আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

নিমো হুজুরের খুতবা - ২৮

লিখেছেন নীল নিমো

একটি দুঃসংবাদ!

ডেনমার্কে আমার এক মুরিদকে ড্যানিশ পুলিশে ধরে নিয়ে গেছে। তার অপরাধ - সে পাবলিক প্লেসে অশ্লীল ভঙ্গি করে মেয়েদেরকে উত্যক্ত করছিল।

যাই হোক, ঘটনাটা একটু খুলে বলি।

আমি আমার মুরিদেরকে কঠোরভাবে নির্দেশ দিয়েছিলাম মলমুত্র ত্যাগ করার পর, ঢিলা বা পাথর ব্যবহার করতে হবে, উঠে দাঁড়াতে হবে, ৪০ কদম হাঁটতে হবে, লাফালাফি করতে হবে কিংবা গলাখাকরি দিতে হবে। যে কোনোভাবেই হোক পেশাবের ফোঁটা বন্ধ হয়েছে - এরূপ নিশ্চিত হতে হবে। এতে করে পাকপবিত্রতা নিশ্চিত করা যায়। পাকপবিত্রতা ছাড়া নামাজ কবুল হয় না। আর ঢিলা-কুলুখ হল রাসুলের সুন্নাহ।

তো আজকে দুপুরবেলা আমার সেই মুরিদ ভাইটি ডেনমার্কের পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করার পর টয়লেট থেকে বের যায়। তারপর সে প্যান্টের ভেতরে হাত দিয়ে ৪০ কদম ইস্তিঞ্জারে (ঢিলা-কুলুখ ব্যবহারে) নিয়োজিত ছিল। ঠিক ঐ অবস্থায় ডেনমার্কের পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। আমার মুরিদ শত বুঝিয়েও পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পায়নি।

পুলিশ বলছে, জনসমক্ষে প্যান্টের ভেতরে হাত দিয়ে হস্তমৈথুন করে সে অশ্লীল যৌনভঙ্গি করেছে, যা দেখে আশেপাশের মেয়েরা সঙ্গত কারণেই বিব্রত বোধ করছে।

যদিও আমার মুরিদ বার বার পুলিশকে বলছে:
- পুলিশ ভাই, আমি রাসুল্লাহর সুন্নত পালন করছিলাম, এইটা আমার মানবাধিকার। আমি নিজের পাকপবিত্রতায় নিয়োজিত ছিলাম। আমি হাত মারছিলাম না।

মূর্খ ড্যানিশ পুলিশ বুঝতেই পারলো না ঢিলা-কুলুখের ফজিলত। মনে হচ্ছে, আমার মুরিদ ভাইটিকে আজকে বড় অংকের একটা জরিমানা দিতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন