সাথে সাথে নাকি বহুকাল পরে, নিশ্চিত নয়। তবে ধর্ম মানুষের সাথে মিশে আছে অনেক অনেক বছর ধরেই। মানুষের ইতিহাস যতটুকু জানা যায় তাতে পৃথিবীতে কয়েক হাজার ধর্ম ছিল। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম ধর্ম, আচার, অনুষ্ঠান, প্রথা, বিশ্বাস। এতো বৈচিত্র্যের মধ্যেও পৃথিবী তার ভারসাম্য হারায়নি। ধর্ম মানুষকে যতই পশ্চাদপদ করে রাখুক, অদৃষ্টবাদী করে রাখুক, যতই মানুষকে নিপীড়নের হাতিয়ার হোক কিংবা মানুষকে মনুষ্যত্বহীন করুক, পৃথিবীর জন্য বা মানুষের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়নি কোনো ধর্ম কিছুদিন আগ পর্যন্তও।

১৪০০ বছর আগে মোহাম্মদ নামের আরবের এক মেগালোম্যানিয়া "ইসলাম" নামের এক ধর্মের প্রচার করে। সমগ্র সৃষ্টির ওপর সে তাঁর আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করে। এই প্রথম একটা ধর্ম পৃথিবীর মানুষের জন্য হুমকি হয়। কিন্তু প্রকৃতি যেহেতু নিজেই তার ভারসাম্য ঠিক করে নেয় বা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে, তাই ইসলামকে যদি টিকে থাকতে হয়, তাহলে অন্যসব ধর্মের মত অভিযোজনের মধ্য দিয়ে টিকে থাকতে হবে। নয়তো ইসলামকে ধ্বংস হতে হবে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম।

#

পৃথিবীকে ইসলামমুক্ত করতে হলে সব মুসলমানকে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হতে হবে - এটা আমার চাওয়া হতে পারে না! তাহলে কতো শত কোটি মানুষের প্রাণনাশ আমাকে চাইতে হবে? অমুসলিম যদি মুসলিমমুক্ত পৃথিবী চায় আর মুসলিম যদি অমুসলিমমুক্ত পৃথিবী চায়, তাহলে দু'পক্ষের মধ্যে তফাৎ কি থাকে?

মুসলমানদের মধ্যে ধর্মের প্রভাব বেশি। ধর্ম তাদের উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম, সকাল-দুপুর-সন্ধ্যা-রাত নিয়ন্ত্রণ করে। সব ধর্মই তো আফিম। সনাতন, ইসলাম, ইহুদি, খ্রিষ্টান বা বৌদ্ধ, কোন ধর্ম মানুষকে সজাগ করে? ইসলামকে নিয়ে এতো লেখালেখি, এতো কথা, তার কারণ - ইসলাম বর্তমান পৃথিবীর জন্য উপযুক্ত নয়। অন্য কোনো ধর্ম কি বর্তমান পৃথিবীর জন্য উপযুক্ত? না। কিন্তু তারপরও কথা থাকে।

ইসলাম শুধু মুসলমানের জীবন নিয়ন্ত্রণ করে না,অমুসলমানও ইসলামের আওতামুক্ত নয়। ইসলাম যেমন মুসলমানদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার নির্ধারক, তেমনি অন্য ধর্মের মানুষের ইচ্ছা-অনিচ্ছার নিয়ন্ত্রক ভাবে নিজেকে। ইসলামের নবী মোহাম্মদ যখন শুধুমাত্র ধর্মপ্রচারক ছিলেন, তখন তিনি সফল হননি। তাঁর সফলতা আসে রাজনীতিক মোহাম্মদ হিসেবে। ইসলাম আধ্যাত্মিকতা শেখায় না, সাম্রাজবাদী হতে শেখায়। ধর্মের এই রূপটিতেই এর ব্যবহারকারীদের যত মজা।

ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে মুসলমান গোটা পৃথিবীর ওপর নিয়ন্ত্রণ দাবি করে, যোগ্যতার বলে নয়। হিন্দুধর্মের কুপ্রথাগুলোকে চাপা দিয়ে রেখেছে হিন্দুরা। চার্চের অত্যাচার থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করেছে খ্রিষ্টানরা। নিজেদের অস্তিত্বের জন্য ইসলামের সাম্রাজ্যবাদী রূপটিকে চিরতরে ধ্বংস করে ফেলতে হবে মুসলমানদেরকেই। নইলে মুসলমান আর অবশিষ্ট পৃথিবী একে অপরের প্রতিপক্ষ হবে। আর এতে অপেক্ষাকৃত দুর্বল মুসলমান টিকে থাকতে পারবে না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন